আল-আমিন স্টাফ রিপোর্টারঃ শেরপুরের শ্রীবরদীতে একটি হত্যা মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলার আসামিদের বাড়িতে চলছে লুটপাটের রাজত্ব।
ফলে এ এলাকায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের মালাকোচা গ্রামের একটি গ্রাম্য মক্তবের নামে চাঁদা আদায়ের ঘটনা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৪ আগষ্ট শনিবার সকালে এক সংঘর্ষ সংঘটিত হয়।
এ সংঘর্ষে লিটন মিয়া ( ৫১) নামে নিহত হয়েছে। নিহত লিটন মিয়া মালাকোচা গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছে আরও ১০ জন।
এ বিষয়ে নিহতের বড় ভাই তোতা মিয়া বাদি হয়ে ওই গ্রামের মৃত তালেব আলীর ছেলে আলতাফ হোসেনকে প্রধান আসামী করে ২৩ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ২২ জনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন
মামলা দায়ের পর থেকেই আসামীরা ঘর-বাড়ী ফেলে রেখে আত্মগোপনে চলে যায়। ফলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
অপরদিকে এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ২২ জনকে আসামি করায় আসামিদের আত্মীয়-স্বজনের পাশাপাশি
মালাকোচা গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে।
ফলে শুরু হয় আসামিদের ফেলে যাওয়া বাড়িতে লুটপাট- ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ। সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে আসামীদের ১০ টি বাড়ির ১৫ টি ঘরের আসবাবপত্র, টিভি- ফ্রীজ, টাকা -পয়সা, স্বর্ণালংকার, ধান-চাল গরু -ছাগল, হাঁস - মুরগি, বাড়ির সামনের কাঠ বাগান লুটপাট করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পদই লুটপাট করে ক্ষান্ত হয়নি দুর্বৃত্তরা। ঘরের টিন,বিল্ডিংএর ইট পর্যন্ত খোলে নেয়া হচ্ছে। লুটপাটের ঘটনার খবর শুনে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে সটকে পরছে দুর্বৃত্তরা।
তারা ঘটনার স্থল ত্যাগ করার পর দুর্বৃত্তরা আবারো শুরু করছে লুটপাট। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানা পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, এ হত্যা মামলার আসামিরা ইতিপূর্বেও একাধিক হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আসামিরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশই তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে