আজ ৯ই সেপ্টেম্বর সোমবার, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা বিকাশ, মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম, ছোট থেকেই দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে জীবনে বড় হয়ে ওঠা, বাবা মারা যাওয়ার পর সামান্য বয়সে পরিবারের গোটা দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন।
মাটির মূর্তি বানিয়ে চলে তার দিন যাপন , তবে তার ছোটবেলা থেকেই ধ্যান ও জ্ঞান সংগীত। কাজের ফাঁকে যখনই সময় পান, বসে জান কখনো হারমোনিয়াম নিয়ে , কখনো গিটার নিয়ে। সারাদিন হাড় ভাঙ্গা খাটুনির পর সকাল বিকাল নিয়মিত রেয়াজ করতে থাকেন। গানের গলা শুনলে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে। যুবকের সংগ্রাম চোখে জল আনবে সকলের।
বাবার অসুস্থতা থেকেই তাকে হাল ধরতে হয়েছিল সংসারের, এরপর বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারে পুরো দায়িত্ব তার কাঁধে, তবে বড় হতেই তিনি শুরু করেছেন গান বাজনার চর্চা ও প্রশিক্ষণ। সারা দিনের কাজের পরে যেটুকু সময় পান রেয়াজ করতে বসে যান। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় থেকে বড় হয়ে ওঠা, পেশাগতভাবে তিনি মৃৎশিল্পী। বছরের বিভিন্ন সময়ে মাটির প্রতিমা গড়ে তার সংসার চালাতে হয়। বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়,
আর চেষ্টা এনে দিয়েছে জেদ। তিনি হাল ছাড়েননি, তিনি মাঝে মাঝে স্টেজ প্রোগ্রামও করেন, সংসার কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, তাই সামনেই দুর্গাপুজো, দিন রাত এক করে প্রতিমা গড়তে মরিয়া শিল্পী বিকাশ। শুধু তাই নয়, এখনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গানের জন্য নিয়মিত রেওয়াজ করে সংগীত শিল্পী বিকাশ।
যে একসময় ভেবেছিল গান বাজনা তার হবে না , নিজের জেদ এবং কঠোর পরিশ্রমে গানের গোলাকে ধরে রেখেছেন তিনি। তার এই প্রচেষ্টা জনগণের সামনে দৃষ্টান্ত করলো। একদিকে মৃৎশিল্পী অন্যদিকে সকলের মনের মনি কোঠায় বেড়ে উঠা সঙ্গীত শিল্পী। যা তার মনকে সাহস যুগিয়েছে এবং সংসারকে বাঁচিয়ে রেখেছে এই দুটি প্রচেষ্টা।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস কলকাতা