আজ ১২ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার, ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলে, সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লকের আহবানে, আর জি কর হাসপাতালে তরুনী চিকিৎসকের নির্যাতন ও নৃশংস হত্যার বিচারের দাবিতে, ২৪ ঘন্টা ব্যাপী অবস্থান ও সমাবেশ করলেন।
এই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয় ১১ই সেপ্টেম্বর এবং ১২ ই সেপ্টেম্বর বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে এবং দাবির মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সকাল থেকেই মঞ্চে বিভিন্ন প্রতিবাদ গর্জে ওঠে এবং তার সাথে সাথে বিদ্রোহের গান ,নৃত্য ও কবিতার মধ্য দিয়ে , তিলোত্তমান নিসংস খুনের ঘটনা ফুটিয়ে তোলে। যারা একজন কর্তব্যরত চিকিৎসককে নির্মম্যভাবে ধর্ষণ ও খুন করে মেরেছে, সেই সকল দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দাবি নিয়ে এই মঞ্চ গর্জে ওঠে। এক মাস হয়ে গেল এখনো অভয়ার বিচার না হওয়ায়, আমাদের এই অবস্থান ও বিক্ষোভ, অতি দ্রুত দোষীদের আড়াল না করে শাস্তি দিতে হবে। এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে। সারা বিশ্বের মানুষ রাস্তায় নেমেছে ,রাত দখল ,রাস্তা দখল করছে, একটাই দাবি অভয়ার বিচার। আমরাও একই দাবি নিয়ে এই অবস্থান ও বিক্ষোভ। তিলোত্তমা হত্যার বিচার।
লীলা ,বীনা ,প্রীতিলতার মাটিতে নারী নির্যাতন আমরা মানবো না।
ডাক্তার থেকে নার্স, অভিনেতা থেকে কবি, নাট্যকার থেকে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে অভিভাবক, সবার কন্ঠে একটাই দাবি দোষীদের শাস্তি, অভয়ার বিচার
তাহারা বলেন এই শহর সারা দেশকে উপহার দিয়েছিল প্রথম মহিলা ডাক্তার কাদম্বরী গাঙ্গুলী, এই শহরে ১৯২৮ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রথম মহিলাদের নিয়ে গঠন করেন নারী ভলেন্টিয়ার, রাজা রামমোহন, বিদ্যাসাগরের কলকাতা সম্মান আজ দানবীয় অত্যাচারে ভুলুন্ঠিত, এই রাজ্য বিপ্লবী লীলা রায়, বীণা দাস, প্রীতিলতা । এই রাজ্যের মাটি বিপ্লবী গণ আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র, এই রাজ্য রবীন্দ্রনাথ ,নজরুল জীবনানন্দের। এই রাজ্যকে দানবের গ্রাসে যেতে দেব না আমরা, তাই আসুন আমরা সপথ নিই আমাদের রাজ্যকে আমাদের ধর্ষকদের স্বর্গরাজ্য হতে দেব না।
তাই আমাদের দাবি……. সিবিআই তদন্ত দ্রুত শেষ করে, প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক।
রাজ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ চাই।
আর জি কর হাসপাতালে তরুনীর চিকিৎসকের নির্যাতন ও নিশংস হত্যার দোষীদের অবিলম্বে খুঁজে বার করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে।
১৪ ই আগস্ট আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছে সেই সকল দোষীদের চিহ্নিত করে সবার সামনে আনতে হবে।
এক মাস হয়ে গেল ,কেন এখনো দোষীদের শাস্তি ও বিচার হলো না। অবিলম্বে জবাব দিতে হবে।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা