মোঃ কামরুল হাসান কাজল কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে মতবিনিময় করছেন জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে শুরু হয় আতঙ্ক। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে ফেলা হয়েছে সনাতন ধর্মালম্বীদের কিছু বাড়িঘর।
আজ মঙ্গলবার( ১৩ আগস্ট) এই সহিংসতা রুখতে ও সনাতন ধর্মালম্বীদের আতঙ্ক ও ভয়ভীতি দূরীকরণে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির পরিদর্শনসহ সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা করছেন জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের উপজেলা নেতাকর্মীরা।
গত রোববার থেকে মঙ্গলবার টানা তিন দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির পরিদর্শন ও সার্বিক খোঁজ খবর নেন। এ সময় তাদের আতঙ্ক ও ভয়ভীতি দূর করার জন্য মতবিনিময় করেছে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ ছাত্র শিবিরের নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা আমির মোঃ আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন জামায়াত যুব বিভাগ, শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন, পেশাজীবী পরিষদ, ওলামা বিভাগ ও ছাত্র শিবিরের বেশ কিছু নেতা- করমী অংশ গ্রহণ করেন। এসময় প্রতিটি এলাকায় মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনদের কোনো ধরনের গুজবে কান দেবেন না। যেভাবে এতদিন আপনারা স্বাধীনভাবে চলাফেরাসহ জীবন নির্বাহ করেছেন, ঠিক একইভাবে আপনারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবেন এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাধীনভাবে বসবাস করবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী কার্তিক চন্দ্র সাহা বলেন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় সার্বজনীন ও পারিবারিক মন্দির সহ প্রায় ৭০ টি মন্দির রয়েছে। আমাদের কোন ব্যক্তি বা মন্দিরে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। জামায়াত ও শিবিরের লোকজন আমাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন। আমরা নিশ্চিতে আছি।
এ প্রসঙ্গে জামায়াতের উপজেলা আমির আনোয়ার হোসেন জানান, অনেক কষ্ট করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারকে পতন করে নতুন বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো প্রকার অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা পরিবেশ দেখতে চাই না। সব সময় জামায়াত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে। সেই সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও তাদের সুরক্ষিত রাখতে মতবিনিময় সভাসহ সব খোঁজ খবর অব্যাহত থাকবে।