1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
আন্দোলনে নিখোঁজের ১০ দিন পর লাশ উদ্ধার‚সজীবের পরিবারের খোঁজ নেয়নি কেউ - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
মোরেলগঞ্জে হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন অধ্যাপক ড.এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম সূর্যগিরি আশ্রম কেন্দ্রীয় পর্ষদের ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার উদ্বোধন নড়াইলের নড়াগাতীতে চাঞ্চল্যকর শিশু হামিদা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন আসামি গ্রেফতার আজহারীর মাহফিল ঘিরে যশোরে ১৫ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি, পদদলিত হয়ে আহত ৩০ গাজীপুরের সুরাবাড়ি একটি চক্রের বিরুদ্ধে নানান অপকর্মের অভিযোগ বাগেরহাটের রামপালে কিশোরীর শ্রীলতা হানি ও অভিভাবক কে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ সেচ্ছাসেবক লিগ নেতা সাজ্জাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ মোরেলগঞ্জে গভীর রাতে শীতার্তদের পাশে ইউএনও নাজমুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও শহর ও ঠাকুরগাঁও প্রবেশ সড়কে তীব্র যানজট সিলেট রেলওয়ে ফ্যান ফোরামের সদস্য দের আবেদন (জিএম/ইস্ট) এর কাছে

আন্দোলনে নিখোঁজের ১০ দিন পর লাশ উদ্ধার‚সজীবের পরিবারের খোঁজ নেয়নি কেউ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

 

জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর।

 

বাবা আসবে এমন অপেক্ষায় প্রতিদিনই পথ চেয়ে থাকে সজীবের তিন বছরের ছেলে আব্দুর রহমান। বাবা এসেছেন এমন চিন্তা থেকে কেউ দরজায় নক করলেই দৌড়ে যায় দরজা খুলতে। মাকে বলে দরজা খুলে দাও। মা দরজা খুলতেই আব্দুর রহমান বাবাকে দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়ে যায়। মাকে জিজ্ঞেস করে, বাবা কখন আসবে? সজীবের স্ত্রী-সন্তানদের সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা পায় না। তিনি জুলাই-আগস্টের ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থানে নিখোঁজ হওয়ার পর তার লাশ পাওয়া যায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে। বাবার আদর ও স্নেহহারা হয় তার অবুঝ দুই সন্তান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ সজীব হাওলাদারের অবুঝ সন্তান ও পরিবারের খোঁজ নেয়নি কেউই।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরকুমারিয়া ইউনিয়নের মাঝিকান্দি গ্রামে গিয়ে সজীবের পরিবারের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। সজীবের পরিবার জানায়, সজীব ডেমরা থানার মিরপাড়া স্টাফ কোয়ার্টারের মারিয়া কমিউনিটি সেন্টারের ৬ষ্ঠ তলায় ঘর ভাড়া নিয়ে মা সেলিনা, স্ত্রী রাবেয়া এবং আব্দুর রহমান ও আহাদ নামে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। নিজে ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রি করে সংসার চালাতেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিনি চা বিক্রয়ের ফাঁকে আন্দোলরত ছাত্রদেরকে পানি, চা ও বিস্কুট খাওয়াতেন। মিরপুরের একটি কলেজের ছাত্র সজীবের বড় ভাই রানার সাথে আন্দোলনেও যোগ দিতেন সজীব।

গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টা পর্যন্ত সজীবকে আন্দোলনকারীদের সহযোগিতা করতে দেখা যায়। এরপর তার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের ১০ দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সজীবের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। লাশের পরনে জিন্সের প্যান্টে থাকা একটি মোবাইল ফোন থেকে সজীবের পরিবারের খোঁজ মেলে। পরে তাকে শরীয়তপুরের গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়।
সজীবের পরিবারের দাবি, আন্দোলনের শেষ দিন সজীব পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর তাকে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। এরপর থেকে সজীবের অবুঝ দুই সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে অসহায় মা রেহানা বেগমকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কিন্তু এখনো সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান সজীবের পরিবারের খোঁজ নেয়নি।

সজীবের বড় ভাই রানা হাওলাদার বলেন, আমি পুরো সময়টা আন্দোলনে ছিলাম। ৫ আগস্টের পর থেকে সজীবকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। কিন্তু কোথাও পাইনি। ১০ দিন পরে নারায়ণগঞ্জে তার লাশ পাওয়া যায়। আমার ভাইকে হারাইছি। কিন্তু তার দু’টি সন্তান আছে। সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান অবুঝ সন্তান দু’টির দিকে একটু নজর দিলে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা করতে হতো না।

সজীবের স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন, সজীবের অনেক ইচ্ছা ছিল, সন্তান দু’টি পড়াশোনা করাবেন। কিন্তু এখন কী হলো? কিভাবে ওরা মানুষ হবে? সরকার বা কোনো সংস্থা যদি এতিম এই দুই সন্তানের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতো! দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে আমার স্বামী তার দুই সন্তানকে এতিম করে গেছে। আমি চাই এই এতিম দুই সন্তানের স্বপ্ন পূরণ করতে সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে।

 

 

আশিকুর রহমান হৃদয়

জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি