মো:মেহেদী হাসান ফুয়াদ
দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র রবিউল ইসলাম রাহুল হত্যার ঘটনায় দিনাজপুরে আরও একটি মামলার আসামি হলেন দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম। এ মামলায় ৩১ আওয়ামী লীগ নেতার নামসহ আরও ৪ শতাধিক অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ ফরিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর (২৬ আগস্ট) রাতে ওই মামলাটি দায়ের করেন নিহত রাহুলের বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সদর আসনের সাবেক এমপি ও তৎকালিন হুইপ ইকবালুর রহিমকে।
এ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন: জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের শহর সহ-ভাপতি শাহ আলম, যুবলীগের শহর সভাপতি আশরাফু আলম রমজান, আওয়ামী লীগের কোতোয়ালির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক রঞ্জন বসাক, যুবলীগ নেতা মো. মিথুন, মো. সুইট, ওবাইদুর রহমান, ৩নং ফাজিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, হারুনর রশিদ রায়হান, ওয়াসিম নূর তুষার, ৪ নম্বর শেখপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদ সরকার।
আরও আসামি করা হয়েছে: ৫ নং শশরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী রানা, ছাত্রলীগ নেতা মো. মিথুন, নূর মোহাম্মাদ, জাকির হোসেন, সাদেকুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, রুবেল, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদ আলম, রথীন্দ্র নাথ বসাক সুটু, ছাত্রলীগের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক, আব্দুল মালেক সরকার, রফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের ফাজিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আলী তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক উত্তম বসাক, মামুনুর রশিদ এবং অমিত বসাক ভোলাকে আসামি করার পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সদর আসনের সাবেক এমপি এবং সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উসকানি, প্ররোচনায় এবং তার নির্দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ক্ষতিকারক গ্যাস ও অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা এবং এলোপাতাড়িভাবে গুলিবর্ষণ করেন।
এ সময় অনেকের সঙ্গে রবিউল ইসলামও গুলিবিদ্ধ হন। এরপর গত ৯ আগস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে রবিউল ইসলাম রাহুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ আগস্ট আরেকটি মামলা দায়ের করেছিলেন রহান হোসেন নামে এক ব্যক্তি।