আজ ৭ই আগস্ট বুধবার, ঠিক দুপুর বারোটায়, বেশ কয়েকটি দাবী নিয়ে এবং একে একে আইএসএফের সদস্যদের খুনের ন্যায় বিচারের আশায়, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফন্ট ISF এর উদ্যোগে, এক বিশাল মিছিল , শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা হয়ে রানী রাসমণি রোডে আসেন প্রতিবাদ সভা করেন। কয়েক হাজার আইএসএফ এর সদস্য এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
ঠিক দুপুর বারোটা থেকে তারা শিয়ালদা স্টেশনের সামনে জমায়েত হন, সেখান থেকে প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে, মিছিল এস এন ব্যানার্জী রোড হয়ে ধর্মতলা দড়িনা ক্রসিং দিয়ে রানী রাসমণিতে শেষ করেন এবং সেখানে একটি প্রতিবাদ সভা করেন।
এই মিছিলের শেষ ভাগে ছিলেন বিধায়ক, আইএসএফের নয়নের মনি নৌওশাদ সিদ্দিকী। যিনি আজ প্রতিবাদ সভায় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর উপর বেশ কিছু তীর ছুঁড়ে দিলেন। এমন কি ন্যায় বিচার যদি না পায়, তাহলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত যেতে দ্বিধা করবে না তার প্রস্তুতি তিনি নিচ্ছেন। বারবার বলেন খুনিদের আড়াল করে আমাদেরকে ধমকে চমকে থামাতে পারবেন না। অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি চাই। আবু সিদ্দিক থেকে শুরু করে অনীশ খান, প্রসেন মন্ডল, ইরশাত আলমের খুনিদের বিচার চাই।।
তাদের দাবিগুলি হলো, পুলিশের মারে শহীদ আবু সিদ্দিক হালদারের খুনি পুলিশের আড়াল করা চলবে না, অবিলম্বে দোষীর শাস্তি চাই।
পুলিশি হেফাজতে ও গণপিটুনিতে মৃত্যু মিছিল বন্ধ করতে হবে।
বাংলায় কোন সন্ত্রাস না করে, আইনের শাসন জারি করতে হবে।
ইরশাত আলম , প্রসেন মন্ডল সহ গন পিটুনিতে মৃতদের ন্যায়বিচার চাই।
অভিযুক্ত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দিতে হবে।
মিছিল আসার সাথে সাথে ধর্মতলা চত্বরে প্রশাসনের অফিসারেরা দুই দিকে হাতে হাত ধরে ব্যারিকেট করে দেন ,যাতে কোনরকম গন্ডগোলের সৃষ্টি না হয়। অনেক আগে থেকেই ধর্মতলা চত্বরে পুলিশি মোতায়ন ছিল। চোখে পড়ার মতো।
তবে প্রতিবাদ সভায় বারবার মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারী দেন, এরপর যদি কোন আইএসএফ এর সদস্যের একটা ছেলের প্রাণ যায়, তার জন্য দায়ী হবে রাজ্য সরকার ও পুলিশ মন্ত্রী, এই প্রতিবাদ সভায়, সৌকত মোল্লার নামও উঠে আসে ,যিনি নাকি মুখ্যমন্ত্রীকে উপদেশ দেন। প্রতিবাদ সভায় বলেন একটা আনিস খান ও আবু সিদ্দিক গেলেও হাজারো অনীশ খান ও আবু সিদ্দিক জন্মাবে। আজকের এই প্রতিবাদ সভা তা প্রমাণ করে দিয়েছে। আপনি শুধু আমাদের ট্রেলার দেখুন।
রিপোর্টার, শম্পা দাস ও সমরেশ রায় , কলকাতা