আজ ৫ ই আগস্ট সোমবার।, ঠিক বিকেল তিনটেয়, কলকাতা প্রেসক্লাবে, নাট্য কর্মীদের উপস্থিতিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করলেন, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের বাংলা নাট্যদলের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদে এমনকি তাহাদের অনুদান বন্ধের প্রতিবাদে।
তাই আজ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তারা পুনরায় বিবেচনা করার কথা বললেন। এবং ইচ্ছাকৃত বাতিল দলগুলোর আবেদনগুলো পুনঃ বিবেচনা করার কথা বললেন এবং সংস্কৃতির প্রতি এই অবাঞ্চিত, এই ব্যতিক্রমী আক্রমণ বন্ধ হোক।
তাহারা জানালেন অভূত কিছু যুক্তি দেখিয়ে, বাংলার প্রতিনিধি স্থানীয় নাট্যদল গুলির রেপার্টরি অনুদানের পুনর্নীকরণ বন্ধ করল, কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক, যে যুক্তি গুলি দেখিয়ে নাট্য দলগুলিকে বিপদের সম্মুখীন করলেন বাতিল করে, আমরা তার বিরোধিতা করছি।
আজ প্রায় ২০০ থেকে আড়াইশো নাট্যকর্মী প্রেসক্লাবে উপস্থিত হন, এমনকি নাট্য পরিচালকরা, এবং বিভিন্ন নাট্য সংগঠনগুলি।
উপস্থিত ছিলেন নাট্যকার মেঘনাদ ভট্টাচার্য, সৌমিত্র মিত্র, সীমা মুখোপাধ্যায়, সুজন মুখোপাধ্যায়, পৌলমী চট্টোপাধ্যায় ,দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, বিলু দত্ত ,সৌরভ পালোধী, ডক্টর অশোক ব্রহ্ম, মনিশ মিত্র, শেখর চক্রবর্তী, অভি চক্রবর্তী, শান্তিলাল মুখার্জি, চন্দন সেন ,সৌমিত্র বসু। প্রকাশ ভট্টাচার্য ,শ্যামল চক্রবর্তী, আশীষ চট্টোপাধ্যায়, পরিমল ত্রিবেদী ,অমিতাভ দত্ত, বিজয় মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নাট্যকর্মী।
এবং বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক ও নাট্যকার কৌশিক সেন ,একটি বার্তার মধ্য দিয়ে তাদের পাশে থাকার কথা জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের এই দুর্নীতিকে তীব্র প্রতিবাদ জানান।
আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তারা জানান, এবং বিভিন্ন মতামত উঠে আসে, তাহারা বলেন কেন্দ্রীয় সরকার সারা বছর আমাদেরকে নিজেদের খরচায় নাটক তৈরি করিয়ে, এখন আমাদের বিপদের সম্মুখীন করলেন, কারণ যে সকল ছেলেরা মেয়েরা পরিশ্রম করে কাজ করছিলেন, সারা বছর কাজ করার পর সামান্য কিছু পেতেন। সেটাকেও কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিলেন। শুধু তাই নয় বেশ কয়েকটি নাট্য দলকে বাতিল করলেন। যে সকল নতুন প্রজন্ম নাট্য জগতে এসেছিলেন এবং কাজ করছিলেন তাহারাও বিপদের সম্মুখীন হলেন।
আবার অনেকেই জানান আমরা কাজ করলেও আমাদের এখনো পর্যন্ত টাকা দেননি কেন্দ্রীয় সরকার। আমাদের একাউন্টে কোন টাকা জমা পড়েনি। আদ্যেও পরবে কিনা জানা নেই।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারকে আমরা জানাতে চাই, যদি আপনি এই সিদ্ধান্ত থেকে অনর থাকেন, নাট্যকর্মীরা আন্দোলন করবে এবং আন্দোলনের সাথে সাথে এই সকল ছেলে-মেয়েদের নিয়ে পুনরায় কাজ করার চেষ্টা করবে, এবং যদি আমাদের সংস্কৃতি বিষয়ে কিছু পাওয়ার থাকে তবে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা লিখিত দাবী জানাব এবং অনুরোধ করব। জাতি নাট্যদল গুলি এবং সেই নাট্য দলের ছেলে মেয়েরা কিছু করে জীবন যাপন করতে পারে ও তাদের প্রচেষ্টা এগিয়ে যেতে পারে।
আজ এই মঞ্চ থেকে সাংবাদিক বন্ধুদের আমরা বলবো , আপনারা আমাদের পাশে থাকুন। এবং নাট্যকর্মীদের নিয়ে কিছু তুলে ধরুন।
রিপোর্টার ,শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা