1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
এনায়েতপুরে ১৫ পুলিশ হত্যায় মামলা আ.লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ আসামি ৬ হাজার - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
লালপুরে গভীর রাতে গ্রাম ঘুরে ইউএনও’র কম্বল বিতরণ আগামী ১৫ জানুয়ারি আমির ভাণ্ডার দরবার- এ নুরে আমির মঞ্জিলে ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হবে নওগাঁয় বিএডিসির বীজ ও সার ডিলার এসোসিয়েশনের দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীর জমি  জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা।বাধাঁ দেওয়ায় জীবন  নাশের হুমকি জগন্নাথপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৩ জুলাই’ বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে মুন্সীগঞ্জে জেলা পর্যায়ে ফাইনাল টুর্নামেন্ট খেলা পুরুষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ,ড্রোনের সাহায্যে, আলু খেতে ঔষধ প্রয়োগ শুরু হলো নাটোরের মহাশ্মশান মন্দির প্রাঙ্গণে তরুণ দাসের হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

এনায়েতপুরে ১৫ পুলিশ হত্যায় মামলা আ.লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ আসামি ৬ হাজার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

মো: মোসলেম উদ্দিন সিরাজী
শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি
তারিখ: ০১/০৯/২০২৪ ইং

সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র ও গুলি লুট এবং পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত ১৫ পুলিশ সদস্যের মধ্যে ১৩ জন ৪ আগস্টে মারা যান এবং বাকি দুজন পরের দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

গতকাল সোমবার রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল।

পুলিশ সুপার বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

এনায়েতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বাদী হয়ে রোববার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুল্লুক চাঁন, বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূইয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু বিভিন্ন সময়ে অবৈধ দাবি নিয়ে থানায় আসতেন। দাবি মেনে না নেওয়ায় এনায়েতপুর থানার পুলিশের ওপর তার ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারকৃত এক আসামিকে তাঁর দাবি মতো ছেড়ে না দেওয়ায় এবং ওই আসামির বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ায় তাঁর নেতৃত্বে ৪৫০-৫০০ জন অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারী থানা ঘেরাও করে এবং ওই সময়ের ওসি আব্দুর রাজ্জাকের অপসারণের দাবি করে। তা মেনে না নেওয়ায় তিনি এনায়েতপুর থানা-পুলিশের ক্ষতি করার সুযোগ খুঁজতে থাকেন।

অভিযোগপত্রে আরও জানানো হয়, এ অবস্থায় ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা এনায়েতপুর থানার সামনে সমবেত হন। এ সময় থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক হ্যান্ড মাইক দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাড়া-জনতার উদ্দেশে বলেন, এই থানা আপনাদের সাধারণ জনগণের।

আপনারা থানার কোনো ক্ষয়ক্ষতি করবেন না। ওসির কথায় ছাত্র-জনতা চলে যায়। পরে ১ নম্বর আসামি এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চুর নেতৃত্বে এজাহারনামীয় আসামিসহ ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার জন দুষ্কৃতকারী দলবদ্ধ হয়ে হাঁসুয়া, দা, লোহার রড, লাঠি, পেট্রলবোমা ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে থানায় হামলা চালায়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে তারা পুলিশের কোয়ার্টার ও ওসির বাসভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন দেখে পুলিশ সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চুর নেতৃত্বে আসামিরা থানা কম্পাউন্ডে এসআই তহছেনুজ্জামান, এএসআই ওবায়দুর রহমান, কনস্টেবল আরিফুল আজম, রবিউল আলম শাহ, হাফিজুল ইসলাম, শাহিন, রিয়াজুল ইসলামকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

একপর্যায়ে আসামিরা থানা ভবন ধ্বংস ও জীবিত পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দশ্যে থানা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে ইস্যুকৃত অস্ত্র, গুলি এবং জনসাধারণের জমাকৃত বেসরকারি অস্ত্র-গুলি লুট করে। তারপর লুণ্ঠিত অস্ত্র-গুলি এবং আসামিদের সঙ্গে থাকা বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে থানার ভেতরে ও বাইরে থাকা অফিসার ও ফোর্সকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।

অভিযোগপত্র অনুসারে, এ সময় থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক, এসআই আনিছুর রহমান, রহিজ উদ্দিন খান, প্রণবেশ কুমার বিশ্বাস, কনস্টেবল আব্দুল সালেক, হানিফ আলী থানার পাশে বাবু মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নিলে আসামিরা সেখানে গিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে তাঁদের। অন্য পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষায় পার্শ্ববর্তী বাড়িতে আশ্রয় নেন। এদের মধ্যে হামলায় আহত আরও দুই পুলিশ সদস্য এসআই নাজমুল হোসাইন ও কনস্টেবল হুমায়ুন কবির রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন অর্থাৎ ৫ আগস্ট মারা যান। এদিকে হামলার সময় এক নারী কনস্টেবলকে মারধর, টানা-হ্যাঁচড়া ও শ্লীলতাহানি করা হয়। পরে বিকেলে সেনাবাহিনীর একটি দল থানা এলাকায় পৌঁছে নিহত পুলিশ সদস্যদের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

এজাহারে থানার যেসব অস্ত্র লুট ও সম্পদ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তারও তালিকা দেওয়া হয়। সবকিছু মিলিয়ে এনায়েতপুর থানায় ৪ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি