আজ ১০ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, ঠিক দুপুর বারোটায়, ধর্মতলার শহীদ মিনারের সামনে, এসএস সি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষা চাকুরী প্রার্থীরা, সঠিক বিচারের দাবিতে, প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চাইলেন এবং বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন দিতে যান,
তাহারা একটি মিছিলের মাধ্যমে মাধ্যমে শহীদ মিনার থেকে হাইকোর্টের উদ্দেশ্যে যান, আমাদের একটাই দাবি কুড়ি মাস হয়ে গেল , অথচ আমরা চাকরিতে ঢুকতে পারলাম না স্কুল যেতে পারলাম না।, এখনো শুধু অযোগ্যদের কথা ভাবছে ,
তাই আমরা দাবী জানাচ্ছি আর অযোগ্যদের কথা না ভেবে যোগ্যদের কথা ভাবুন ,আমাদের চাকরি দিন , আমরা স্কুল যেতে চাই।
আর এটাকে ঢিলেমি না করে, আমাদের কথা ভেবে একটু জানান, অযোগ্য প্রার্থীর ডাবলু পিএ ২৫০৫৬ অফ ২০২২ এই মামলায় কোন Lucas নেই। তাই এই মামলার দুটো নিষ্পত্তি হোক।
আমরা বাঁচতে চাই, ১২৮০ জন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীকে দুটো স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দিন এবং সুব্যবস্থা করুন। অযোগ্যদের কথা শুনছেন ভাবছেন কিন্তু এই ১২৮০ জনের কথা একবারও শুনছেন না, তাই আমরা প্রধান বিচারপতি মহাশয়ের হস্তক্ষেপ চাইছি।
কেন আমাদের চাকরি নিয়ে, হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে বল ছোঁড়াছুঁড়ি হচ্ছে, কেন আমরা দুই বছর রিকমেন্ডেশন লেটার পেয়েও চাকরির আশায় দিন গুনছি। আমরা জানাই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে ,নিজে হস্তক্ষেপ করে এই জটিলতা দূর করুক এবং আমাদের মুক্তি দিক।
সমস্ত চাকুরি প্রার্থীরা যখন শহীদ মিনারের সামনে জমায়েত হন এবং মিছিলের আয়োজন করেন, হাইকোর্ট পর্যন্ত মিছিল করে যাবেন বলে, তখন পুলিশ প্রশাসনের অফিসারেরা চাকুরী প্রার্থীদের সাথে আলোচনায় বসেন, এবং বলেন আপনাদের কোন পারমিশন নাই এবং হাইকোর্ট পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যাওয়া যাবে না।, কারণ ওখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস থাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা থাকে, আপনারা এখান থেকে গান্ধী মূর্তি পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যেতে পারেন এবং সেখান থেকে যাহারা প্রধান বিচারপতির কাছে যাবেন, তাদেরকে আমরা নিয়ে যেতে পারি। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে আলোচনা।, এরপর তাহারা তিনটে সাড়ে তিনটে নাগাদ মিছিল করে আকাশবাণী পর্যন্ত যান এবং সেখান থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি হাইকোর্টে যান,
প্রশাসনের অফিসারেরা সহযোগিতার চেষ্টা করেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, এবং চাকরি প্রার্থীদের একটাই দাবী, আর সময় নষ্ট নয়, আমাদেরকে স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন, আমরা স্কুলে চাকরি করতে চাই। আর কাল বাহানা নয়, প্রত্যেকে মাথায় ফিটে বেঁধে এই আন্দোলন গড়ে তুললেন। চাকরির দাবীতে
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা,