হৃদয় হাসান (স্টাফ রিপোর্টার)
শুক্রবার সকালে শহরের দড়াটানা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ভৈরব নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে এ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরের উপ-পরিচালক রফিকুল হাসান।
২৩ আগষ্ট সকাল ১০টা থেকে শহরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। প্রথমেই দড়াটানা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ভৈরব নদী দখলদারদের উচ্ছেদ শুরু হয়। নদীর পাড়ে সরকারি জমি দখল করে নির্মিত রাজধানী হোটেলের অর্ধেক স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর অভিযানিক দলটি ভৈরব নদীর দক্ষিণ পাড়ের দখলকৃত সকল স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালাতে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানায়, নদীর পাড়ে অসংখ্য দখলদার জমি দখল করে দোকান গড়ে তুলে ভাড়া দেয় যেখানে দোকান প্রতি ৫০-৫০০ টাকা পয়ন্ত দৈনিক চাঁদ দিতে হত। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এ টাকা নেওয়া হত। যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ ছিল এ অবৈধ স্থাপনা।
জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে এ উচ্ছেদ অভিযানে শহরবাসীর মাঝে স্বস্তি ফেরে। তারা দাবি জানান, ভৈরব নদীর দু’পাড়ের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে মানুষের চলাচলের পথ নির্মাণ করা হোক। এতে শহরের যানজট কমবে ও দড়াটানা থেকে বিজিবি ক্যাম্প ব্রিজ পর্যন্ত বাইপাস সড়ক তৈরি হবে। এ কাজে তারা প্রশাসনিক পদক্ষেপ দাবি করেন।