আজ ৩রা সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, ঠিক দুপুর বারোটায়, কলেজ স্কোয়ার বিদ্যাসাগর মূর্তির উদ্যানের সামনে, অল ইন্ডিয়া, এ আই ডি এস ও ডাকে ছাত্র সমাবেশ করলেন এবং মিছিল করে তারা শ্যামবাজার পর্যন্ত রাজপথ দখল করলেন। প্রায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার ছাত্রছাত্রী এই সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ করে। এবং রাজপথ দখল করেন।
এই সমাবেশ মিছিলে এই সমাবেশ ও মিছিল শুরুর আগে, রাজ্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা ঐতিহাসিক খাদ্য আন্দোলনে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন, এরপর একে একে সমাবেশ মঞ্চে বক্তব্য রাখেন।
সভা ও মিছিলে সভাপতিত্ব করেন, রাজ্য কমিটির সভাপতি মনি শংকর পট্টনায়ক, বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পল্লব পেগু, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলী সদস্য এবং আরজিকর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন শুভঙ্কর চ্যাটার্জি।, সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় সহ বিভিন্ন কলেজের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা।
এই সভা অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন নাটক, গান ও নৃত্যের মধ্য দিয়ে, আরজি করের ঘটনাকে সামনে রেখেই তাদের এই পরিবেশন,
মিছিল শুরুর সাথে সাথে, বৃষ্টির নামলেও , কেউ মিছিল ছেড়ে পিছুপা হয়নি, সকল ছাত্র-ছাত্রীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না আমাদের দিদির বিচার হবে আমরা এক পাশ করবো না। তাদের স্লোগান দিদির বিচার চাই, দোষীদের শাস্তি চাই, বেশ হওয়ার অনেক আগে থেকেই শয়ে শয়ে পুলিশ উপস্থিত ছিলেন মঞ্চের চতুর্দিকে, এবং মিছিল শুরু হওয়ার সাথে সাথে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে কয়েকশো লাঠিধারী পুলিশ ব্যারিকেট করে সক্রিয় হয়ে থাকেন, যাতে কোন রকম গন্ডগোল না করে, কারণ শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজি মূর্তির সামনে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন, হাই মিছিল যাওয়ার সাথে সাথে বারবার মাইকিং করে তারা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন কেউ ১৪৪ ধারার মধ্যে প্রবেশ করবেন না।
মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে ও সারিবদ্ধ ভাবে তারা শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় হয়ে শ্যামবাজার এক নম্বর মেট্রো সামনে সমাপ্ত করেন ।
তবে আজ প্রমাণ করে দিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীরা , আমরা আছি দিদির পাশে, মিছিল যখন শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে পৌঁছায় তার শেষ কিন্তু বিবেকানন্দ রোড ছাড়িয়ে রয়েছে, এই সুবিশাল মিছিল দেখতে রাস্তা দু’ধারে সাধারণ মানুষ অপেক্ষা করতে থাকেন, শুধু তাই নয় সমস্ত রাস্তা ও বাস চলাচল অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এবং পাশে যারা সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাদেরও কিছু মুখে শোনা যায় বিচার চাই। তাই নয়, স্কুল ও কলেজ থেকে বেরিয়ে যারা যাচ্ছিলেন তারাও একই সরে গলা মেলান
উই ওয়ান্ট জাস্টিস। জাস্টিস ফর আরজিকর। কোন আড়াল নয়, দোষীদের শাস্তি চাই।
রিপোর্টার , শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা