হারুন শেখ বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
বাগেরহাটের রামপালের কুমলাই গ্রামের আওয়ামী সন্ত্রাসী রিয়াদ হাওলাদার ও জিয়াদ হাওলাদার নামের দুই সহোদরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে একটি পরিবার। তাঁরা একের পর এক হামলা, মারপিট, লুটপাট ও হুমকির প্রতিকার চেয়ে মামলা ও অভিযোগ করেও প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী মোঃ সুমন হাওলাদার এক সংবাদ সম্মেলন করেন,
রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ প্রেসক্লাব রামপাল কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার কুমলাই গ্রামের মোঃ রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে মোঃ সুমন হাওলাদার লিখিত অভিযোগে জানান, একই গ্রামের হামিদ হাওলাদার কে তার নিজ স্ত্রী রেবা বেগম ও তার পরোকীয়া প্রেমিক নৃশংসভাবে হত্যা করেন। সেই মামলায় পুলিশ আমাকে স্বাক্ষী করে দেয়। আমি আদালতে রেবা বেগমের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেই। এ ছাড়াও তাদের সাথে আমার দীর্ঘদিন যাবত খেজুরমহল মৌজার ৪ টি দাগে মোট ৭১ শতাংশ জমি নিয়ে আমার বিরোধ চলে আসছে।
আওয়ামী সরকার পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে নব্য নেতা সেজে গত ২০-০৮-২০২৪ তারিখ দুপুরবেলা আমার বাড়ীতে প্রবেশ করে হামলা করে তারা, আমার প্রতিবন্ধি ছেলেকে মারপিট করে। ঘরের মালামাল ভাংচুর, সোনাদানা ও টাকা পয়সা লুট করে নেয়। আমি নিরুপায় হয়ে হামিদের দুই পুত্র রিয়াদ ও জিয়াদসহ তার মা রেবা বেগমের নামে আদালতে মামলা করি। আদালত রামপাল থানাকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিয়াদ ও জিয়াদ আবারো গত ইং ১ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর দেড়টায় সময় বাড়ীতে প্রবেশ করে তারা আবারো হামলা করে। রাতে তারা আমার পোল্ট্রি ফার্মে প্রবেশ করে ৭ শত মুরগি জবাই করে নিয়ে যায়। কিছু জবাই করা মুরগি ফেলে রেখে যায়। এ সময় তারা ঘেরে জাল টেন অনুমান ৫/৬ মন বিভিন্ন প্রজাতির মাছও ধরে নিয়ে যায়। এতে আমার প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। এখানেও তারা থেমে থাকেনি। তারা যাওয়ার সময় একটি ফার্মে অগ্নি সংযোগ করে ভষ্মিভুত করে দেয়। যাওয়ার সময় তারা আবার জানমালের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এতে ভুক্তভোগীরা প্রাণ ভয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।