1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
নওগাঁয় ৯৭ বছরের অন্ধ হারেজ উদ্দিন নাতির ঘাড়েভর দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেখার কেউ নেই - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ভালুকায় ছিন্নমূল ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন (পিপি) অ্যাডভোকেট আনোয়ার আজিজ টুটুল দেবীনগর ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত আইন শৃংখলা বিষয়ক সচেতনতা সৃ্ষ্টিতে আশাশুনি পুলিশের বিশেষ মহড়া ধামইরহাটে ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন করায় এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিলেন ইউএনও মুক্তি সংগ্রামের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি ভোলায় শ্রদ্ধা নিবেদন করলো- বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন “রংপুরে বিএনসিসি’র এক্স ক্যাডেটস্ মিলনমেলা-২০২৫ অনুষ্ঠিত” গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে  দুর্ঘটনায় নিহত- ২ শিবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন  আপন’র সাধারণ সম্পাদকের পিতার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত বিট-পুলিশ এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জ উপজেলা জাসাসের কমিটি বর্ধিত হয়ছে

নওগাঁয় ৯৭ বছরের অন্ধ হারেজ উদ্দিন নাতির ঘাড়েভর দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেখার কেউ নেই

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

 

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ

নওগাঁর সাপাহারের ৯৭ বছরের প্যারালাইসিস আক্রান্ত অন্ধ বৃদ্ধ হারেজ উদ্দীন। এক মুঠ ভাত ও ওষুধের আশায় তার ১০ বছরের নাতনির ঘাড়ে ভর করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। অসহায় অবস্থায় অন্যের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় নেই এই অশীতিপর বৃদ্ধের।বুধবার (৪সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে শতাব্দী ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধ হারেজ উদ্দীন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার দুঃখের কথা। তিনি বলেন, আমার এক ছেলের নাম আবু বক্কর। বয়স ৩৫ বছর। অন্ধ সেই ছেলে জন্ম থেকে বাড়িতেই থাকে। ছেলেকে বিয়ে দিয়েছিলাম। দেড় বছরের মাথায় ছেলের বউয়ের জমজ সন্তান হয়। এর মধ্যে ছেলে সন্তানটি মারা যায়। সন্তান জন্মের ৪ মাসের মাথায় বেঁচে থাকা মেয়ে সন্তানটিকে বাড়িতে রেখে অন্য কোথাও পালিয়ে যায় ছেলের বউ। আজ প্রায় ১০ বছর হলো কোনো খোঁজ নেই।
বৃদ্ধ হারেজ বলেন, আমার স্ত্রী রোকেয়া বেগমও (৬৫) ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। ৩ মাস পর পর বয়স্কভাতার ১৮৫০ টাকা পাই, তা দিয়ে চাল ডাল কেনাই কঠিন। মাছ-মাংসতো জোটেই না।চার বছর হলো চোখে দেখি না। আর ৮ মাস ধরে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে হাটতেও পারিনা। দুমুঠো ভাতই জোটে না বলতে গেলে। ওষুধতো কিনব কীভাবে? শতবর্ষী হারেজের কণ্ঠভারী হয়ে আসে। তিনি বলেন, এর কাছে ওর কাছে হাত না পাতলে চার সদস্যের পরিবারে চুলাই জ্বলে না। ঝড় বৃষ্টির দিনে সবচেয়ে কষ্টে দিন কাটে। কোনো কোনো দিন না খেয়েও থাকতে হয়। আবার এক বেলা খেয়েও দিন পার করতে হয়। বাড়ির সবাই খুব কষ্টে আছি, এই তো মোর জীবন বাপ।তিনি আরও জানান, সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি একটু আর্থিক সহযোগিতা করতো, তাহলে এই বৃদ্ধ বয়সে একমুঠো ভাতের জন্য রাস্তায় নামা লাগতো না। সমাজের সামর্থ্যবান মানুষদের মানবিক সহায়তার দিকে তাকিয়ে তিনি। বৃদ্ধ হারেজ উদ্দীন সাপাহারের আমডাঙ্গা গ্রামে বসবা

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি