কক্সবাজার প্রতিনিদি।
লোকমান ইসলাম রানা
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় হত্যা, ধর্ষণ, জঙ্গী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক, অপহরণ ও দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২। র্যাবের ক্রমাগত গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে কক্সবাজারের পিএমখালী’সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এ সকল সন্ত্রাসীরা বারংবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠার ফলে দেশী-বিদেশী অবৈধ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে তাদের দৌরাত্ম দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরূপ পরিস্থিতিতে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও জনসাধারণের জানমালের রক্ষার্থে বর্ণিত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে র্যাব-১৫ কক্সবাজারের পিএমখালী’সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
৩। এরই ধারাবাহিকতায়, অদ্য ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ অনুমান ০৪.০০ ঘটিকার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব নওশের ইবনে হালিম এর উপস্থিতিতে কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নস্থ মাইজপাড়া এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে (র্যাব, সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং বিজিবি) একটি বিশেষ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দলের মূলহোতাসহ আটজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে সর্বমোট ০২টি বিদেশী পিস্তল, ০৩টি ওয়ানশুটার গান, ০২টি এলজি পিস্তল, ৪৮ রাউন্ড কার্তুজ, ০৩টি ম্যাগাজিন, ০৫টি দামা, ০২টি কিরিচ, ০১টি চাইনিজ কুড়াল এবং ০১টি চেইন উদ্ধার করা হয়।
৪। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীদের বিস্তারিত পরিচয় :
১) কলিম উল্লাহ (৩৪), পিতা-মৃত কবির আহাম্মদ, মাতা-হাজেরা খাতুন।
২) মোঃ খোরশেদ আলম (৩৭), পিতা-মৃত ফুরকান আহাম্মদ, মাতা-মাছুদা খাতুন।
৩) মোঃ হাসান শরীফ লাদেন (২০), পিতা-মোঃ শফিউল্লাহ, মাতা-শাহিনা আক্তার।
৪) মোঃ শাহিন (২৩), পিতা-মোহাম্মদ আলী, মাতা-জাহানারা বেগম।
৫) মোঃ মিজান (২০), পিতা-মাহাবুল্লাহ, মাতা-খুরশিদা আক্তার।
৬) আব্দুল মালেক (৪৮), পিতা-মৃত কবির আহাম্মদ, মাতা-হাজেরা খাতুন।
৭) আব্দুল হাই (২৪), পিতা-মাহমুদুল হক, মাতা-বুলবুল আক্তার।
৮) আব্দুল আজিজ (২৫), পিতা-মাহমুদুল হক, মাতা-বুলবুল আক্তার।
সর্বসাং-মাইজপাড়া, ৯নং ওয়ার্ড, পিএমখালী ইউনিয়ন, কক্সবাজার সদর, কক্সবাজার।
৫। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজারের পিএমখালী’সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। এছাড়াও তারা দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দ্বারা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাতো এবং এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতো। বিভিন্ন অপরাধ ও আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন মাধ্যম হতে অবৈধ দেশী-বিদেশী অস্ত্র-গোলাবারুদ ক্রয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এ সকল অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করতো এবং কার্যশেষে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে রাখতো বলে জানা যায়।
৬। উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার সদর মডেল থানার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।