মো লুৎফুর রহমান রাকিব কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
এমপি মুজিব সাহেবকে টাকা দিয়ে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান মাহফুজ আলম মুন্সিরহাট তার ভাই খোকা, মেযতলার ফয়সাল,বারাইশের জয়নাল,বাংপাইর টোটন বাবু,বিযবাগের রুবেল,ফুলমুড়ির শহীদ এদের মাধ্যমে সিন্ডিকেট গড়ে তুলে মুন্সিরহাট বাজার ও ইউনিয়নে সাধারণ জনগণের উপর স্ট্রিম রুলার চালায়।
প্রথমে সে তার ভাই খোকার মাধ্যমে মুন্সীরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে এবং তিনতলা বিল্ডিং দোকান ঘর নির্মান করে প্রায় ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেই।
মুন্সিরহাট বাজারে প্রতিদিন ২০টি গরু জবাই হয়। প্রতি গরু এক হাজার টাকা করে মেছতলার ফয়সাল তুলে এবং বিকালে চেয়ারম্যান সাহেবকেদে।
মুন্সীরহাট বাজারে প্রায় ২০-২৫ টি মাছের দোকান বসে প্রতিদিন। প্রতিদিন বারাইশের জয়নাল ১০০০ টাকা করে তুলে এবং বিকেলে চেয়ারম্যান মাহফুজকে হিসেব দে। একজন দোকানদার দুঃখ করে বলে মাছ বিক্রি করি পাঁচ হাজার কিন্তু চেয়ারম্যান মাহফুজকে দিতে হয় এক হাজার এজন্য এখন ব্যবসা করতে ভালো লাগেনা।
মুন্সিরহাট সরকারি বাজার (তোফা বাজার) দোকানদারি করতে হলে বছরে সবজি দোকান, মুরগির দোকান ও অন্যান্য দোকান চেয়ারম্যান মাহফুজ আলম কে ৫০ হাজার টাকা করে দিলে তারপরে দোকান বসতে দেওয়া হয় এবং প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা তুলে জয়নাল ও ফুলমুড়ির শহীদ চেয়ারম্যান মাহফুজ নির্দেশে।এখানে প্রায় ২০০ টি ফল দোকান সবজি দোকান ও অন্যান্য দোকান আছে।
টিসিভির কার্ডের দায়িত্ব বিযবাগের রুবেলকে দেয়া হয়। সে তার মনোনীত এক ব্যক্তিকে ৫০ টি করে কার্ড দিয়ে টিসিভির মাল লুটপাট করে এবং চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে টাকাট হিসাব দে।
বাজারের অটো রিক্সা ও সিএনজি চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয় মেষতলার ফয়সাল ও বারাইশের জয়নাল গংকে। প্রতিদিন চাঁদা উঠে ১৫ হাজার টাকা।
বোর্ড অফিসের বিচারের রফা দফার দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংপাইর টুটুন বাবুকে। বিচারের পূর্বে তার সাথে দেখা না করলে বা টোটন বাবু সিগন্যাল না দিলে কোন বিচার হয় না। এখানে টোটন বাবুর মাধ্যমে মাহফুজ আলম চেয়ারম্যান সাথে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়।
মুন্সিরহাট গরুবাজার দখল করে স্কুলের নামে মার্কেট করে প্রায় ২০-২৫ কোটি টাকা বাণিজ্য করে।
আরো শতশত অনেক কাহিনী আছে যা ফেসবুকে লিখে শেষ করা যাবে না। নারী কেলেঙ্কারি, মাদকের চাঁদা, সমাজে অসামাজিক আরো বিভিন্ন কাজকারবারের সাথে লেনদেন করে মাহফুজ চেয়ারম্যান।
এসব কারণে মুন্সিরহাটের সাধারণ জনগণ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্র ছিলেন।
এমপি মজিব সাহেবকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বার বার এইসবের বিরুদ্ধে বিচার দিলে ও কোন ফল পান নাই। মাহফুজ চেয়ারম্যান এমপি সাহেবকে টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করে নিতেন।
এখন প্রশ্ন হলো মাহফুজ চেয়ারম্যান শূন্য থেকে আজ শত কোটি টাকার মালিক। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মুন্সিরহাটে সাধারণ জনগণকে তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে অত্যাচার নির্যাতন মামলা হামলা করেছে সে।
এর দায় দায়িত্ব এখন আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা কর্মীরা নিবে কেন ?
মাহফুজ চেয়ারম্যান মানুষের প্রতি অত্যাচার করেছে, আমরা মুন্সিরহাটের সাধারণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার বিচার চাই।
তার কোন ডাকে আমরা সারা দিব না। মাহফুজ চেয়ারম্যানের বাহিনীর হাতে আমাদের অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও নির্যাতিত হয়েছেন।
আমরা প্রশাসন এবং দুদককে বলবো তার বাহিনী মাধ্যমে চেয়ারম্যান মাহফুজ আলম প্রতিদিন মুন্সিরহাট থেকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা তুলে। তার যথাযথ বিচার চাই।
আমরা সাধারণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মুন্সীরহাটের জনগণের সাথে আছি।
মাহফুজ চেয়ারম্যানের অপকর্ম কে আমরা মুন্সিহাট আওয়ামী লীগ সমর্থন করি না, তার সাথে আমরা নাই। লুট করেছে চেয়ারম্যান ও তার বাহিনী। তার দায়ভার আমরা কেন নিব।
সর্বশেষ চাঁদাবাজ, ভূমি দুস্য , লুটতরাজ মামলাবাজ এলাকার জনগণের শত্রু মাহফুজ চেয়ারম্যান বিচার চাই।
তার অপকর্মের হিসাব চলবে।