মিজানুর রহমান,জেলা প্রতিনিধি (বগুড়া) :-
বগুড়ায় অসুস্থ স্বামীর সেবা প্রদান থেকে বঞ্চিত করা, মিথ্যা অভিযোগের মামলা থেকে মুক্তি ও সন্ত্রাসীদের প্রাণনাশের হুমকি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এড. ফেরদৌসী আক্তার রুনা। ট্রপিক্যাল হোমস লিমিটেড’র চেয়ারম্যান ডা. রেজাউল করিম সানার স্ত্রী এড. রুনা সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাজ্জাদুল করিম শাহিন একজন সিন্ডিকেট এস্কেভেটর ব্যবসায়ী। তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় অবৈধভাবে বালু ও মাটির ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অবৈধভাবে এসব ব্যবসার কারণে তিনি কারাবরণ করেছেন, যা এখনও আদালতে চলমান। ট্রপিক্যাল হোমস লি. ও তার স্বামী ডা. রেজাউল করিম সান্নার আমরাপুরি রিসোর্ট, শিবগঞ্জের জায়গা-জমি কেনার নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন শাহিন।
গত ইং ১২/০৯/২৪ তারিখ, বৃহস্পতিবার আদালতে আমাকে মেরে ফেলার ও ক্ষতি করার হুমকি দেয় এবং আমি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে যাওয়ার সময় রাস্তা পার হইলে হঠাৎ আমার পথরোধ করে মুখ খারাপ করিয়া গালি দেয় এবং বলে যে, "তোর কি ক্ষতি করি দেখ।" তার পরপরই গত ১৫/০৯/২০২৪ তারিখ রবিবার সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় আমার সেরেস্তায় গিয়ে দেখি আমার সেরেস্তা গওহর আলী ভবন নিচতলা হইতে ফাইলপত্র টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র সহ আমার ফাইল কেবিনেট চুরি করে। যা আমার সীমাহীন ক্ষতি হয়েছে। ওর অত্যাচারে আমার জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। আমি গত ইং ১৫/০৯/২৪ তারিখে বার সমিতিতে এবং থানায় অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। কেবিনেট চুরির ঘটনা কর্মস্থলের সবাই জানে, শুনেছে ও দেখেছে। আমি এই বিষয়ে অভিযোগ পত্রটি বর্তমান পুলিশ সুপারের নিকটও দিয়েছি। কিন্তু ফাইলপত্রসহ কেবিনেট এখনও এখনো পাইনি। ০৫ তারিখ পর্যন্ত ঐ শাহিন আওয়ামীলীগের কর্মী হিসাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক, তাদের খাওয়ানোসহ সবকিছুই করতো, তাদের দাপট দেখাইত। ঠিক ০৬ তারিখে ট্রপিক্যাল হোমস লিঃ, বগুড়া অফিসে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিশাল একটা প্যানা টানিয়ে বিএনপি'র পরিচয় দিতে থাকে এবং বিএনপি'র কর্মীদের সঙ্গে অফিসে, বাহিরে, দত্তবাড়ীতে, ঝাউতলাতে মিটিং করিতে থাকে।
নিজেকে ট্রপিক্যাল হোমস লি. এর লিগ্যাল এ্যাডভাইজার দাবি করে এড. রুনা বলেন, বগুড়া শাখা অফিসে মাঝে মধ্যে গিয়ে তিনি ফাইলপত্র দেখতেন। তারা বগুড়া অফিস থেকে ডিরেক্টর জাহাঙ্গীর আলমসহ ম্যানেজার আল আমিন, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ পারভেজকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরে হিসাবরক্ষক সারবিনা আক্তার স্মৃতির সাথে যোগসাজস করে মিখ্যা ভাউচার তৈরি করে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি করতে থাকেন।
তার স্বামীর প্রথম পক্ষের ছেলে তানভির রেজাকে কৌশলে হাত করে ষড়যন্ত্র করে উত্তরবঙ্গের সব প্রজেক্টের দায়িত্ব ফাহাদ উর রহমান সুহাস ও শাহিন নিয়ে নেন। এসব ঘটনার প্রতিবাদ ও তার স্বামী ডা. রেজাউল করিম সান্নাকে জানালে শাহিন তাকে হত্যাসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার পরিকল্পনা করতে থাকেন। তার স্বামীর কাছ থেকে সরিয়ে দিতে নানা রকম মিথ্যা অপবাদ দিতে থাকেন।
এমনকি তাকে তার অসুস্থ স্বামীর কাছ থেকে সরিয়ে দিতে যোগাযোগের মাধ্যম তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়েছে।
প্রিয় কলম সৈনিক ভাই ও বোনেরা আমার, আমি আপনাদের মাধ্যমে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের দ্বারা জানাইতেছি যে, এখনতো সরকার পরিবর্তন হয়েছে, আসামীদের বিরুদ্ধে কেন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
তিনি তার পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য প্রধান উপদেষ্টা, বগুড়া পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার ও নিরাপত্তা দাবি করেন।