আজ ১২ ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার, ঠিক বিকেল চারটায়, কলেজ স্কোয়ার বিদ্যাসাগর উদ্যানের সামনে, চিত্রশিল্পী, কবি, গায়ক, অভিনেতা , নাট্যকার, নৃতশিল্পী সকলের উপস্থিতিতে , তিলোত্তমার দোষীদের শাস্তির দাবিতে, সাংস্কৃতিক মঞ্চে প্রতিবাদ করলেন,
একদিকে মঞ্চে উপস্থাপনা ও আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায়, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে, নৃত্যে ও নাটক এবং কবিতার মধ্য দিয়ে যেমন প্রতিবাদ কণ্ঠ গর্জে উঠল, তেমনি বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পীর মাধ্যমে ফুটে উঠলো, আর বাসনগুলো জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ছবি। শিল্পীরা তাদের তুলির টানে ফুটিয়ে তুললেন সেই দিনকার মর্মান্তিক ঘটনার কাহিনী।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, স্বনামধন্য শিল্পী ও সুরকার কল্যাণ সেন বরাট, একটু নাট্যকার চন্দন সেন, অভিনেতা বিনলেন্দু মুখোপাধ্যায়, নৃত্যশিল্পী মধুমিতা পাল অন্যান্য চিত্রশিল্পীরা ও বিশিষ্টজনেরা।
যেভাবে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে, আর জি কর হাসপাতালে ঘটনা তুলে ধরলেন, এবং প্রতিবাদ জানালে, তা প্রতিটি দর্শকের মনকে নাড়া দিয়েছে, এবং মহিলাদের চোখে জল এনে দিয়েছে, তাহারা জানালেন এই প্রতিবাদ যেন বন্ধ না হয় এবং পুজো কদিনে ভুলে না যান, তাই আমাদের প্রতিবাদ থাকবে পুজোর মধ্যেও, আমাদের পুজোর আনন্দ হবে তিলো তোমার মধ্য দিয়ে, যেন আনন্দের মধ্যে কাউকে ভুলিয়ে দিতে না পারে, তাহলে একদিন এই ধরনের হিংস্র ঘটনা সবার দরজা গোড়ায় পৌঁছে যাবে, হিংস্র মানুষদের থাবা, তাই একটা কথাই বলবো বিচার চাই।, দোষীদের শাস্তি চাই, শাস্তি দিতে হবে। এর সাথে সাথে পুলিশ প্রশাসনকেও জানাতে চাই। আপনাদের ঘরেও মেয়ে আছে, তাই আপনারাও প্রতিবাদে নামুন, আপনাদেরও মেয়ে বড় হচ্ছে ,একদিন এরকম ঘটনা না আপনার বাড়িতেও না ঘটে। তাই সবাই মিলে এই প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে তিলোত্তমা দোষীদের বিচার চাই। বাংলার লজ্জা কে দূর করি, নারীদের সুরক্ষা হোক। প্রায় কয়েকশ মানুষ জমায়েত হন এবং পথ চলতি মানুষেরা পর্যন্ত এরকম একটি অনুষ্ঠান দেকে থমকে দাঁড়িয়ে যান, তিলোত্তমা কারোর একার নয়, সবার মেয়ে ও বোন।
রিপোর্টার, শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা