গোলজার রহমান ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকে জাতীয়করণসহ চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষকরা মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা এগারোটার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষকরা মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে বলেন, সরকারি শিক্ষক ও বেসরকারি শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করতে হবে, শিক্ষকদের আলাদা পে-কমিশন প্রদান, শিক্ষা প্রশাসনে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন মানহানি কর, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা বাড়ি ভাড়া ও মেডিকেল ভাতা চাই।
এসময় উপজেলার ৩০টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৪ টি মাদরাসার শিক্ষকরা তাদের দাবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন হতে দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে এসব বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনের একপর্যায়ে দুপুর বারোটার সময় ওই শিক্ষকরা একত্রিত হয়ে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব বরাবর লিখিত স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ছুটিতে থাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জেসমিন আক্তারকে দেওয়া হয়।
শিক্ষকদের দাবির কথা তুলে ধরে ধামইরহাট সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহমান বলেন, ‘মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানে ৯৭ পারসেন্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলি জাতীয়তাকরণ করা অত্যন্ত জরুরী।
তিনি আরও বলেন, একই শিক্ষাগত যোগ্যতা, একই বই পড়ানো, একই বোর্ডের আওতায় পরীক্ষা অথচ সরকারি ও বেসরকারি নাম দিয়ে আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার মধ্যে বিরাট বৈষম্য তৈরি করে রাখা হয়েছে যা শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে প্রধান অন্তরায়। শিক্ষার সকল স্টক হোল্ডারদের প্রাণের দাবি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হবে।’
মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘নানা মাত্রিক সমস্যায় মাধ্যমিক শিক্ষা আজ জর্জরিত। স্কুল, মাদরাসা সরকারি, বেসরকারি এরকম নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এদের মধ্যে বৈষম্য প্রকট। একারণে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন করার জোর দাবি জানান।’
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জেসমিন আক্তার বলেন, ‘বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে দুপুরে শিক্ষকরা একটি স্মারকলিপি আমাকে দিয়েছেন। স্মারকলিপিটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।’