বিশেষ প্রতিনিধি।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষর গাফিলতির কারণে হামলার শিকার হয়েছেন তিন সমন্বয়ক। প্রত্যক্ষদর্শি শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টা থেকে কলেজের ইনডো মাঠে অবস্থান করছিল। দুপুর পৌনে ১২টার সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সিমান্ত ও ছাত্রলীগ কর্মী আপনের নেতৃত্বে দেশীয় দাড়ালো অস্ত্রসহ ১৫-২০ জনের একটি দল বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিন সমন্বয়ক আহত হয়েছেন।
গোপন সূত্রে জানা যায়, গতকাল ছিল ১৫ই আগস্ট শোক দিবস, সেইখানে অনেকে একত্রিত হয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করে।
নাম বলতে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, গতকালের ঘটনা দেখে আমাদের কলেজের অনেক শিক্ষার্থীরা ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে। উক্ত ঘটনাটি অনেক সংবাদমাধ্যমে উঠে আসেন। এখন আমরা কলেজ শিক্ষার্থীরা কলেজে যেতেও অনেক ভয় এবং আতঙ্কে আছি। আমরা কলেজে যায় পড়াশোনা করার জন্য সেইখানে যদি এইরকম মারামারির ঘটনা ঘটে। আমাদেরতো নিরাপত্তার দরকার আছে। আমাদের কলেজের নতুন অধ্যক্ষ আসার পর থেকে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ছিল না নিয়।এখন আমাদের শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি এই প্রিন্সিপালের পদত্যাগ।
এ বিষয়ে অভিভাবকরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের ছেলে-মেয়ে অনেকেই কলেজ যাইতে ভয় পাইতেছে। আমরা এই ঘটনা নিউজে শুনা ও দেখার পর থেকে অনেক আতংকে আছি। এইভাবে চলতে থাকলে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক লেখাপড়ার ক্ষতি হবে। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এদিকে কলেজের গেটের দারোয়ান আহাম্মদ কারও অনুমতি ছাড়াই অনেক বহিরাগতদের প্রবেশ করতে দিছেন যারা কিনা শিক্ষার্থী না বলে জানা যায়। ছাত্র-ছাত্রীরা এই আহাম্মদকে অতি তারাতাড়ি আহম্মদকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার দাবি জানান। যাতে পরবর্তীতে কোন বাহিরের লোকজন প্রবেশ না করতে পারে। এবং ঝামেলার সম্মুখীন আমাদের না হতে হয়।
এব্যাপারে মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের (অধ্যক্ষ) আব্দুল মান্নান এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।