গোলজার রহমান ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর ধামইরহাটে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আগাছানাশক স্প্রে করে দুই দাগে ১০৩ শতাংশ জমির ধানগাছ ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক রেজাউল করিম বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাত আটটার সময় জেসমিন আরা বেগম (৫০) এবং তার স্বামী হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী কৃষক রেজাউল করিম বলেন, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার সময় উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চকশরীফ এবং আড়ানগর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের রামনারায়ণপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চকশরীফ এলাকায় পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৬২ শতাংশ জমি এবং রামনারায়ণপুর এলাকায় ভাতিজা দেলদার হোসেনের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৪১ শতাংশ জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই জমিতে স্বর্ণা পাঁচ এবং স্বর্ণা ১৭ জাতের ধান রোপন করেছিলেন।
এরপর আড়ানগর ইউনিয়নের চক ভবানী এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে হাফিজুর রহমান এবং তার স্ত্রী জিয়াসমিন আরা বেগমের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় বিবাদীরা ধান নষ্ট করবে বলে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি এবং হুমকি দিয়ে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে তারা আগাছানাশক স্প্রে করে। এতে করে ওই ধান গাছগুলো বিবর্ণ হয়ে মরে যায়।
রেজাউল করিম বলেন, ‘জিয়াসমিন আরা বেগম এবং তার স্বামী হাফিজুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ওই জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। সেই শত্রুতার জেরে গত মঙ্গলবার রাতে বিবাদীদের নির্দেশে পাঁচ জন সহযোগীকে নিয়ে জমির ধানখেতে ঘাস মারার ওষুধ স্প্রে করে পুড়িয়ে দেয়।’
বিবাদী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ওই জমি ৯৯ সালে দানেসউদ্দীনের তিন ছেলের কাছ থেকে ওয়ারিস সুত্রে তিন খতিয়ানে ১৬৯ শতাংশ জমি ক্রয় করি। সেই থেকে ওই জমি আমার দখলে আছে। আমি সেখানে ধান চাষাবাদ করি। কিন্তু বাদীরা ওই জমির মালিকানা দাবি করলে ১৯১৪ সালে ভাগবাটোয়ারা মামলা করি। এরপর ভাগবাটোয়ারা সূত্রে চলতি বছর জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখে কোর্ট আমাকে রায় দেয়।’
ধামইরহাট থানার তদন্ত অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযোগের কপি এখনো হাতে পাইনি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।