আজ ১৫ই সেপ্টেম্বর রবিবার, ঠিক দুপুর দুটোয়, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডলকে, সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স সিবিআই এর দপ্তর থেকে করা নিরাপত্তায় শিয়ালদা কোর্টে আনার সময়, মানুষের ক্ষোভ দেখা যায় এবং এলাকায় উত্তেজনা।
শিয়ালদা কোর্টে আনার সময় প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডলকে বি আর সিং হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান, দুটো ঊনত্রিশ নাগাদ শিয়ালদা কোর্ট পেশ করা হয়, এক ঘন্টা ধরে চলে জেরা।
শিয়ালদা কোর্ট থেকে তিন দিনের হেফাজতে নেন সিবিআই অভিজিৎ মন্ডলকে। ১৭ই সেপ্টেম্বর পুনরায় আদালতে পেশ করা হবে রেপ ও মার্ডার কেসের দুই আসামি সন্দীপ ঘোষ অভিজিৎ মন্ডলকে, মুখোমুখি জেরা করার জন্য।
অভিজিৎ মন্ডলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে একজন হয়েছেন নিচু তলার পুলিশ আধিকারিকেরা,, এবং আইনি লড়াইয়ের জন্য তারা একটি তহবিল গড়ার পরিকল্পনাও করছেন।
এছাড়াও জানা যায় অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক থেকে শুরু করে এসিপি, এস আই পর্যন্ত উপস্থিত থাকবেন আদালতে যতদিন না অভিজিৎ মন্ডলের জামিন হচ্ছে।
গতকাল রাতে ১৯৯৬ ব্যাচ অভিজিৎ মন্ডলকে গ্রেপ্তার করার পর, শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের তরফ থেকে অনুরোধ করা হয় দেখা করার জন্য। এবং দুইজন অ্যাসিস্ট্যান্ট পদমর্যাদার প্রাক্তন আধিকারিক শীর্ষ পুলিশকর্তাদের সাথে দেখা করেন এবং তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন, বলেন আমাদের মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি হচ্ছে, আমাদের সম্মান ধুলোয় মিশতে বসেছে। রাস্তাঘাটে আমাদের দেখলে আমাদের মাথা হেট করে দিচ্ছে।
তবে অভিজিৎ মন্ডলের শুধু সুরক্ষা নয়, পুলিশ ক্লাবের মিটিং করে তার পরিবারকে সুরক্ষা দেয়ার কথা উঠে আসে।
তবে জানা যায়, অভিজিৎ মন্ডল এর বয়ানের সাথে তাহার কল রেকর্ডের অনেক অমিল রয়েছে এবং ধরা পড়েছে। সিবিআই সূত্রে, এবং তার কল রেকর্ডিং এ সিপির সহিত বহুবার কথোপকথন রেকর্ড শোনা যায় বলে জানা যায়।
আরো জানা যায় যিনি এই মাডারের মূল কান্ডারী, সন্দীপ ঘোষ কেউ আ্যরেস্ট ওয়ারেন্ট করা হয়েছে, যিনি এখন প্রেসিডেন্সি কারেন্সিতে আছেন, তাহারও নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রটেকশন দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন সিবিআই সূত্র।
তবে আরও একটি বিষয় সিবিআই সূত্রে জানা যায় খুব শিগগিরই সিপি বিনীত গোয়েলকেও সিবিআই তলব করতে পারে। সেই রকমই জানা যাচ্ছে।
আজ শিয়ালদা কোর্টের মধ্যেও আইনজীবীদের মধ্যে কিছুটা দ্বন্দ্ববাধে, অভিজিৎ মন্ডলের আইনজীবী, বিরোধী আইনজীবীদের কিছু বলতে গেলে, বিরোধী আইনজীবীরা বলেন, যে যত বড়ই অফিসার হোক, তিনি কোনরকম যদি অসামাজিক ও আইন বিরোধী কাজকর্ম করে থাকেন , আমাদের কর্তব্য তাহাকে আইনের মধ্য দিয়ে কোর্টৈ তোলা, সঠিক পথ অনুসরণ করে সেই বিষয়কে তুলে ধরা, আমরা তাই করেছি।
তবে সিবিআই অফিসারদের হাতে, বেশ কিছু প্রমাণ আ। ায়, এবং প্রমাণে অসঙ্গতি থাকায় তাহারাও আরো তদন্তে জোর দিতে দেন।
আজ শিয়ালদা কোর্টে অভিজিৎ মন্ডলকে নিয়েও হিমশিম খেতে থাকেন, পুলিশ আধিকারিকেরা। আগামী ১৭ ই সেপ্টেম্বর পুনরায় হাজির হবেন শিয়ালদা কোর্টে। তবে আসল রহস্য আস্তে আস্তে সবার সামনে উঠে আসতে শুরু করেছে, যা মিথ্যে বলে প্রমাণ করেছিলেন।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা