মো: মোসলেম উদ্দিন সিরাজী
শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি
তারিখ: ৩১/০৮/২০২৪ ইং
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ আজাদ হোসেন আজাদ এর নেতৃত্বে দল গোছাতে ব্যস্ত উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশের হয়রানির ভয়ে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কর্মকান্ড গোপনে পরিচালনা করলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নেই কোন বাধানিষেধ। উপজেলার প্রতিটি দলীয় কর্মকান্ড এবং সরকারের জাতীয় প্রোগ্রামেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে তারা।
এমনকি উল্লাপাড়ার প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং গ্রাম পর্যায়ের জনগণ ও নেতা-কর্মীর সাথেও তারা দলীয় কর্মকান্ড নিয়ে মতবিনিময় শুরু করেছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে উল্লাপাড়ায় রাজনৈতিক মামলার শিকার হন সংগঠনটির প্রায় আড়াই হাজার নেতাকর্মী। এই প্রতিটি মামলা ছিলো রাজনৈতিক পুলিশ বাদী মিথ্যা এবং হয়রানি মূলক৷ দীর্ঘদিন মামলা চললেও এই শতাধিক মামলার একটিরও বিচার কার্য শেষ করতে পারেননি আদালত। এমন কি কাউকেই দোষী সাব্যস্তও করতে পারেনি।
কিন্তু এই মামলা গুলোতে কারাভোগ করেছে ১৫ শতাধিক নেতাকর্মী। অনেকেই পুলিশের হয়রানির ভয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন কিম্বা বিদেশে চলে গেছেন। যাদের কে অভিযুক্ত এবং মামলার বিবরণীতে আসামি করে যা বলা হয়েছে সংগঠনটির দাবি এটি মিথ্যা এবং সাজানো ঘটনা। বিগত সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পুলিশের সাথে বিএনপি’র সংঘর্ষে অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন।
বিএনপির রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় অন্তত ৫ শতাধিক ব্যক্তির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুলিশ হয়রানি কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। শতঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে আবারও নতুন দিগন্তের সূচনা করতে কাজ শুরু করেছে উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপি। বিগত সময়ে বিএনপির ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জ-৪ উল্লাপাড়া আসনটি। এ আসনে রয়েছে বিএনপির ব্যাপক আধিপত্য।
উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ আজাদ হোসেন জানান তার নামে আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক মামলা রয়েছে ৬০ টিরও বেশি, এই মামলা গুলোতে ১৭ বার কারাভোগ করেছেন। তার পরিবারের সকল সদস্যদের নামে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা রয়েছে। বিএনপি নেতা আজাদ হোসেন আরো জানান, বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে উল্লাপাড়ায় অন্ততঃ আড়াই হাজার নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করেছেন। বিএনপির ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত এই উপজেলায় সকল বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের সদস্য সচিব আজাদ হোসেন ইতিমধ্যে মাঠে-ঘাটে, হাট-বাজারে, গ্রাম-গঞ্জে সকাল-সন্ধ্যায় অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সকলের সহযোগিতা ও ভালোবাসা নিয়ে আগামী দিনগুলোতে শাসক নয়, সেবক হিসেবে দেশ গঠনের কাজে সম্পৃক্ত থাকতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।