মিজানুর রহমান,জেলা প্রতিনিধি (বগুড়া):-
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের শোলাগাড়ী শাহ লস্কর জিলানী (রঃ) দাখিল মাদ্রাসা এবং শোলাগাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পবিত্র মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন উপলক্ষে সোমবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) সকালে দোয়াও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,শোলাগাড়ী শাহ লস্কর জিলানী (রঃ) দাখিল মাদ্রাসা সুপার আবদুল গফুর, সহ সুপার শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা শহিদুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, সহকারী শিক্ষক আবু বকর, আলী মোর্তোজা,আবদুল খালেক, আবু হাসান,হেলাল উদ্দিন।
এছাড়াও
শোলাগাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান শিক্ষক রোস্তম আলী প্রামানিক, সহকারী শিক্ষক আব্দুস সামাদ, মিজানুর রহমান, গোলাম সরোয়ার , মেহেদী হাসান, দেলোয়ার হোসেন, আবু বকর, সিদ্দিক, আমিনুল হক, মাসুম রহমান প্রমুখ।
ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ে বক্তারা বলেন, – ঈদ, মিলাদ আর নবী তিনটি শব্দযোগে দিবসটির নামকরণ করা হয়েছে। ঈদ অর্থ আনন্দোৎসব, মিলাদ অর্থ জন্মদিন আর নবী অর্থ ঐশী বার্তাবাহক। ঈদে মিলাদুন্নবীর অর্থ দাঁড়ায় নবীর জন্মদিনের আনন্দোৎসব। ১২ রবিউল আউয়াল একই সঙ্গে মহানবীর (সা.) জন্ম ও মৃত্যু দিবস হলেও তা শুধু জন্মোৎসব হিসেবেই পালিত হয়। পৃথিবীর যে কোনো মানুষের মৃত্যুই তার পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করে; কিন্তু মহানবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) মৃত্যু মানবসমাজ ও সভ্যতার কোনো পর্যায়ে কোনো শূন্যতার সৃষ্টি করেনি। তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন পুরো পৃথিবীর জন্য আল্লাহর রহমত হিসেবে। এক সময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়েছিল। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং করত মূর্তিপূজা। যাকে আইয়ামে জাহেলিয়াতও বলা হয়। এ অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহকে (সা.) দুনিয়াতে পাঠান।
চল্লিশ বছর বয়সে নবুয়ত লাভের পর দীর্ঘ ২৩ বছর মুহাম্মদ (সা.) কঠোর পরিশ্রম ও শত বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করে ইসলামের সুমহান আদর্শ প্রচার করে গেছেন। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তি, শান্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। বর্তমান অশান্ত পৃথিবীতে তার দেখানো পথেই আসতে পারে শান্তি ও মানবতার মুক্তি। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের সুরা আল আম্বিয়ার ১০৭ নম্বর আয়াতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি।