1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
আওয়ামী লীগ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চেয়েও ভয়ংকর এক রাজনৈতিক দল - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে কচুয়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজৈরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানীকে জীবনের এন্ডোসমেন্ট শিবগঞ্জে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা দৈনিক সময়ের সংবাদ-এর ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে নিহত শহীদ সাজু মিয়ার স্বরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত জন্মদিনে মিষ্টি চমক — গোপালগঞ্জে ইমরান পেস্ট্রি শপে চলছে বিশেষ কেকের অর্ডার ভোলার মনপুরায় জাতীয় যুব দিবস পালিত প্রবাসে থেকেও সাহিত্যচর্চা চালিয়ে যাওয়া সহজ কাজ নয়- সেই দৃষ্টান্ত রাখলেন সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বীরগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‍্যালি

আওয়ামী লীগ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চেয়েও ভয়ংকর এক রাজনৈতিক দল

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০২৪
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

 

অথই নূরুল আমিন

ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নামে একসময় ভারত বর্ষের আশি ভাগ নিরীহ জনগণকে, সেদিন তারা বিভিন্ন ভাবে শোষণ নির্যাতন করেছিল। সে ইতিহাস অনেকের জানা আছে। তারাও বিভিন্ন প্রভাবশালী লোকদের কে নবাব, জমিদার,তালুকদার, ভূইয়া সহ ইত্যাদি ইত্যাদি উপাধি দিয়ে তার উপরে ক্ষমতা ভার দিত।

ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই ক্ষমতা ভার দিত বাৎসরিক চুক্তির মাধ‍্যমে। তখন যারা এই চুক্তি করে বিভিন্ন পদে বহাল হত । তাদের মধ‍্যে দুটি লোভ কাজ করত। একটা হলো ক্ষমতা অন‍্যটি হলো অর্থ।

আমাদের দেশের প্রবীণ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের মধ‍্যেও সেই ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আদর্শ এখনো বহমান রয়েছে। তবে নব পদ্ধতি অবলম্বন করে গত পনেরো বছরের বেশি সময় ধরে তারা যে শোষণ নিপীড়ন পদ্ধতিতে এই রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। তাতে কোনো ভুল নেই। লক্ষ্য করে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের নিপীড়ন যেন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেই অমানুষিকতাকে ও হার মানিয়ে দিয়েছে।

সমগ্র দেশের সিংহভাগ মানুষকে যেমন করেছে নির্যাতন, তারচেয়েও বেশি করেছে শোষণ। আজকে সেই শোষিত সমাজ অট্টহাসি হেসে গণভবনে তারা প্রবেশ করেছে। যার সামনে যা পেয়েছে। তাই নিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর মুর্তিও ছবি ভেঙ্গে ফেলেছে।
এখন আওয়ামী দোসররা বলবে এগুলো চক্রান্ত। কারণ দোসর বলতেই কমদামী লোক কমদামী চিন্তাশক্তি।যে উল্লাস করে জনগণ আজকে শেখের ছবি গুলো মুর্তি গুলো ভেঙ্গেছে। সেদিন এরকম আনন্দে মেতে উঠেছিল ভারতবর্ষের জনগণ। যেদিন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ যখন ২০০৮ এর নির্বাচনে বিজয়ী হয়। তখন সারাদেশে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি আওয়ামী কর্মী সমর্থক ছিল। দল ক্ষমতায় আসার পর দলের প্রথম শোষণ হলো দলীয় পদ বাণিজ্যি। টাকা দেন পদ নেন। এটাকে ঘুষ ও বলা যায়।

অনেক ত‍্যাগী নেতাকর্মীদের কথা হলো। আমরা দল করি। টাকা দিয়ে পদ কিনতে যাব কেন? কথা তো সত্যি। দলের নেতাকর্মীদের তো আর কোনো বেতন ভাতা নেই। সভ‍্য হলে মাগনা কামলার মতো মিছিল মিটিং এ যাও। আর অসৎ হলে টাকা দিয়ে পদ কিনে চাঁ‍দাবাজীতে লেগে যাও। এই হলো তাদের কথা। অনেক নেতার সাথে অনেক কর্মীর তর্ক হয়েছে। তখন নেতার কথা হলো যাও মিয়া তোমার মতো হাজার কর্মী চলে গেলেও সমস্যা নেই। এত বড় দলের কি ক্ষতি হবে।

সমগ্র জাতির কাছে প্রশ্ন হলো ঐ নেতা পদ কিনে পদবী পাওয়ার পর। চাঁদাবাজী কোথায় করে? কার কাছে করে? ধরুন অনেকে ব‍্যবসা করে সেখানে সে দলীয় হুমকি দিল। বলল মাসিক চাঁদা না দিলে ব‍্যবসা করতে পারবা না।

ঐ নেতার সাথে আবার বেশ কিছু বখাটে ছেলে রয়েছে। যে পদ্ধতি ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব‍্যবহার করত। ঠিক একই রকম ভাবে আওয়ামী লীগের মতো একটি নষ্ট চিন্তাধারার রাজনৈতিক দল আমাদের কে পনেরো বছরের বেশি সময় ধরে শোষণ করেছে। যা দুঃখজনক।

অন‍্য দিকে তাদের যে নৌকা মার্কাটা আছে। এটা ইউপি নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, মেয়র নির্বাচনে এমনকি জাতীয় নির্বাচন সহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা এই মার্কা বিকির ব‍্যবসা করে।
দেশের জনগণের কাছে প্রশ্ন হলো। একজন জন প্রতিনিধি নির্বাচনে পাশ করে। তার নিজস্ব চিন্তা চেতনা থেকে সমাজের ও জনগণের সেবা করবে। আর এখানে দলীয় মার্কা যদি তাদের কিনে নিতে হয়। তার মূল‍্য ও কম নয় কিন্তু । এক কোটি টাকা থেকে পঞ্চাশ কোটি টাকা পযর্ন্ত এই মার্কার মূল‍্য। যারা দিতে পেরেছে তারা মার্কা নিয়েছে। পাশ করেছে। তাহলে সে তার ঐ টাকা উঠাবে? নাকি জন সেবা করবে? জনগণের কাছে প্রশ্ন রাখলাম।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দেশের সকল সরকারি অফিসে ঘুষ বাণিজ্য চলল। যা অতিতের সব ইতিহাস ভঙ্গ করে একবারে প্রকাশ‍্যে দিবা লোকে।
সরকারের কোনো মন্ত্রী এমপি কখনও এই ঘুষ বন্ধ করার চেষ্টা করেনি।
এখানেও কারণ রয়েছে। সেটা হলো যারা ঘুষ খাচ্ছে। তারাও কিন্তু ঘুষ দিয়ে চাকরি নিতে হয়েছে। ঘুষটা তারা কাকে দিয়েছে। একবারে জায়গা মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্থাৎ আজকে পালিয়ে যাও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছে।( ওর বেলায় প্রধানমন্ত্রী শব্দ উচ্চারণ করতে ঘৃণা লাগছে ) মার্কা বিকির টাকাও দলীয় ভাবেই তার হাতেই যায়।

আওয়ামী লীগ যে, ঘরের খায়। পরের খায়, গাছের উপরে নীচের এবং তলেরটাও খায়। তার একটি জীবন্ত উদাহরণ হলো। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিকি করেছে দল। যেখানে প্রতিটা ফরমের মূল‍্য ছিল পঞ্চাশ হাজার টাকা করে। এখানে সারা দেশের নেতানেত্রীরা ফরম সংগ্রহ করেছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার। কিন্তু এখানে আসন আছে মাত্র 260 টা প্লাস । বাকী গুলো তাদের শরিক দলের জন্য।

কথা হলো এই মনোনয়ন ফরমের মূল্য যদি পাঁচ লাখ টাকাও করা হতো। তাও দুই হাজার ফরম বিকি হতো। কেন হতো যেহেতু রাজনীতি একটা ব‍্যবসা তাই হতো। আর যদি এই মনোনয়ন ফরমের মূল্য পাঁচশত টাকা রাখা হতো। তাহলে হয়তো দশ হাজার ফরম বিকি হতো।
কিন্তু যখন তারা মনোনয়ন ঘোষণা করল। তখন দেখলাম ২৬০ আসনের মধ‍্যে ২৪০ জনই সাবেক এমপিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার কাছে আমার পশ্ন হলো। নতুন যেহেতু প্রার্থী দেয়া হবে না। তাহলে এতো ফরম বিকির কারণ কি?
একজন বলছেন আমি ফরম কিনলাম। আমার আসনে সেই সাবেক এমপিই মনোনয়ন পাইল। তখন তো আমি রাগ হবই। যদি আমি ছাড়া নতুন কেউ পেত তাহলেও দুঃখ থাকত না। যেহেতু সাবেক এমপি মনোনয়ন পাইল। তখন তো আমার টাকাটা ফেরত দিতে পারত। তাও করেনি।
প্রিয় দেশবাসী তাহলে শুনুন । হাসিনা যে কত বড় প্রতারক। এই সাড়ে তিন হাজার ফরম বিকি হলো। প্রতি আসনে দশটার চেয়েও বেশি। তখন তার লোকেরা সকল মনোনয়ন প্রত‍্যাশীদেরকে বলল। টাকা যে বেশি দিতে পারবে সেই মনোনয়ন পাবে। তাই সাবেক এমপিরা পেয়েছে। কারণ, তারা অনেকেই গত দশ বছর কেউ কেউ পনেরো বছর এমপি থেকে অগণিত টাকা কামিয়েছে।
তাহলে কোটি কোটি টাকা দিয়ে শেখ হাসিনার বাপের নৌকা মার্কা নিয়ে আরেকজন এমপি হবে। এরকম একজন এমপি কি জনসেবা করতে পারে? পারে না।

তাই দেশের সকল জন প্রতিনিধিরা যে ভাবে পারছে চুরি করেছে। এই যে সরকারি কর্মকর্তা ঘুষ খাচ্ছে। জন প্রতিনিধিরা সরকারি কোষাগারের অর্থ চুরি করেছে। আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ শ্রমিক লীগ কৃষকলীগ সহ বিভিন্ন নেতারা চাঁদা বাজী করেছে।
সবই তো জনগণের টাকা।

প্রিয় পাঠক সেদিন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাফিয়া মাদার ছিল রানি এলিজাবেথ। আর আওয়ামী লীগের মাফিয়া মাদার শেখ হাসিনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি