মাধবদীতে মন্দির থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া টাকা,দুষ্কৃতকারীর কাছ থেকে ফেরত এনে দিলো বিএনপি কর্মীরা।
মোঃ তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি।
মন্দির থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া টাকা,দুষ্কৃতকারীর কাছ থেকে ফেরত এনে দিলো বিএনপি কর্মীরা।
ঘটনাটি ০৬-ই আগস্ট মঙ্গলবার নরসিংদী জেলা মাধবদী থানার পাইকারচর ইউনিয়নের পুরানচর শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম মন্দিরে ঘটেছে।
মন্দিরের দায়িত্বে থাকা জয় রাম সাধু আমাদের জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯ টায়, ২০ থেকে ২৫ জনের একদল দুষ্কৃতকারী মন্দিরে ঢুকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে,এবং ১০ মিনিটের মধ্যে না দিতে পারলে মন্দির ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করবে বলে তাঁরা জানায়, মন্দিরের দানবাক্স সহ সবমিলিয়ে ৪৮ হাজার টাকা বের করে নিয়ে আসে মন্দির কর্তৃপক্ষ,দুষ্কৃতকারীর একজন সোহেলের কাছে এ টাকা তুলে দিলে,টাকা পেয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে তাঁরা।
আশেপাশে উপস্থিত থাকা স্থানীয় কয়েকজনের নজরে আসলে, তাঁরা সম্মিলিত ভাবে বিষয়টি নরসিংদী সদর-১ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য খায়রুল কবির খোকনকে মুঠোফোনে জানান,তৎক্ষনাৎ খোকন সাহেব পাইকারচরের তাঁর কর্মী সমর্থকদের মন্দিরে গিয়ে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে বলেন,তারপর পাইকারচর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশাহ,ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ নুরুল ইসলাম,ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া সহ কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত হন,আশ্রম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য শুনে সোহেল নামক এক দুষ্কৃতকারীকে চিহ্নিত করে,সোহেল বা দুষ্কৃতকারীর কেওই বিএনপির সদস্য নয়,বরং সোহেল আওয়ামিলীগ পরিবারের, তাঁর চাচাতো ভাই ইউনিয়ন তাঁতি লীগের সভাপতি,এসময় নেতাকর্মীরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সোহেলের বাবাকে উপস্থিত করে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া ৪৮ হাজার টাকার কথা জানালে,তাঁর বাবা তৎক্ষনাৎ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া টাকা তাঁর ছোট ছেলে সবুজকে দিয়ে পাঠিয়ে দেয়,এ সময় উপস্থিত জনতা ও সাংবাদিকবৃন্দের সামনে সোহেলের ছোট ভাই সবুজ নগদ ৪৮ হাজার টাকা তুলে দেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ জয় রাম সাধুর হাতে।