মো লুৎফুর রহমান রাকিব কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি।
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ইং চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী নৈশকোচে পেট্রলবোমা হামলা চালিয়ে ঘুমন্ত ৮ যাত্রীকে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যা ও নাশকতার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ও এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের স্থানীয় নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলা করে পুলিশ।
এ মামলায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি, কুমিল্লা দ. জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক জননেতা কামরুল হুদা দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস কারাভোগ করেন।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের একটি নৈশকোচ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় আসার পর আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা মাফিক নিক্ষিপ্ত পেট্রলবোমা হামলায় ঘটনাস্থলে ৭ জন এবং পরে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে রাশেদুল ইসলাম নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়। মামলায় এজাহারে অভিযুক্ত যারা আলোচিত ওই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ও চৌদ্দগ্রামের সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দলের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, রুহুল কবির রিজভী ও সালাহউদ্দিন আহমেদকে হুকুমের আসামি করে মামলা দায়ের করে।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাবেক চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহীম।
ঐ সময় চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ছিলেন উত্তম চক্রবর্তী।
ঐ দিন মুজিবুল হক মিয়া বাজারে প্রতিবাদ মিছিল করে। তিনি ঘুমন্ত মানুষ কে হত্যা করলেন -আবার তিনিই প্রতিবাদ মিছিল করলেন!
হায়রে সেলুকাস......
ঐ দিন মিয়াবাজারে বক্তব্য রাখেন মুজিবুল হক, প্রয়াত সামছুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সেলিম, আলী হোসেন, প্রয়াত নুরুল ইসলাম হাজারী, জগমোহনপুর গ্রামের বড় কিলিকবাজ আবদুল বারেক, শাহজালাল মজুমদার, আক্তার হোসেন পাটোয়ারী, জিএম মীর হোসেন মীরু, রহমত উল্লাহ বাবুল, মিয়া মোঃ নিজাম, মাহবুব হোসেন মজুমদারসহ আওয়ামী নেতৃবৃন্দ।
ঐ কিলিকবাজ বারেক বহু নিরীহ লোককে মামলার আসামী করিয়েছে।
প্রায় অনেকেই দীর্ঘ দিন এ মামলায় কারাভোগ করেন।
এখনি সময় তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার।