আজ ৭ই সেপ্টেম্বর শনিবার, আর জি কর মেডিকেল কলেজের ডাক্তারি ছাত্রীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে, মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার এর উদ্যোগে, কয়েকশো নার্স, ডাক্তার, খেলোয়াড় একত্রিত হয়ে , এন আর এস হসপিটাল এর কাছ থেকে মিছিল করে তারা রানী রাসমণি রোডের সামনে আসেন। এবং রাজ্যপাল কে ডেপুটেশন দেন।
মিছিল যখন এন আর এস হসপিটাল থেকে শুরু হয়ে লেলিন সরণি ধরে ধর্মতলার কাছাকাছি আসেন , তখন প্রশাসনের লোকেরা ব্যারিকেট করে তাদেরকে রানী রাসমণি রোডে নিয়ে গিয়ে আটকে দেন।
একদিকে ধর্ণা মঞ্চে
বিজেপির প্রতিবাদ জাস্টিস ফর আরজি কর, অন্যদিকে এই সকল ডাক্তার নার্সরা এবং খেলোয়াড় সহ তাদেরও একই দাবি জাস্টিস ফর আরজি কর। কোনো ভাবেই যেনো না দোষীরা ছাড়া পায়, অভয়ার সঠিক তদন্ত চাই। মিছিল রাসমণি রোডে আটকালে আটকালে, পাঁচজন প্রতিনিধি রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দিতে যান, আগে থেকে বলা সত্ত্বেও রাজ্যপাল আজকে মুম্বাই চলে যান বিশেষ কাজে ,এই নিয়ে খোভ সৃষ্টি হয় মিছিল কারীদের, তারা বলেন কি রকম দায়িত্বহীন রাজ্যপাল, আমরা আগে থেকে জানিয়ে রেখেছিলাম , তাও তিনি পাঁচ মিনিট সময় না দিয়ে চলে গেলেন। এতগুলো মানুষ এই গরমে মিছিল করে এসেছে অথচ রাজ্যপাল না দেখা করেই চলে গেলেন। উনি জানেন নয় তারিখে সুপ্রিম কোর্টের হেয়ারিং আছে। আর আমরা সেই নিয়েই রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দিতে এসেছিলাম।
আজকের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ডঃ বিনায়ক সেন, ডক্টর এ এন সরকার, ডক্টর অশোক সামন্ত, সজল বিশ্বাস, খেলোয়াড় রাজীব গুহ সহ অন্যান্যরা।
তারা বলেন বিরোধী শাসক দলেরা বারবার চেষ্টা করছেন, কেসটাকে কিভাবে ধামাচাপা দেওয়া যায়, কিন্তু আমরা থেমে থাকব না এ লড়াই চালিয়ে যাব, সঠিক বিচার চাই। আর জি করের খুনি শাস্তি চাই।
আমাদের দাবিগুলি হল,
অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত দুর্নীতি চক্রের অবসান ঘটাতে হবে।
প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাক্তার সন্দীপ ঘোষকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করতে হবে
সমস্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়া এবং নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলে সুরক্ষা দায়ভার রাজ্যের প্রশাসনকে নিতে হবে।
প্রমাণ লোপাট করতে যে সমস্ত আধিকারী গো পুলিশ অফিসার যুক্ত ছিলেন তাদের বরখাস্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে
মিছিলে একটি কথা বলেন সকলের উদ্দেশ্যে, কেউ যেন না চলে যায়, যতক্ষণ না ডিপুটেশন দিয়ে ফিরে আসছে। এ লড়াই সব মেয়েদের অধিকারের লড়াই এ লড়াই সব বাবা-মায়ের অধিকারের লড়াই। আর একটাই দাবি জাস্টিস ফর আরজিকর।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস কলকাতা