আজ ১১ই সেপ্টেম্বর রবিবার, ঠিক বিকেল পাঁচটায় , সুলেখা মোড় সংলগ্ন, ভেনু সেনকো গোল্ডের তৃতীয় তলায়, রিতা পাল এর পরিচালনায় … তুলির টানে শাড়ী ..অপরূপা নারী… এই ট্র্যাকলাইনকে বেশ করে, তৃতীয় তম মহিলারা RAMP শো করলেন, এবং একটি সুবিনীয়ারের শুভ সূচনা করলেন। যাহা সকলকে মুগ্ধ করেছে।
যাহারা এই র্যাম্প শোতে অংশগ্রহণ করেছেন, তাহারা প্রত্যেকেই সুদক্ষ্য চিত্রশিল্পী,
তাহাদের মধ্যে ছিলেন, চিত্রশিল্পী রিতা পাল, রানু হালদার, ঈশা ভট্টাচারিয়া, নীলাঞ্জনা পতি, গিতালী ব্যানার্জি, মধুমিতা দে, অনুরাধা গায়েন, পিয়ালী দাস, ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী, সোনালী স্মীথ, সোমা মুখার্জি , কৃষ্ণা রায়, পূবালী চ্যাটার্জী, রুপসা, শিখা বিশ্বাস, তনিমা ভট্টাচারিয়া, এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, অলক বাসু ও রীনা বাসু, সহযোগিতায় ছিলেন স্বপ্ন নীল পাল এবং শীল্পাঙ্গন আর্ট এন্ড ক্রাফ্ট স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় এবং সম্মানীয় অতিথিদের উত্তরীয় ব্যাচ পরিয়ে সম্মানীত করেন।
যে সকল মহিলা চিত্রশিল্পীরা রং তুলির মধ্য দিয়ে, বিভিন্ন ছবির সৃষ্টি করেন,সৌন্দর্য তুলে ধরেন, আজ সেই এক ঝাঁক শিল্পী , তাহাদের নিজের হাতে তৈরি শাড়ি পড়ে RAMP হারলেন, সকলের মনকে মুগ্ধ করলেন, এই সুন্দর অপরূপ শাড়িতে, চিত্রশিল্পীরা ক্যানভাস এর মধ্য দিয়ে, সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কাজ শাড়িতে তুলে ধরলেন, সুন্দর সুন্দর রংয়ের ও হাতের কাজে,
সংক্ষিপ্ত কথার মধ্য দিয়ে উদ্যোক্তা রিতা পাল সহ কয়েকজন শিল্পী জানালেন, ভারতীয় মহিলাদের কাছে শাড়ী শুধু একটি পোশাক নয়, সেটি একটি আবেগের নামও বটে। কিন্তু আমাদের বড় হয়ে ওঠা মায়ের শাড়ী পড়ে, আর সেই থেকে প্রত্যেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও উদযাপনে আমরা বেছে নিয়ে থাকি শাড়ীকেই, এক একটি শাড়ির সাথে জড়িয়ে থাকে আমাদের স্মৃতি ও মান অভিমানের পালা, কখনো নিখাদ ভালোবাসা, আবার কখনো স্নেহের, বিভিন্ন শাড়ী রেঙে উঠে কল্পনার রঙে, তাই আজ মহিলা চিত্রশিল্পীরা বিভিন্ন রঙের শাড়িতে সেজে উঠেছে এক অনন্যা, যেন মনে হচ্ছে দেবী দুর্গাকে আহবান করে আনছেন। একটি সুন্দর বার্তার মধ্য দিয়ে।
চিত্রশিল্পীরা জানালেন, মেয়েরা কোন অংশেই কম নয়, বিয়ের পরেও সীমাবদ্ধের মধ্যে থাকেনা, চেষ্টা করলে সংসার প্রতিপালন করেও এগিয়ে যাওয়া যায়, তাই তারা প্রমাণ করে দেখালেন।। নিজেদের চেষ্টা ও আগ্রহ একটা শিল্পীকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সকলের ভালোবাসার মধ্য দিয়ে। আজ তারা প্রমাণ করে দিলেন, মহিলারাও থেমে থাকে না। আগামী দিনে আমাদের আরো পথ দেখাবে এই উৎসাহ ও সহযোগিতা। এবং সর্বশেষে সকলে একটি কথা বলে শেষ করেন, আমার বোনের দোষীদের সঠিক বিচার চাই।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা