মোঃ মিনারুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শহরের দক্ষিণ বৃন্দাবনপাড়ার এলাকার শিমুল সরদার (৩৫) নামের এক দর্জি শ্রমিক নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল ও তিন সাংবাদিকের নামে মামলা হয়েছে। নিহত শিমুল সরদারের স্ত্রী শিমু বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় বগুড়ার সাবেক দুই এমপি, বগুড়ার তিন সাংবাদিকসহ ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৩০০-৪০০
আসামি হওয়া বগুড়ার তিন সাংবাদিক হলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও দৈনিক জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার মাহমুদুল আলম নয়ন, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চল ব্যুরো প্রধান হাসিবুর রহমান বিলু এবং বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের বগুড়া প্রতিনিধি জেএম রউফ। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ছাড়াও ককটেল ও পেট্রোলবোমা হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট দুপুরে শহরের ঝাউতলা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার এক দফার আন্দোলনে এসে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শিমুল সরদার। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় বগুড়া শহরের ঝাউতলা এলাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশে এবং সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান মজনু, রাগেবুল আহসান রিপুসহ চারজনের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা পিস্তল, কাটা রাইফেলসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা চালান। এসময় ছাত্র-জনতার মিছিলে ককটেল ও পেট্রোলবোমা হামলা করেন তিন সাংবাদিকসহ এজাহারভুক্ত আসামিরা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বগুড়ায় এর আগে আরও পাঁচটি মামলা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে চারটিতে হত্যা এবং একটিতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে শিমুল হত্যা মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান কামালকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, শিমুল হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বগুড়ার তিন সাংবাদিকের নামও রয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি রয়েছে ৩০০-৪০০ জন। আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।