আজ ২ রা সেপ্টেম্বর সোমবার, ঠিক দুপুর দুটোয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট এর ডাকে,কলেজ স্কোয়ার থেকে কয়েক হাজার জুনিয়র ডাক্তার, বিনীত গোয়েল এর পদত্যাগের দাবি নিয়ে , লালবাজার অভিযান করলেন। এবং কুশ পুতুল পোড়ালেন।
আজকের মিছিলে জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে অংশগ্রহণ করেন, কামদুনির মহিলারাও, তারাও কমিশনার বিনীত গোয়েল এর পদত্যাগ চাই। তারা বলেন উনিই মেয়েদের ইজ্জত নিয়ে খেলা করছে, আর একের পর এক প্রমান লোপাট করছে, আর সমস্ত কিছু ধামা চাপা দিচ্ছে, ওনার লজ্জা হওয়া দরকার, মেয়েদের নিয়ে এই ভাবে সম্মান নিয়ে খেলার। আর যেখানেই এই ধরনের ঘটছে সেখানে মেয়েদের মূল্য হিসাবে টাকা ঘোষণা করা হচ্ছে , বাংলার এর চাইতে লজ্জা কর বিষয় আর কিছু নাই, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, আর সেই রাজ্যে ঘটে চলেছে মেয়েদের উপর এই ধরনের ঘটনা।
মিছিল শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই , কলেজ স্কোয়ারে প্রশাসনের লোকেরা উপস্থিত হয়েছিলেন।, ঠিক মিছিল শুরুর সাথে সাথে, কয়েক হাজার জুনিয়র ডক্টর মিছিলে পা মেলা ন, প্রত্যেকের হাতে ছিল বিনীত গোয়েলের পোস্টার এবং পদত্যাগের দাবি, মিছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে বেরিয়ে এম জি রোড ধরে ,সেন্ট্রাল হয়ে যখন লালবাজারের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন, ঠিক লালবাজারের কিছুটা দূরে তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেন। কয়েকশো পুলিশ সেখানে মোতায়েন করেন।
কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা থেমে থাকেননি, তাদের একটাই দাবি পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ চাই, যিনি ধর্ষণ ও খুনের প্রমাণ লোপাটে সক্রিয় হয়েছিলেন, এবং ১৪ ই আগস্ট রাতে পুলিশের নিষ্ক্রিয় আর জি করে পরিকল্পিত গুন্ডা আক্রমণের সফল হতে দিয়েছেন। সকল ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ চাই। এবং অভয়ার দোষীদের শাস্তি চাই। মিছিল আটকানোর কিছু পরে, ডিপু স্টেশন দিতে কয়েকজনকে পুলিশের ব্যারিকেডে লালবাজার নিয়ে যান।
লালবাজার থেকে ডেপুটেশন দিয়ে না আসছেন, তারা রাস্তার উপর বসে পড়েন, এবং একটি কুসপুতুল পোড়ান, শুধু তাই নয়, সারা রাস্তায় তারা রং দিয়ে বিভিন্ন দাবি এবং প্রতিবাদ তুলে ধরেন।
বলেন যতদিন না দিদির দোষীদের শাস্তি হবে, আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব, আমাদের আন্দোলন থামাতে কেউ পারবেনা, আর আমরা আরেকটা অভয়া হতে দেব না, অপদার্থ পুলিশ কমিশনার বিনীত কোয়েলের পদত্যাগ করে দূর হাটো, এবং সকল ডাক্তারদের ও সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। স্বৈরাচারী সিন্ডিকেট দুর হটো।
রিপোর্টার ,সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা