মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর থেকে
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের চন্ডিডহর থেকে কলকলিয়া রাস্তাটি টানা দুইবারের বন্যার পানির স্রোতে চন্ডিডহর খেয়াঘাট হইতে শ্রীধরপাশা ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় কাদা-পানি দিয়েই কয়েক গ্রামের মানুষ চলাচল করতে হতো।
এ অবস্থায় স্থানীয়রা এলাকার সচেতন মহল ও প্রবাসীগন মিলে রাস্তা সংস্কারের অর্থ সংগ্রহ শুরু করে রাস্তার কাজ করাতে এগিয়ে আসায় সকলের সার্বিক সহযোগতায় রাস্তার সংস্কারকাজ প্রায় শেষ হয়েছে।
উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের চন্ডিডহর থেকে শ্রীধরপাশা ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করেছেন প্রবাসীসহ স্থানীয়রা। এতে উপকৃত হয়েছেন আশপাশের কয়েকটি গ্রামের অন্তত দশ পনের হাজার মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই রাস্তা ধরে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি উচ্চবিদ্যালয়, একটি কলেজ, অসংখ্য মসজিদ, ৪টি মাদ্রাসা এবং তিনটি বাজারের মানুষের নিয়মিত চলাচল করতে হয়। অথচ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সরকারি উদ্যোগ থাকলেও তা হচ্ছে না তাড়াতাড়ি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ায় এলাকার প্রবাসীগন ও এলাকাবাসীরা নিজেরাই সড়ক সংস্কারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন।
কামার খাল গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আক্তারুজ্জামান মোবাইল ফোনে জানান, ‘সরকারি অনুদান বা কারও অপেক্ষায় না থেকে আমরা নিজেদের অর্থায়নে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করি। আমাদের সঙ্গে কলকলিয়া ইউনিয়নের সকল প্রবাসী ও স্থানীয়রা যোগ দেন।
ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহন জানান, রাস্তাটির পার্শ্বে বাশ দিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে আড় দিয়ে গর্ত ভরাট, কাদা সরিয়ে বালু মাটি ইট দিয়ে রাস্তা ভরাটসহ বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে। অনেকই স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কারে অংশ গ্রহন করেন। তবে এটা সাময়িক উদ্যোগ। রাস্তাটির স্থায়ী সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
তবে এ বিষয়ে স্থানীয় কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিক মিয়া বলেন, চন্ডিডহর থেকে জগদীশপুর পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করন করতে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সড়ক পাকাকরণে উপজেলা প্রশাসন অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।