অথই নূরুল আমিন
আমাদের প্রান প্রিয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩বছর ধরেই ভারতের একটা কর্তৃত্ব আমরা সবসময় সব সরকারের আমলেই লক্ষ্য করেছি। যে সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে। তারা সবাই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর অনেক পরামর্শ মেনে রাষ্ট্র চালিয়েছে। অথচ ভারত থেকে বাংলাদেশকে দশ টাকা অনুদান দিতে আমি কখনও শুনিনি।
গত ৫৩ বছর ধরে যখন যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের মন্ত্রী এমপিরা দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছিল। তাই আমাদের দেশের কৃষক এবং কৃষি খাতকে ভারতের পণ্য বিক্রি করে বারবার লোকসানি করেছে।
আজ থেকে পঞ্চাশ বছর পূর্বে আমাদের দেশেও প্রচুর আলু পেয়াজ আদা হলুদ মরিচ উৎপাদন হতো। হলে কি হবে। এই যে আমাদের অসৎ সরকারের অসৎ বাণিজ্য মন্ত্রী,কৃষিমন্ত্রী,পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওদের সাথে খুব বেশি সখ্যতা থাকত ‘ র’ এর। প্রতিটা ফসলের ভরা মৌসুমে বিভিন্ন কৌশল বা অজুহাতে পেয়াজের মৌসুমে ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি করা হতো।
তখনই লোকসানি হতো আমার দেশের কৃষকেরা। এভাবেই আলুর সময় আলু। আদার মৌসুমে আদা হলুদ মরিচ চাল সহ আমদানি করার ফলে। বারবার কৃষকেরা ও লোকসানি হওয়ার ফলে। অনেক কৃষক আলু পেয়াজ আদা হলুদ মরিচ ও মুসরি ডাল ইত্যাদি চাষে উৎসাহ হারালো।
এখানে ‘ র’ তাদের দেশের লাভের জন্য এটা করেছে বারবার। তাদের ধারণা বাংলাদেশে ফসল উৎপাদন যত কম হবে ততই তাদের দেশের পণ্য আমাদের দেশে বিক্রি করতে পারবে।
ভরা মৌসুমে ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে গিয়ে আমাদের দেশের মন্ত্রীরাও মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ করত। যার ফলে আমাদের দেশের মন্ত্রী গণ আর আমাদের দেশের কৃষকদের লোকসানের ব্যাপারটা অনেকেই মাথায় রাখেনি। আর অনেকের এতদুর চিন্তা শক্তিই ছিলনা আমার মনে হয়।
আর বন্যা। এই ফারাক্কার বাঁধ সহ যত গুলো বাঁধ ভারতের সীমান্তে আছে। এ যেন বাংলাদেশের জন্য মরণ ফাঁদ। এই বাঁধকে পুজিঁ করে গত ৫৩ বছর ধরেই ওরা আমাদের কে যেমন করেছে শোষণ। তেমনি করেছে আমাদের দেশের কৃষকদের কে লোকসানি। তেমনি করেছে অবজ্ঞা আর অবহেলা।
তারপরও আমাদের দেশের নাবালক সরকার গুলোর জন্য আজীবন ভারতেই আমাদেরকে দিয়ে লাভবান হচ্ছে। আমি পূর্বেও বলেছি। ভারতের জাতীয় গ্রেডের বাৎসরিক জাতীয় উন্নয়নের পনেরো ভাগ উন্নয়ন বাংলাদেশ থেকে করা হয়। শুধু এই উন্নয়ন থেকেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর বেতন ভাতা বোনাস পেনশন সব হয়েও আরো থাকে।
আজকে সময় এসেছে। আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। ভারতের ‘র’ দের মায়ার জাল থেকে যতদিন পযর্ন্ত আমরা বেড়িয়ে আসতে না পারব। ততদিন এই দেশের স্বাধীনতার স্বাদ আমরা বা আমাদের প্রজন্ম ভোগ করতে পারবে না।