আজ ১৬ই আগস্ট শুক্রবার, সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে, বিজেপি ধর্ণা মঞ্চকে কেন্দ্র করে, শ্যামবাজার এক নং মেট্রো স্টেশনের কাছ থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত বিজেপি কর্মীদের সাথে পুলিশের বার বার বিক্ষোভ ও ধস্তাধস্তি বাঁধে, এবং বার বার মঞ্চ তৈরি করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আ্যরেস্ট করে, কোন ভাবেই মঞ্চ তৈরি করতে দেওয়া হয় না, সকাল থেকে প্রযাপ্ত পরিমান পুলিশি ব্যবস্থা ছিল, যাতে কোনো ভাবেই মঞ্চ তৈরি করতে না পারে।
মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ, এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবিতে আজ এই ধর্ণা মঞ্চ করার কথা ছিল।
এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ইন্দ্রনীল খান, অভিনেত্রী রুপা গাঙ্গুলী, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, তাপস রায়, অগ্নি মিত্রা পর, জয়ন্ত রায়, কল্যাণ চৌধুরী, সহ অন্যান্যরা।
সকাল থেকেই চলে বিজেপি কর্মীদের ধরপাকড়, রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ, সারাদিন শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে শুরু করে অন্যান্য রাস্তা অচল হয়ে পরে, এবং মাঝে মাঝেই পুলিশ এর ধস্তাধস্তি বাঁধে, এমনকি মহিলাদেও সাথে। এবং মহিলাদেরও ভ্যানে তোলার চেষ্টা করে, কিন্তু মহিলারা রুখে দাঁড়ান, বলেন ক্ষমতা থাকলে তুলে দেখান। বিজেপি মহিলা থেকে শুরু করে সকল সদস্যরা এমনকি নেতা নেত্রীরা পুলিশ গালিগালাজ করেন ও মন্ত্রীর চামচা ও খুনি বলে আখ্যা দেন। এমনকি দালাল বলতেও ছাড়েননি,
দুপুর থেকে রুদ্রনীল ঘোষ সহ অন্যান্য কর্মীদের গ্ৰেফতার করে নিয়ে গেলেও, খবর পাওয়ার সাথে সাথে আরো বিজেপি কর্মীরা আস্তে শুরু করেন। ফলে সারা এলাকা তোলপাড় হয়ে যায়, গাড়ি ঘোড়া যাতায়াত প্রায় স্তব্ধ।
বিকেল পাঁচটা নাগাদ সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য নেতারা আসার পর সমস্ত রাস্তা অবরোধ করে দেন, এবং বিজেপি কর্মীদের তুলতে গেলে সুকান্ত মজুমদার বলেন আগে আমাদের তুলবেন তারপর আমাদের কর্মীদের গায়ে হাত দেবেন।
পুলিশ অফিসারেরা সুকান্ত মজুমদার কে তুললে আরো বিক্ষোভ বারে, চলে পুলিশ লক্ষ্য করে গালিগালাজ, এরপর সবাই একে একে প্রিজন ভ্যানে উঠে ধিক্কার জানান। মহিলা কর্মীরা সুকান্ত মজুমদার এর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন, মহিলা পুলিশ টেনে সরাতে্ গেলে ,তাদের গুন্ডা ও মন্ত্রীর চামচা বলে চেঁচাতে থাকেন।
রিপোর্টার, শম্পা দাস ও সমরেশ রায় , কলকাতা,