আশরাফুল আলম সরকার
বিশেষ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই তিনটি শব্দ যেন সেই বাল্যকাল থেকে অন্তরে গাঁথা। মাত্র কয়েক বছর আগেও। এই আওয়ামী লীগ নিয়ে কেউ কোনো সমালোচনা করলে সংগে সংগে ঝগড়া লেগে যেতাম। আওয়ামী লীগ এই নামটা যেন আমার রক্তের সাথে মিশে আছে।
অথচ গত পনেরো বছরে তারা এমন খারাপ আচরণ জনগণের সাথে করেছে। আমার দৃষ্টিতেই তারা অপরাধী। আর বিরোধীরা তো তেলে বেগুনে জ্বলছে সারাক্ষণই। গত পনেরো বছরে এই আওয়ামী লীগের কাছে দেশের জনগণের কোনো রকম কোনো কদর ছিলনা। ওরা কানা ঘোড়ার মত রাষ্ট্র চালিয়েছে। একদম বধিরের মতো রাষ্ট্র চালিয়েছে। জনগণের কোনো দাবিই তারা শুনেনি। কোনো কথা তারা কর্ণপাত করেনি।
তারা ক্ষমতায় বসার পর থেকেই জিনিসের দাম বৃদ্ধি হতে লাগলো। বিদ্যুতের দাম। তেলের দাম। এমন কোনো পণ্য নেই যে এটার দাম বাড়েনি। কিন্তু এই জিনিসের দাম বাড়ছে এক শ্রেণির মানুষ কাঁদছে। আর সরকারের বেশকিছু মন্ত্রী বারবার সমগ্র জাতি নিয়ে মশকরা করছে। সয়ং প্রধানমন্ত্রী পযর্ন্ত পাগলের মতো বিভিন্ন বেফাঁস মন্তব্য করেছেন যেমন। লাউ কাচামরিচ বেগুন আলু পেয়াজ তেলের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে মশকরা করেছেন।
এ যেন জাতির উপরে কাটা ঘায়ে নুনের সিটা। এ যেন একজন জালিম সরকারের মতো সমগ্র জাতিকে একধরনের নির্যাতন করা হয়েছে। অথচ এই সরকারের তিন সময়ে কিছু মানুষ শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। জনগণের চোখের সামনে।
এদিকে শত রকম নির্যাতনের শিকার হয়েছে দেশের সাধারণ জনগণ। আমি পূর্বেও কলাম লিখেছি। বলেছি আপনাদের এই ধরনের ভুল, রাষ্ট্র পরিচালনার ফলে দেশের মানুষ ভিতরে ভিতরে রাগে ক্ষোভে জনরোষে পরিণত হচ্ছে।
এই জাতির একটি বৃহৎ অংশ। যারা বঙ্গবন্ধুকে গভীর ভালোবাসত। তারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছে। এই আওয়ামী লীগের কাছে। তার কারণ হলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই দেশের সাধারণ মানুষ গুলো আশায় বুক বেঁধেছিল।
শেখ হাসিনা তাদের জন্য কিছু করবে। কিন্তু তা আর হলো না। উল্টা আরো বিশ টাকার আলু ষাট টাকা হলো। পাঁচ টাকার ডিম তেরো টাকা। পঁচিশ টাকার চাল ষাট টাকা। সত্তর টাকার তেল দেড়শ টাকা। ইউনিলিভারের পঁচিশ টাকার সাবান ষাট টাকা ইত্যাদি ইত্যাদি। জানিনা আওয়ামী লীগের শুভবুদ্ধি কবে উদয় হবে। কবে দেশের জনগণ হাসি মুখ ফিরে পাবে।