1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
নওগাঁর লক্ষ্মীপুর দিঘিপাড়া নৃগোষ্ঠী আদিবাসী রনি মুরমু জন্মগত পুপঙ্গু প্রতিবন্ধী মানবেতার জীবনযাপন - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
মহেশপুর-চৌগাছা রোডে পিকআপ ও পাওয়ার টিলারের সংঘর্ষে আহত এক ১ নোয়াখালীর সেনবাগে বিএনপি’র ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ গোপালগঞ্জের নির্দলীয় নিরপেক্ষ আল-আমিন(১২নং)জনগণের ভালোবাসায় বারবার বিজয়ী কাউন্সিলর- বললেন ওয়ার্ডবাসী ধর্মপাল ইউনিয়নে তাঁতীদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জগন্নাথপুরে সেতু নির্মানে ধীরগতি বিকল্প বাশের সেতু দিয়ে ঝুকি নিয়ে পারাপার সৈয়দপুরে জমকালো আয়োজনে নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন মধুপুরে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী যুব বিভাগ কমিটি গঠন রূপালী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক করিম আহমেদ এর মেয়ের নিকাহ সম্পূর্ণ মাইজভাণ্ডারী একাডেমির পুরস্কার বিতরণীতে বক্তারা শিশু-কিশোরদের নৈতিক ও বিজ্ঞানমুখী প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে হবে বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় নিভে গেলো শাহাব উদ্দিন জীবনের প্রদীপ ( শিরোনাম) 

নওগাঁর লক্ষ্মীপুর দিঘিপাড়া নৃগোষ্ঠী আদিবাসী রনি মুরমু জন্মগত পুপঙ্গু প্রতিবন্ধী মানবেতার জীবনযাপন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

 

উজ্জ্বল কুমার সরকার
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আদিবাসী পল্লি লক্ষ্মীপুর দিঘীপাড়া গ্রামের ৯ বছরের প্রতিবন্ধী এতিম শিশু রনি মুরমু। জন্ম হতে প্রতিবন্ধী হয়ে পঙ্গু জীবনযাপন করছে সে।
প্রতিবন্ধী রনির নানি সনতি মুরমু (৬২) বলেন, আমার মেয়ে মেনতা হেমরম (৩৫) যখন ৭ মাসের গর্ভবতী তখন সংসারে খুব অভাব, ঘরে খাবার নেই, ওষুধ নেই এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই গন্ডগোল হতো, সে সময় আমার মেয়ে রাগ করে স্বামীর বাড়ি বিন্নাকুড়ি থেকে বের হয়ে অন্যত্র চলে যায়। সন্তান জন্মের ২ বছর পরে প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে আমার মেয়ে তার স্বামীর বাড়ি বিন্নাকুড়ি যায়। সেখানে গিয়ে দেখে তার স্বামী কার্ত্তিক মুরমু আর বেঁচে নেই। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ওই বাড়ি থেকে তাদের বের করে দেয়।তিনি আরও বলেন, তখন তাদের স্থান হয় আমার বাড়ি লক্ষ্মীপুর দিঘীপাড়া গ্রামে। এর পরে আমার মেয়ে তার সন্তান রনিকে আমার বাড়িতে রেখে কাউকে কিছু না বলে চলে যায়। পরে জানতে পারি, সে ভারতে চলে গেছে। বাবা-মায়ের এনআইডি কার্ড না থাকায় তার প্রতিবন্ধী কার্ডও করতে পারিনি। রনির বাবার বাড়িতে আইডি কার্ড আনতে গেলে তারা কার্ড না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। তার কার্ডটাও আর করা হলো না। এমনই জীবন আমাদের। তাই বাবা-মা হারা প্রতিবন্ধী এতিম ছেলেটাকে নিয়ে ভিক্ষায় বের হইছি। রনি হাঁটতেও পারে না। তাকে নিয়ে বেড়াতে অনেক কষ্ট হয় আমার। আমার স্বামীও বেঁচে নেই, ২০ বছর আগে মারা গেছে। অভাবী সংসার আমার।প্রতিবন্ধী রনির চলার পথে সাহায্য করা পিসির ছেলে বর্ষণ (১০) বলে, রনি নিজে হাঁটা-চলা করতে না পারার কারণে কাঠের বাতা দিয়ে ফ্রেম তৈরি করে তিনটি বিয়ারিং লাগিয়ে একটি গাড়ি তৈরি করেছি। রনিকে ওখানে বসিয়ে পেছন থেকে আমি ঠেলা দিয়ে এখানে-সেখানে ভিক্ষা করতে নিয়ে যাই। বাড়ি থেকে বাজার প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা ঠেলে ওকে আনতে আমার খুব কষ্ট হয়। একটি হুইল চেয়ার হলে ভালো হয়। প্রতিবন্ধী রনি মুরমু ভাঙা ভাঙা গলায় বলে, আমি হাঁটতে পারি না, তাই স্কুলেও যেতে পারি না। আমি পড়ালেখা করতে চাই। একটা হুইল চেয়ার পেলে আমি স্কুলে যেতে পারব। সে আরও জানায়, আমরা গরিব মানুষ, অনেক কষ্ট করে চলি। তাই সরকার ও সমাজের বৃত্তবান মানুষের কাছে রনির আবদার একটি হুইল চেয়ার ও প্রতিবন্ধী কার্ড। এগুলো পেলে সে স্কুলে ঠিকমতো যেতে পারবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি