মোস্তাক আহমেদ বাবুর রংপুর ।
১৫ আগস্টকে ঘিরে আওয়ামীলীগ যাতে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করতে না পারে সেজন্য সৈয়দপুরের রাজপথে কঠোর অবস্থানে ছিল রংপুরের সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপিসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। তবে দলটির শহীদ তুলশীরাম সড়কের দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের ১৫/২০ জন নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর মোনাজাত করেছেন।
সুত্র জানায়, ১৫ আগস্টকে ঘিরে আওয়ামীলীগ যাতে কোনরকমের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সৈয়দপুরের রাজপথ দখলে ছিল বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের। কেন্দ্র থেকে ১৪ ও ১৫ আগস্ট দু দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করা হলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজপথে থেকে আওয়ামী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। এরই অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট অবস্থান নেয়। ছাত্র – জনতার গণআন্দোলন ঠেকাতে মরিয়া হয়ে ওঠা শত শত ছাত্র জনতাকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, কৃষকদল গোটা শহরে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে স্থাপন করা মঞ্চে দিনভর চলে প্রতিবাদি সমাবেশ। সেখানে বিএনপিসহ অঙ্গদলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশের ফাঁকে ফাঁকে চলে জাসাস শিল্পীদের অংশগ্রহণে সঙ্গীত পরিবেশন। সমাবেশে বক্তব্য বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম স্বপ্না, সাবেক এমপি আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, সিনিয়র সহ সভাপতি এ্যাড. ওবায়দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার শাহীন, বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম জনি, সামশুল আলম,শওকত হায়াত শাহ, আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক, পৌর কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু, আবু সরকার, রেজাউল করিম লোকমান, কামরুল হাসান কার্জন, যুবদল নেতা তারিক আজিজ, পারভেজ আলম, ছাত্রদল নেতা হোসাইন মোহাম্মদ আরমান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এম এ পারভেজ লিটন, কৃষক দল নেতা মাজহারুল ইসলাম মিজু বসুনিয়া,তাতীদলের জুয়েল বাবু, মহিলাদল নেত্রী রওনক জাহান রেনুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ চলাকালে বিএনপি যুবদল, ছাত্রদল,স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, তাতীদল, মৎস্যজীবী দল জাসাসের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। জানতে চাইলে সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শাহীন আকতার শাহীন বলেন,স্বৈরশাসক আওয়ামী সরকারের পতনে দেশের মানুষ তাদের ১৬ বছরের দঃশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। তাদের অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ করলেই বিরোধী মতের নেতাকর্মী ও প্রতিবাদি জনতার উপরে নেমে আসতো নির্যাতন। করা হতো গুম খুন। দেওয়া হয়েছিল হাজার হাজার মিথ্যে মামলা। এ অবস্থায় গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে টিকতে না পেরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় স্বৈরাচারী সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। পতন হয় আওয়ামী সরকারের। দেশবাসী আজ মুক্ত স্বাধীন। তারপরেও আওয়ামী লীগ ১৫ আগস্ট পালনের নামে নানা ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু আমরা তাদের ষড়যন্ত্র কখনই সফল হতে দিব না।
আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে বৃহস্পতিবার সৈয়দপুর ছাত্র সমাজও রাজপথে অবস্থান নেয়।
শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সিনিয়র কোন নেতাকর্মীকে রাজপথে দেখা যায়নি। তবে তৃণমূলের কয়েকজন নেতা ও কর্মী তাদের দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়। পরে মোনাজাত শেষ করে দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করেন তারা।