মোস্তাক আহমেদ বাবু রংপুর
রংপুর পীরগাছা ইটাকুমারী ইউনিয়নের চাঁদাবাজি মার্ডার মিথ্যা মামলা সহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকেই । এ,রকমটাই অভিযোগ পাওয়া গেছে আদম আলীর বিরুদ্ধে, এসব হয়রানির মুখে, ছাওলা ইউনিয়নের ইটভাটার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাতেন মন্ডল ও তার ছোট ভাই পশু চিকিৎসক রহমান মন্ডল কেও ফাঁসিয়েছেন সন্ত্রাসী আদম আলী ।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় :: বাতেন মন্ডলের অভিযোগ যে, গত কয়েক বৎসর আগে বাতেন মন্ডল পূর্ব ব্রাহ্মণীকুন্ডা বামন পাড়া মৌজায় একটি ইটেরভাটা ভাড়া নেন, তাম্বল- পুর ইউনিয়নের নেক মামুদ বাজারের নূরনবী ছেলে মোঃ মানিক মিয়া নিকট হতে । কিন্তু ওই ইটভাটার জমির মালিক ছিলেন আলিমুদ্দিনের ছেলে মোঃ রহমান মিয়া। তাহার সঙ্গে ইটা কুমারী ইউনিয়নের আদম আলীর সাথে টাকার লেনদেন ছিল রহমানের কিন্তু বাতেন মন্ডলের সঙ্গে কোন লেনদেন ছিল না আদম আলীর । একদিন ইট কেনার কথা বলে একটি মাইক্রোবাসে করে বাতেন মন্ডলের ভাটাতে আদম আলী যান, সেখানে গিয়ে বাতেন মণ্ডল ও তার ছেলেকে মাইক্রো- বাসে কিডন্যাপ করে নিয়ে যান অজানার উদ্দেশ্যে । কিন্তু ভাটার মেনেজার বুদ্ধি করে পীরগাছা থানায় ফোন করে বিস্তারিত ঘটনা বলার সঙ্গে সঙ্গে পীরগাছা থানা পুলিশের একটি টিম মাইক্রো বাসটি কে রংপুরের সাতমাথা নামক একটি স্থানে বাতেন ও তার ছেলেকে উদ্ধার করেন । পুলিশ সূত্রে জানা যায়,সে চাঁদা দাবি করে ছিল। চাঁদা না দিলে টাকা পাইবো বলিয়া আদম আলী কাউনিয়া থানায় বাতেন মণ্ডল ও তার ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেন। কিছুদিন পরে সেই মামলাটি কাউনিয়া থানা পুলিশ তদন্ত করে কোনরকম ঘটনার সত্যতা না পেলে সেই মামলাটি নিষ্পত্তি হয়ে যায় ।
উল্লেখ্য যে,, আবারো কয়েক মাস পরে পশ্চিম ব্রাহ্নিকুন্ডার কলাবাগানে শহর আলী নামের একটি ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায় । সেই মার্ডার মামলাতেও বাতেন মণ্ডল ও রহমান মন্ডলেকে ফাঁসিয়ে দেন আদম আলী । জানা যায় শহর আলী এবং তার পরিবার সঙ্গে অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলামের প্রতীক সম্পত্তি নিয়ে অনেকদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল,তারই ভিত্তিতে শহর আলীর পরিবার অ্যাড- ভোকেট জহুরুল ইসলামের সঙ্গে না পেরে তারা আদম আলীর আশ্রয় নেন এমনকি কিছু জমি লিখে দিলে আদম আলী তখন অ্যাড- ভোকেট জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকেন। কিন্তু নিয়তির খেলা বোঝা বড় দায়,এ যেন রক্ষক হয়ে গেল ভক্ষক। পীরগাছা থানা পুলিশের তদন্তে শহর আলীর মাডারের সঙ্গে আদম আলীর জোকসাজেশ ও তার বাহিনীর তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন পীরগাছা থানা পুলিশ । খুবই ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে শহরালিকে খুন করে রেখে আসে হয় অ্যাড- ভোকেট জহুরুল ইসলামের কলাবাগানে, যাতে করে ঐ মার্ডারের আঙ্গুল উঠে এডভোকেট জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আসলে এই মার্ডার মামলায় আদম আলী ও তার বাহিনীর সবাই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেল হাজতে যান । অথচ মাডারের সঙ্গে বাতেন মণ্ডল ও তার ভাই রহমান মন্ডলের কোন নমুনা ও তথ্য প্রমান পাওয়া যায়নি। তাই তারা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন । আবারো কিছুদিন পরে আদম আলী জেল থেকে বের হয়ে এসে ফন্দি আঁকতে থাকেন, কিভাবে বাতেন মন্ডল ও তার ছোট ভাই রহমান মন্ডলকে ফাঁসানো যায়। তেমনি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছেন আদম আলী গত ৫ই আগস্ট রাতে ১১,৩০ মিনিটের সময় মৃত শহর আলীর পরিবারের উপরে আবারো পরিকল্পিত ভাবে একটি হামলা হয়। হামলায় শহর আলীর পরিবারের ৫ সদস্য গুরুতরভাবে আহত হন। এমনকি তাদের বাড়িঘর লুটপাট সহ ভাঙচুর করা হয়। জানা যায় অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম এই হামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার । কিন্তু এই মামলাতেও বাতেন মন্ডল ও তার ছোট ভাই রহমান মন্ডলকেও আসামি করা হয় পীরগাছা থানায় । কিন্তু বাতেন মন্ডল ও রহমান মন্ডল এই মামলার সঙ্গে জড়িত নন বলে জানিয়েছেন বাতেন মন্ডলের স্ত্রী ।
আরো পড়ুন :; বিভিন্ন থানার সূত্রে জানতে পারা যায় যে, আদম আলীর বিরুদ্ধে ২০ রও বেশি মামলা রয়েছে বলে জানা যায় ।
এ ব্যাপারে , পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুশান্ত কুমার সরকার, গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সঠিক তদন্ত করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ,যাতে করে মিথ্যে মামলার হয়রানির শিকার কাউকে পড়তে না হয় । কেউ যদি, এই মামলার সঙ্গে জড়িত না থাকেন,সেক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ না পাওয়া গেলে। এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।