মোঃ মিনারুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার :
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড় ডাকবাংলো সড়কের বেহাল দশা সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে রাস্তায় ফলে পথচারীদের ভোগান্তি চরমে ওঠেছে।
উপজেলার শিবগঞ্জ মহাস্থান গড় ডাকবাংলোর এই সড়কটি,নামুজা থেকে মহাস্থান ডাকবাংলো পযর্ন্ত দূরত্ব মাত্র ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার তার মধ্যে ‘ হাফ কি: মি: অর্থাৎ তিনশো মিটার রাস্তার বেহাল দশা। জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কের পাশেই অবস্থিত ঐতিহাসিক মহাস্থান মাজার মসজিদ। বর্তমান সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি’র পারিবারিক কবরস্থান সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এলাকাটি একটি পর্যটক ও বাণিজ্যিক শিক্ষা নগরী এলাকা। ওই সড়ক সংলগ্ন রয়েছে মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাস্থান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ডিগ্রি কলেজ, মাদ্রাসা কোচিং সেন্টার। এছাড়াও হাট বাজার ব্যাংক বীমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার আবাসিক বোডিং সহ নানান ব্যবসা বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই সব প্রতিষ্ঠান কে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পথচারী ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। অথচ সড়কটি সংস্কারে কোন ভূমিকা রাখছে না কর্তৃপক্ষ। সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তায় হাঁটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সড়কটির দু’পাশে রয়েছে অসংখ্য দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ওই সড়কে খাল খন্দ ভাঙ্গাচুরায় পানি জমে থাকায় সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে গিয়ে রাস্তায় আটকে থাকা পানিতে জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি মুসল্লিরা বাড়ি থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে ওযু করে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে পারে না ওযু নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় পান ব্যবসায়ী সেলিম,পাশা, চা ব্যবসায়ী এনামুল ও সোহেল রানা সহ অনেকেই সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিনিয়ত বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক মহাস্থানে যাতয়াত করে। এছাড়াও কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে উক্ত সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এমনকি গাড়ির এক্সেল ভেঙ্গে রাস্তার মধ্যে পড়ে থাকতে হয় ঠিক সময় বাজারজাত না করতে পেরে কম দামে বিক্রি করতে হয়। জানতে চাইলে মহাস্থান হাট পরিচালক মনিরুজ্জামান মটু বলেন, ঐতিহাসিক মহাস্থান হাটে কাঁচা বাজার সহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ওই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে রাস্তার বেহাল দশা হওয়ায় কৃষকরা কাঁচামাল নিয়ে আসতে পারছে না এই হাটে এরকমভাবে চলতে থাকলে লোকসান গুনতে হবে। স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবৎ জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে পানি জমে থাকলেও চোখে পড়ে না জনপ্রতিনিধিদের। সড়কটি উঁচুকরণ ও সংষ্কার করতে ফিরে তাকায়নি জনপ্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক ‘বলেন, সড়কটি এলজিডি আওতায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া আমাদের শিবগঞ্জের মধ্যে না থাকায় অর্থাৎ রাস্তাটি দোসীমানার মধ্যে পড়ায় রাস্তাটির এ অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তবে এলজিডির সাথে কথা বলেছি অতি শীঘ্রই রাস্তাটি হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী ইন্জিনিয়ার সুমন বলেন, যেহেতু এলজিডির আওতায় এবং দোসিমানার মধ্যে সড়কটি সেজন্য সড়কটি দেখতে হবে তারপর সংস্কারে জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকের কাছে অবগত করা হবে এবং দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা হবে।