এস এম রমজান আলী, বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানে সুজন হত্যার রহস্য উদঘাটন বিষয়ে ২আগষ্ট শুক্রবার সকাল ১১টায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন।
গত ২৩/০৭/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সকালে লামা থানাধীন ০৬ নং লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা এলাকায় মাতামুহরী নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ পাওয়া যায়। লামা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।
লাশের শরীরে পচন ধরা, ফুলে বিকৃত অবস্থায় ছিল। লাশের পরিহিত কাপড় চোপড় দেখে তা উপরে বর্ণিত ভিকটিমের মরদেহ মর্মে সনাক্ত হয়। এরপর পুলিশ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট এবং পোস্ট মর্টেম সম্পন্ন করে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করে। ভিকটিমের ভাই মো: শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে লামা খানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা রুজু হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তথা প্রযুক্তির সহায়তা এবং গোপন সোর্স নিয়োগ করে পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং আসামীদের সনাক্তের জন্য ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ০২ জন আসামী গ্রেফতার ও
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করেন। ভিকটিম: সুজন হোসেন (২৮) পিতা- মৃত চুকু মিয়া, মাতা- পারুল বেগম, সাং-সাবেক বিলছড়ি, ৬ নং ওয়ার্ড, লামা পৌর সভা, থানা-লামা,জেলা,বান্দরবান।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন ১.হানিফ (৩০) পিতা- মোহাম্মেদ আলী, মাতা- আমেনা, সাং-দক্ষিন ছালামি পাড়া, ৩ নং ওয়ার্ড, ডাক- নাইক্ষ্যংছড়ি,থানা-নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা-বান্দরবান পার্বত্য জেলা। বর্তমানে মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া, ফায়ার সার্ভিসের মসজিদের সামনে,মাটির রাস্তা, থানা- চকোরিয়া,জেলা- কক্সবাজার। ২. নুর বানু (২৮) পিতা-আলী আকবর,স্বামী- সুজন হোসেন, গ্রাম-সাবেক বিলছড়ি, ৬ নং ওয়ার্ড, লামা পৌর সভা, থানা- লামা, জেলা- বান্দরবান। ভিকটিমের স্ত্রী।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী,অতিরিক্ত পুলিশ মো.সুপার শাহআলম,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আবদুল করিম। বান্দরবান প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাদেক হোসেন চৌধুরী,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক,প্রথম আলোর সাংবাদিক বুদ্ধজ্যোতি চাকমা, সাংবাদিক মংটিং মারমা,সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী, উচিথোয়াং মারমা, রাহুল বড়ুয়া ছোটন,বশির আহমেদ, শহিদুল ইসলাম,রিজভী রাহাত প্রমুখ।