স্টাফ রিপোর্টার
কৃষক ঠকে মাঠে, ভোক্তারা ঠকে হাটে। রুখো সিন্ডিকেট, বাঁচাও কৃষক, বাঁচাও ভোক্তা জাগো জনতা এই প্রতিপাদ্যকে নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন এর আয়োজনে মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন মধ্যবিত্ত সহ সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে পাগল প্রায়।
তৈল, আলু, পিয়াজ, ডিম, মুরগী মাছ,সবজি, চিনি সহ
নিত্যভোগ্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে ভোক্তাদের আজ ত্রাহী অবস্থা। সকলের দাবী সিন্ডিকেট রুখার এখনই সঠিক সময়। সিন্ডিকেট কি সরকারের চাইতেও শক্তিশালী ছিলো? নাকি সর্ষের মাঝেই ভূত ছিলো? সাধারণ মানুষের আয় ও বেতন দ্রব্যমূল্যের সাথে মোটেই বাড়েনি। মানুষ ন্যায্যমূল্যে আলু, ডিম পিয়াজ খাওয়ার নিশ্চয়তা চায়। বিগত কয়েক বছরে সারা বিশ্বে খাদ্য পণ্যের দাম নিম্নমুখী অথচ সিন্ডিকেটের কারণে আজ দেশে ভোগ্য পণ্যের দাম লাগামহীন।
মানবতাবিরোধী অপরাধী তথা সিন্ডিকেট কে চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
১৪ আগস্ট ২০২৪ বিকেল ৬.০০ ঘটিকায় কেন্দ্রীয় দপ্তরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন এর সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক কর কমিশনার মীর্জা শরিফুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মুক্তালোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের, নির্বাচন কমিশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ডক্টর মোহাম্মদ জকরিয়া,প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন এর চেয়ারম্যান, রাস্ট্র চিন্তক ও নজরুল গবেষক মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান।
ভোক্তা অধিকার রক্ষায় ও বাজার সিন্ডিকেট রুখতে করনীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা
সৈয়দ রশিদুল আলম তর্কবাগীশ, মিসেস রেহানা সালাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আকবর হোসেন, লায়ন প্রফেসর আমিনুর রহমান, শিক্ষাবিদ ও কবি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, নাসরিন ইসলাম প্রফেসর ডক্টর শহীদ মনজু, লায়ন মোঃ জহুরুল ইসলাম মোঃ নাজমুল হক, মুহাম্মদ ফজলুল হক ফারুক, সুলতানা রাজিয়া, মোঃ মনির হোসেন, রাস্না হিমেল, এমডি রুমি অভিনেতা নাজমুল হক প্রমুখ। সভায় কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি পুনঃর্গঠন ও সারাদেশে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের কার্যক্রমকে আরো জোরদার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রধান আলোচক জাতীয় ভোক্তা অধিকার আক্রান্ত আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন বিগত ১৬ বছরে মহান জাতীয় সংসদের সিংহভাগ ছিল ব্যবসায়ী, অধিকাংশ মন্ত্রী ছিলেন ব্যবসায়ী, তারা সরকার, সংসদ এবং ব্যবসা সবকিছুই সিন্ডিকেট করে নিয়ন্ত্রণ করতেন। যার কারনে সিন্ডিকেট কে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি । বিগত ১৬ বছরের যারা সিন্ডিকেট করে কৃষককে ঠকিয়েছেন ভোক্তাকে ঠকিয়েছেন বিশেষ টার্সফোর্স গঠন করে তাদেরকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কৃষকের ন্যার্য মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকের বাজার সৃষ্টি করতে হবে। পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজারে মধ্যে পণ্য মূল্যের ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন অন্তর্বতীকালীন সরকার সিন্ডিকেট রুখতে সফল হবেন।