আব্দুস সামাদ
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির অবকাঠামো/ ঘর মেরামতের জন্য টিন ও আর্থিক বরাদ্দের আবেদন করেছে একটি পরিবার।
সোমবার (৮ জুলাই) লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিতে ভাবে আবেদন করেন লালমনিরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের থানাপাড়া এলাকার বঙ্কিম চন্দ্র রায়।
বঙ্কিম চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, আমরা লালমনিরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। ১৯৭২ সাল হতে থানারোডে অবস্থিত (প্রধান ডাকঘর, লালমনিরহাট সংলগ্ন বাসা) অর্পিত সম্পত্তির বাসা নং ১৬৭-১৬৮ এর একাংশের ইজারাগ্রহীতা। গত ০১-০৬-২৪ খ্রিঃ তারিখে রাতের ঘূর্ণিঝড়ে আমার বাসা সংলগ্ন প্রধান ডাকঘরের দীর্ঘদিনের পুরনো সেগুন গাছটির একটি লম্বা ও মোটা ডাল ডাকঘর ভবনের বাউন্ডারি দেয়ালের নবনির্মিত রেলিং/ গ্রিল ভেঙে ১০/১২ ফিট রাস্তার পর আমার বাসার টিনের ঘরের চালের উপর ভেঙ্গে পড়ে। ফলে আমার বাসার ৩টি ঘরে লম্বা ও মোটা ডালের আঘাতে ২০১৭ সালে নির্মিত ৯ ফুট (নয় ফুট) মাপের অনেকগুলো দামী টিন দুমড়ে-মুচরে যায়, ফেটে যায়, কোথাও গাছের ডাল টিন ভেদ করে ঘরে প্রবেশ করে। ফলে অনেকগুলো টিন ব্যবহার অনুপযোগী, কাঠের রুয়া, বাতা, আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বর্তমানে বৃষ্টির কারণে উক্ত ভাঙ্গা স্থানগুলো দিয়ে তিনটি ঘরে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করছে, আসবাবপত্র নষ্ট হচ্ছে। গত ০১/০৬/২০২৪ ইং তারিখে ঘূর্ণিঝড়ের পর হতে ০১ মাসের বেশী সময় অতিবাহিত হয়েছে, ফলে ঘরসহ আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিধায় এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। আমি ২০২২ সালের মার্চ মাস হতে হার্ট অ্যাটাক পরবর্তী জটিলতার কারণে চাকরি করছি না। ফলে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মেরামত খরচ, টিন, কাঠ, মজুরীসহ প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা ব্যয় করতে আমি এই মুহূর্তে অক্ষম। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ঘর মেরামতের জন্য টিনসহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ে আপনার তহবিল হতে আর্থিক বরাদ্দ প্রদান করলে উপকৃত হবো। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাসার তিনটি ঘরের মেরামতের জন্য টিনসহ অন্যান্য ব্যয় নির্বাহে আর্থিক বরাদ্দ প্রদানের মাধ্যমে জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রঙ্গগত, ২০২৪ সালে ৩ জুন সাপ্তাহিক আলোর মনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, দৈনিক যুগের আলো প্রিন্ট পত্রিকায় “লালমনিরহাটে বাড়ির ওপর ভেঙে পড়ল সেগুন গাছের ডাল!” একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।