আশরাফুল আলম সরকার
বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তারা বেপরোয়া ভাবে দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে। এটা আর গোপন রাখার কোনো বিষয় নয়। এ বিষয় নিয়ে লেখালেখি না করাও একধরনের গা ভাসা অবস্থা হবে।
আমাদের দেশে দুর্নীতিকে যেভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছে। দেশের সবচেয়ে বড় শিক্ষিত আমলারা। ঠিক একই ভাবে দুর্নীতি করে যাচ্ছে। রাজনৈতিক অনেক বড় বড় নেতা নেত্রী জন প্রতিনিধি এমপি মন্ত্রী এমনকি তাদের পিএস এপিএসরা পযর্ন্ত।
এদিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়। তারাও আজকে দুর্নীতির সাথে জড়িত। যেমন আমলাদের ভাই বোন ভগ্নিপতি। শশুর শাশুড়ি শালা শালীরা ও তাদের আত্মীয়রা পযর্ন্ত । এ যেন রাষ্ট্রীয় ভাবে নির্ভয়ে লুঠপাট।
অন্য দিকে দুর্নীতিবাজ নেতাদের চেলা চামড়া তো খাই খাই পার্টি। যথায় যা পাচ্ছে। খাচ্ছে আর খাচ্ছে। তবে দুর্নীতি এখানেই আজকে আর সীমাবদ্ধ নেই। ব্যবসায়ী নেতারা ভেজাল ব্যবসা ও সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। অনেক আমলাদের ও ব্যবসা আছে তারাও অনেকেই ভেজাল ব্যবসা ও প্রতারণা মূলক কাজে জড়িয়ে আছে।
সবচেয়ে বড় কথাটি হলো। দুর্নীতি আজকে কৃষি খামারে ও প্রবেশ করেছে। যেমন গরু মোটা তাজা করন ঔষধ প্রয়োগ । মাছ বড় করন ঔষধ প্রয়োগ। ছাগল মুরগি বড় করন ঔষধ প্রয়োগ ইত্যাদি।
তবে কথা থাকে অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন যেমন অপরাধ। তেমনি অসৎ উপায় অবলম্বন করে কৃষি করন। গরু মোটা তাজা করন। ছাগল মাছ মুরগি মোটা তাজা করন উভয়ই কিন্তু অপরাধ।
দেশে এক শ্রেণির লোক আরেক শ্রেণির লোকের সাথে দুর্নীতি বা কমিশন বাণিজ্য নিয়ে দুর্নীতি করা মানে ব্যক্তির ক্ষতি তথা জাতির ক্ষতি। ঠিক তেমনি যেসকল খাবার আমরা প্রতিদিন খাচ্ছি। সেগুলোর মধ্যে যেমন গরু ছাগল মাছ হাঁস মুরগি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কিটনাশক সার অথবা সাস্থ্যর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিভিন্ন ঔষধ প্রয়োগ করে উদপাদন করা হচ্ছে। এছাড়া দেশের প্রায় সকল ফলে ফরমালিন তো আছেই। যা সমগ্র জাতির জন্য ক্ষতির কারণ। আইনের দৃষ্টিতে তারা সবাই অপরাধী যদি আইন এখানে প্রয়োগ করা হয়।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক