1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
১৪ দিন অপহরণের পরে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার পর সাধারণ জনগণের সহায়তায় বেঁচে গেলাম কিন্তু এখনো সব অপরাধী স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প ২০২৪ কে বিদায় জানাতে এবং ২০২৫ কে বরণ করে নিতে মানুষের ঢল কলকাতা জুড়ে ৭৩ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার ও ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৫ পীরগঞ্জে মোটর শ্রমিকের মৃত্যুর অনুদান প্রদান রায়পুরায় প্রীতি-নেছা আইডিয়েল হাইস্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ চাচী ভাতিজার পরকীয়ার জেরে সাংবাদিককে হুমকি কিংবদন্তর সংগীত শিল্পী শেফালী ঘোষের প্রয়াণ দিবস আজ: আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন কমিউনিস্ট পার্টি-ইউসিপি নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা হ্যাঁপি নিউ ইয়ার দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে দোয়া কামনা করেছেন ফোরকান উল্লাহ চৌধুরী

১৪ দিন অপহরণের পরে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার পর সাধারণ জনগণের সহায়তায় বেঁচে গেলাম কিন্তু এখনো সব অপরাধী স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

১৪ দিন অপহরণের পরে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার পর সাধারণ জনগণের সহায়তায় বেঁচে গেলাম কিন্তু এখনো সব অপরাধী স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক জন দেশের সাধারণ নাগরিক বিপদে পড়লে সবার আগে ফোন কলে বা সরাসরি সাহায্য কার কাছ থেকে চাইবে?
আমরা কি এতো কিছুর বিনিময়ে এমন একটা দেশ চেয়েছিলাম?
যে দেশের একটা সাধারণ নাগরিকের জীবনের মূল্য কি কারো কাছে নেই।
১৪ দিন অপহরণ রাখার পর দোহাজারী সাঙ্গু নদীর ব্রিজ থেকে ফেলে দেওয়ার সময় উদ্ধার করেছেন দেশের সর্ব সাধারণ নাগরিক।
উদ্ধারের সময় প্রথম হেল্প ৯৯৯ কোনো সাড়া নেই ।
উদ্ধারের সময় ২য় হেল্প নিকটস্থ থানা কোনো সাড়া নেই ।
উদ্ধারের সময় ৩য় হেল্প নিকটস্থ সেনাবাহিনীর কাছে অনেক আকুতি মিনতি করার পর ফোন কলে হেল্প দোহাজারী চন্দনাইশ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি নেন আর মাত্র ১০ মিনিট দেরি হলে আজ পৃথিবীর আলো বাতাস দেখে পেতাম না আমি। আমার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চন্দনাইশ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট দোহাজারী সরকারি হাসপাতাল থেকে রেফার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করান কিন্তু তখনো কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেউ ছিল না আমার জীবন বাঁচাতে জীবনের নিরাপত্তা দিতে বা দেখতেও আসেনি। মেডিকেল থেকে একটু সুস্থ হয়ে অসুস্থ শরীর নিয়ে ৩ উপজেলা থানা ৪ উপজেলা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ধারে ধারে ঘুরছি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আমার জীবন বাঁচাতে আইনি আশ্রয় নিতে। এই পর্যন্ত কম পক্ষে ১৭-১৮ বার গিয়েও কোনো ধরনের সহেল্প বা জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। আমার জীবন হুমকির মুখে কারণ আসামিগণ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে আমার পিছু নিয়েছে এবং এই নিয়ে তিনবার আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেছে। এই অবস্থায় কোন আইনি ঘরে গেলে মিলবে আমার জীবনের নিরাপত্তা ১৪ দিনের অপহরণের নির্মম নির্যাতনের বিচার?
আমি সোহেল উদ্দিন বয়স ২৫ পিতা আবুল কালাম ঠিকানা হাছনা পড়া ২নং ওয়ার্ড ৫নং সরই ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা লামা জেলা বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
নিম্নোক্ত আসামি আসামি:
১। সেতু চাকমা (২৪) পিতা- অজ্ঞাত ২। শাহিন শাহ আফ্রিদি (২২), পিতা- অজ্ঞাত ৩। নাদিয়া সুলতানা মীম(২০) পিতা- ফরিদুল আলম,
৪। ফরিদুল আলম (৫০) পিতা- মৃত আলতাফ মিয়া ৪। জোৎস্না আক্তার স্বামী ফরিদুল আলম, সর্ব সাং মল্লিক সোবাহান চৌধুরী পাড়া ৬ নং ওয়ার্ড ২ নং আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা লোহাগাড়া জেলা চট্টগ্রাম।
১নং আসামি আমার স্ত্রী মুসলিম নাদিয়া সুলতানা মীমের উপজাতি সেতু চাকমা আমার স্ত্রীর প্রেমিক।
২নং আসামি আমার স্ত্রীর ক্লোজ বন্ধু।
৩নং আসামী অর্থাৎ আমার স্ত্রী।
৪নং আসামী আমার শশুর অর্থাৎ আমার স্ত্রীর পিতা।
৫নং আসামি আমার শাশুড়ি অর্থাৎ আমার স্ত্রীর মাতা।
আমার বাড়ি বান্দরবান জেলার লামা উপজেলাস্থ ৫নং সরই ইউনিয়নের হাছনা পড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হই। চাকুরী সূত্রে কক্সবাজার বসবাস করি। পক্ষান্তরে আমার স্ত্রীর চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়াস্থ ২নং আমিরাবাদ ইউনিয়নের মল্লিক সোবাহান চৌধুরী পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা হন। ৩নং আসামি অর্থাৎ ৪নং ও ৫ নং আসামির মেয়ে নাদিয়া সুলতানা মীম এর সহিত বিগত ১০/১১/২০২২ ইং তারিখে ইসলামী শরীয়তের বিধান মোতাবেক যৌতুক বিহীন সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিবাহ হয়। বিবাহ পরবর্তী আমি আর ৩নং আসামি আমার স্ত্রী পরস্পর সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে থাকি। এর ভিতরে বিবাহের পর হইতে ৪নং আসামি ও ৫ নং আসামি অর্থাৎ আমার শশুর শাশুড়ি আমার অবস্থান নিয়ে খুশি নন অতঃপর আমাকে বিভিন্ন ধরনের মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে একের পর এক চাকরি পরিবর্তন করতে বাধ্য করেন তৎপর ৩নং আসামী আমার স্ত্রী ৭ মাসের অন্তস্বত্বা থাকাবস্থায় বিগত ১৩/০৯/২০২৩ ইং তারিখে ৫নং আসামী অর্থাৎ আমার শাশুড়ি আমাদের বাড়ীতে আসিয়া আমার ঔরষজাত সন্তানের মাকে অর্থাৎ ৩নং আসামী আমার স্ত্রীকে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে আসামীগণের বাড়ীতে নিয়ে যায়। যাওয়ার সাত দিন পর ৩নং আসামির অর্থাৎ আমার স্ত্রীর বোন আয়শা সিদ্দিকা জেকিকে (১৯) কল দিলে জানিতে পারি যে ১৯/৯/২০২৩ ইং তারিখ সন্ধ্যায় ৬টার সময় লোহাগাড়া মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছে হাসপাতালে ভর্তি করানোর খবর জানিতে পারিয়া আমি নিজ এলাকা লামা বান্দরবান থেকে মা ও শিশু হাসপাতালে গিয়ে ৫নং আসামী অর্থাৎ আমার শ্বাশুড়ীর কাছে হাসপাতালে ভর্তির কারন জানতে চাইলে তখন ওনি কোনো উত্তর দিতে না পারায় ডাক্তারের কাছ থেকে জানতে পারি যে বাচ্চার অবস্থা ভালো নয়। তখন উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য লোহাগাড়ার সিটি হাসপাতালে ভর্তি করালে ডাক্তার কানিজ নাছিমা জানান যে বাদীর সন্তান মায়ের গর্ভাবস্থায় মারা গেছে। তখন আমি বিশ্বাস করতে পারতেছি না যে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকার পরও সন্তান কিভাবে মারা যেতে পারে। অতঃপর আমি সাতকানিয়া কেরানীহাট মা ও শিশু হাসপাতালে এবং এলার্ট হাসপাতালে নিয়ে এসে ২য় ৩য় বার পরীক্ষা করালে জানিতে পারি বাদীর সন্তান মায়ের গর্ভাবস্থায় মারা গেছে। ৩.৪.৫ নং আসামীগণের অর্থাৎ আমার স্ত্রী শশুর শাশুড়ির নিকট ইহার কারণ জানিতে চাহিলে তাহারা কোন সদোত্তর দিতে পারেন নাই। অতপরঃ ২০/৯/২০২৩ ইং তারিখ সময় বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে ৩.৪.৫ নং আসামীগণ নরমাল সিজার এর মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারী করেন। অতঃপর আমি আমার মৃত সন্তান আব্দুল্লাহকে দাফন করি। তৎপর ৩নং আসামি আমার স্ত্রীকে ৪নং ও ৫নং আসামি আমার শশুর শাশুড়ি নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যান এবং এক কথায় হাসপাতালের সমস্ত ডকুমেন্ট নষ্ট করে দেন। আমি একের পর এক ৩নং আসামীদের অর্থাৎ স্ত্রীর ও শশুর শাশুড়ির কাছ থেকে হাসপাতালের রিপোর্ট গুলো চাহিলে হারিয়ে গেছে বলে মিথ্যা অজুহাত দেন। এর কয়েকদিন পর
৩নং আসামী অর্থাৎ আমার স্ত্রীকে আমার সহিত আমার নিজ বাড়িতে লামা, বান্দরবান চলিয়া আসি। তখন আমি সবে নতুন একটা এলাকায় ব্যাবসা দিয়েছিলাম ব্যাংক থেকে ঋণ/লোন নিয়ে। বাচ্ছা ডেলিভারি হওয়ার পর ৪নং ও ৫নং আসামি অর্থাৎ আমার শশুর শাশুড়ি আমাকে আবার মানসিক ভাবে চাপতে থাকেন। আমি যেন ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে ভালো একটা চাকরি। আমি যদি ভালো একটা চাকরি না বা ওনাদের কথা না শুনি আমার আর ৩নং আসামি আমার স্ত্রী নাদিয়া সুলতানা মীম এর সংসার ভেঙ্গে দিবেন। এবং একই কথা আসামিগন আমার পরিবারকে জানালে পরিবারের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসে যে ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার । অতঃপর আমি চাকুরির সুবাদে কক্সবাজার থাকতাম তৎপর সপ্তাহ পরপর বাড়ীতে আসিতাম, নিয়মিত প্রতি মাসে স্ত্রীর ভরণপোষণ এবং খোরপোষ ভাবত মাসিক খরচ দিতাম অতঃপর আমি চাকরি হইতে আমি আমার বাড়িতে আসিলে ৩নং আসামী আমার স্ত্রীর আচার আচরণে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষণীয় হইলে। আমি ১৭/০৬/২০২৪ ইং তারিখে জানতে পারি আমার হারিয়ে যাওয়া এক সীম কার্ড ব্যবহার করেছেন আমার স্ত্রী। যাহা আমার অগোচরে আমি এমন কথা শুনিতে ফেলে ৩নং আসামীকে অর্থাৎ আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করি আমার অগোচরে সীম কার্ড ব্যবহার কেনো করিতেছিল আমার কথার সদুত্তর দিতে না পারায় শরীয়তের বিধান মানিয়া চলার, পর্দানশীল ভাবে চলাফেরা করার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতি আসক্তি পরিহার ও পরপুরুষের সাথে কথা বলতে নিষেধ করার পরমার্শ প্রদান করি। আমার এহেন পরামর্শে ৩নং আসামী আমার স্ত্রী বিরক্তি প্রকাশ ও রাগারাগী করেন । এতদ সকল বিষয় লইয়া আমি ও ৩নং আসামীর আমার স্ত্রীর পিতা মাতাকে অর্থাৎ আমার শশুর শাশুড়িকে ৩নং আসামি ও আমার মধ্যে মনোমালিন্য হইতো এবং ৩নং আসামী আমার স্ত্রী আমার সহিত উচ্চবাচ্য করিত এ সকল বেপরোয়া আচার-আচরণ সম্পর্কে অবগত করিলেও ৫নং আসামী আমার শাশুড়ি উল্টো আমাকে দোষারোপ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ২০/০৬/২৪ ইং তারিখ ৫নং আসামী আমার শাশুড়ি আমাদের বাড়ীতে আসিয়া আকুতি মিনতি করে ৩নং আসামীকে ৩ (তিন) দিনের জন্য বেড়াইতে নিয়ে যাবে মর্মে বলিয়া নিয়া যায়। ৫নং আসামীর উল্লেখিত ৩ দিনের পর বিগত ২৫/৬/২৪ ইং তারিখে আমার ভাই মোঃ নোমান (১৮) ৩নং আসামীকে অর্থাৎ নোমান উদ্দিনের ভাবিকে আনিতে গেলে ৩নং আসামী আমার স্ত্রী আমার ভাইয়ের সাথে আসেনি এবং অপরাগতা প্রকাশ করে। উক্ত বিষয়ে অবগত হইয়া আমি বিগত ২৫/০৬/২৪ ইং তারিখে বাদী স্বয়ং তাহার কর্মস্থল কক্সবাজার হইতে ৩-৫ নং আসামীগণের অর্থাৎ আমার শশুর বাড়ীতে বেড়াতে যায় এবং ৩নং আসামীকে অর্থাৎ আমার স্ত্রী আমার বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তখনো ৩নং আসামী আমার স্ত্রী আমার সহিত স্বাভাবিক আচরণ করেন এবং স্বামী স্ত্রীর এক সাথে রাত্রি যাপন করি পর দিন সকালে ২৬/০৬/২০২৪ ইং তারিখে আমার স্ত্রীকে আমার সহিত যাইবে না মর্মে জানাইলে তাহার পিতা মাতা অর্থাৎ ৪নং ও ৫নং আসামীকে জানালে ওনারা উত্তর দেন যে মেয়ে আর কয়েক দিন থেকে স্বামীর বাড়িতে চলে যাবে তখন ৩নং আসামী আমার স্ত্রীর কাছে থাকা আমার হারিয়ে যাওয়া নিজের নামে রেজিষ্ট্রেশন কৃত সীম যাহা ৩নং আসামী অর্থাৎ আমার স্ত্রী ব্যবহার করিতেন তাহা আমার কাছে দিয়ে দেওয়ার জন্য বলিলে উক্ত সীম কার্ডটি দিতে অস্বীকার করেন এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীর মাতা আমার শাশুড়িকে এবং স্ত্রীর বড় বোন ফারিদা ইয়াসমিন আকি কে বিষটি জানালে ওনারা রাগান্বিত হয়ে আমার সীম কার্ড দিয়ে দেন অতঃপর আমি আমার হারিয়ে যাওয়া সীম কার্ড নিয়া চলিয়া আসি। অতঃপর ২৬/০৬/২০২৪ইং তারিখে রবি কাস্টমার কেয়ার থেকে কল লিস্ট বের করে জানিতে পারি আমার স্ত্রী অর্থাৎ ৩নং আসামি বিভিন্ন পর পুরুষের সাথে কথা বলতেন তৎপর বিগত ২৭/৬/২৪ ইং তারিখে বাদীর পিতা ও মাতাকে ৩নং আসামীকে অর্থাৎ আমার স্ত্রী নাদিয়া সুলতানা মীমকে আনিতে গেলে ৩নং আসামী আমার স্ত্রীকে আত্মগোপন করে ৪ ও ৫নং আসামীগণ বলে যে, তাহাদের মেয়েকে খালার বাসায় গেছে এবং তাহারা আমার বাড়িতে আমার স্ত্রীকে আর পাঠাইবনা বলিয়া বাদীর পিতা মাতার সাথে উশৃংখল আচরন এবং কোর্টে করে ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে চলিয়া যাইতে বলে। এহেন আচরণে আমার পিতা মাতা কারণ জিজ্ঞাসা করিলে ৪- ৫ নং আসামীগণ কোন সদুত্তর প্রদান করেন নাই। এবং কারণ বলতে রাজি না। এই বিষয়ে আমার পিতা মাতা আমাকে জানালে আমি ৪নং ও ৫নং আসামীগণের অর্থাৎ আমার শশুর শাশুড়ির আচরণ সম্পর্কে অবগত হইয়া আমার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি কিন্তু ৪নং ৫নং আসামী ৩নং আসামি আমার স্ত্রীর সাথে সাথে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে অবগত হইয়া ০১/০৭/২০২৪ ইং তারিখ ২নং আমিরাবাদ ইউপি বরাবর একখানা অভিযোগ লিখি। এবং ৩নং আসামি আমার স্ত্রীর সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে আমার শশুর বাড়ী অর্থাৎ আসামিদের বাড়ির উদ্দেশ্যে কক্সবাজার থেকে আসামিদের এলাকায় আসলে ৪নং আসামি অর্থাৎ আমার শশুর আমাকে বলেন যে ৩নং আসামি অর্থাৎ আমার স্ত্রীকে নিয়ে আমি চলে আসতে পারব এবং কোনো সমস্যা হয়নি বলে ৩নং আসামি আসামির নানার বাড়িতে অবস্থানরত আছে বলে মিথ্যা কথা বলে আসামির নানার বাড়িতে পাঠান। আমি নানার বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী নাদিয়া সুলতানা মীম নানার বাড়িতে যায়নি। তক্ষনিক ৪নং আসামি আমার শশুর থেকে এহেন মিথ্যা কথা কেন বলছে জিজ্ঞেস করলে ওনি ফোন কেটে দেন। তখন আমি আসামিদের এলাকার ইউপি সদস্য মেম্বারকে বিষয়টি
অবগত করি। এর পর প্রথম ঘটনাটি ঘটে আমার সাথে এর পর দিন ০২/০৭/২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক সন্ধ্যা ৬.৩০ ঘটিকায় আমি কাউকে না জানিয়ে ৩নং আসামীর অর্থাৎ আমার স্ত্রীর বাড়ীতে গেলে দেখতে পাই আমার স্ত্রী তাহার নিজ বাড়িতেই আছে এবং আমি আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে চাইলে ৪নং ও ৫নং আসামী অর্থাৎ আমার শশুর শাশুড়িকে আমার স্ত্রীর সাথে একটু কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করিলে তখন ৪নং ও ৫নং আসামীগণ আমার উপর উত্তেজিত হয়ে আমাকে গালা গালি করেন আমি তবুও আমার স্ত্রীর সাথে ১টা মিনিট কথা বলার জন্য চেষ্টা বা বুঝানোর চেষ্টাকরিলে ৩-৫ নং আসামীগণ রাগান্বিত হইয়া বাদীকে গালিগালাজ করিতে থাকে। ৪নং আসামী আমাকে গালাগালি করতে করতে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে আমার পিছু তাড়া করেন এক পর্যায়ে আমি আসামিদের এলাকার মহল্লার মল্লিক সোবাহান তেলিপুকুর পাড়ে একটা দোকানে গিয়ে এলাকার ইউপি মেম্বারকে ফোন দিলে ওনার কোনো কাছে সদুত্তর না পেয়ে আমি মানসিক নির্যাতন ও শারীরিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি তখন এলাকার মানুষজন ও দোকানদার ব্যাবসায়ীগণ মিলে আমাকে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান জ্ঞান ফিরিবার পর আমি জানিতে পারি যে, আমি লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছি। উক্ত হাসপাতালে আমি বিগত ০২/০৭/২৪ ইং তারিখ হইতে ০৪/০৭/২০২৪ ইং পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলাম। উক্ত ঘটনার পর বিগত ১২/০৭/২০২৪ আমি স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক পুনঃ উদ্ধার করার জন্য লোহাগাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করিতে গেলে সমাধানের নিমিত্তে দায়িত্বকারী কর্মকর্তার মসিউর রহমান আমার কাছ থেকে টাকা চাই অতঃপর আমি টাকা দিয়ে হলেও একটা সুস্থ সমাধান চাইলে ওনি তদন্ত করে দুই পরিবারের সম্পর্কে পুনঃ উদ্ধার করে দিবেন বলেন এর পর কিছু দিন পর অসহযোগিতার কারণে আসামি পক্ষকে সমঝোতায় বসাতে ব্যর্থ হন। তৎপর আমি যথাক্রমে পারিবারিক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক পুনঃ উদ্ধারের জন্য ৩নং আসামীর অর্থাৎ আমার স্ত্রীর ইউপি চেয়ারম্যান , ২২/০৭/২০২৪ইংরেজী তারিখে ৩নং আসামীর মহল্লার সর্দার বরাবর এবং ২৭/০৭/২০২৪ইং তারিখে আমার নিজ এলাকার গজালিয়া সেনাবাহিনীর জুন কমান্ডার বরাবর ও সর্ব শেষ ২৯/০৭/২০২৪ ইংরেজি তারিখে আমার নিজ এলাকার ইউনিয়ন ৫নং সরই ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করি । আমার সকল চেষ্টা ব্যর্থ হইবার পর ৩নং আসামী আমার স্ত্রীর সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দেওয়ার কারণ অনুসন্ধান করিতে গিয়া আমি জানিতে পারি যে, ৩নং আসামী আমার স্ত্রী নাদিয়া সুলতানা মীম ১নং আসামীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্তে চলমান । উক্ত পরকীয়ার বিষয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি ৩নং আসামীর আমার স্ত্রীর ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনের নাম্বার ০১৮৮২- ৯৫০৩৬০ (যাহা আমার নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত) কল রেকর্ড সংগ্রহ করিলে ও ৩নং আসামী আমার স্ত্রীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ম্যাসেঞ্জারের চ্যাট পর্যালোচনা করিলে আমি নিশ্চিত হই যে, ৩নং আসামী সেতু চাকমা নামীয় অর্থাৎ ১নং আসামীর সহিত পরকীয়ায় লিপ্ত। আমি আরো জানিতে পারি মে আমি চাকুরীর সুবাদে কক্সবাজার থাকায়, ১নং আসামী আমার অনুপস্থিতিতে সুযোগ লইয়া আমার বাড়িতে আসা যাওয়া করিত। আসা-যাওয়ার একপর্যায়ে ১নং আসামী সেতু চাকমা ও ৩ নং আসামী আমার স্ত্রীর মধ্যে পরকীয়া ও অনৈতিক সম্পর্ক গড়িয়া উঠে। আমি আরো জানিতে পারি যে, ৩নং আসামী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে ২নং আসামী সহ আরো কিছু ব্যক্তির সাথে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত ও চলমান। সমস্ত ঘটনা জানিতে পারিয়া তথ্য সমূহ বাদী তাহার পেনড্রাইভে সংরক্ষন করেন। এবং এই বিষয়ে ৩নং আসামির অর্থাৎ আমার স্ত্রীর পিতা ৪নং ও ৫নং আসামীগণ আমার শুশুর শাশুড়িকে অবগত করিলে ওনারা ৩নং আসামিকে এক জন মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও এক জন উপজাতি চাকমা ছেলের সাথে মেয়ের বিবাহ দেওয়ার কথা বলেন আসামিগণের মহল্লার সর্দারের সামনে এবং উল্টো হুমকি দেন আমার বিরুদ্ধে থানা পুলিশ ও মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলা করার। আমি শতচেষ্টা করার পর ৩নং আসামি আমার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে ৩নং আসামী আমার স্ত্রী এসকল বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করিতে বারণ করেন এবং বাড়াবাড়ি করিলে ইহার পরিণাম ভালো হইবে না মর্মে হুমকি ধমকি প্রদান করেন ও আমাকে মেরে ফেলার জন্য পরিষ্কার ভাবে বলেন যাহা নিকট রক্ষিত পেনড্রাইভ হইতে সমস্ত তথ্যা প্রমাণাদি ডিলেট করিতে বলেন। এতদ সকল বিষয়ে আমি ৩নং আসামীর পিতা অর্থাৎ ৪নং আসামীকে অবগত করিলে ৪নং আসামী হুমকি দিয়া বলে যে, “আমার মেয়ের নামে কুৎসা রটানো বন্ধ করো এবং আমার মেয়ে তোমার সাথে সংসার করিবে না, তুমি কাবিনের টাকা বুঝাইয়া দাও।” তৎপর ২নং আসামী তাহার ব্যবহৃত নাম্বার হইতে কল করিয়া হুমকি ধমকি প্রদান করে এবং বলে যে, নাদিয়ার সাথে ঝামেলা করিলে তুকে হত্যা করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিব। তৎপর বিগত ২০/০৮/২৪ ইং তারিখে ৪নং আসামী আমার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিয়া আমি কোথায় আছে মর্মে জানিতে চাহিলে আমি সরল বিশ্বাসে তাহার কর্মস্থল কক্সবাজার হইতে বান্দরবান যুব উন্নয়নের ড্রাইভিং কোর্সের ভাতা উত্তোলনের জন্য আসিয়াছি এবং পরের দিন সকালে নিজ কর্মস্থল ফিরিয়া যাইবে মর্মে জানায়।
২য় ঘটনার তারিখ ও সময়ে অর্থাৎ ২১/০৮/২০২৪ ইং তারিখে অনুমান সকাল ৭.২৫ মিনিট আমি বান্দরবান হইতে আমার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে কেরানীহাটস্থ সাতকানিয়া রাস্তার মাথা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করিতে থাকিলে একটি সাদা মাইক্রো গাড়ী আসিয়া বাদীর সম্মুখে দাড়ায় এবং মাইক্রো বাসের সামনে বসা হেলপার পরিচয় দানকারী অজ্ঞাত ব্যক্তি আমাকে কোথায় যাবে মর্মে জিজ্ঞেস করে, বাদী উক্ত অজ্ঞাত ব্যক্তিকে কক্সবাজার যাইবে মর্মে অবগত করিলে উক্ত অজ্ঞাত ব্যক্তি আমাকে গাড়ীতে উঠিতে বলে। আমার সাথে ভাড়ার দর দাম ঠিক করিয়া মাইক্রো গাড়ীর মাঝা মাঝি অংশের আসনে বসলে প্রথমে দুইজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে দেখিতে পায় এবং পিছনের সিটে ১নং আসামী সেতু চাকমাকে ও ২নং আসামী সামনের সিটে শাহিন শাহ্ আফ্রিদিকে ব্যক্তিকে দেখিতে পাই। আমি সরল বিশ্বাসে মাঝামাঝি সিটে বসার সাথে সাথে গাড়ী দ্রুত গতিতে চলিতে শুরু করে। তৎপর পিছন হইতে ১নং আসামী জিজ্ঞাসা করে যে বাদীর সংসার কেমন চলিতেছে? আমি হতচকিয়ে যাই এবং অনুমান করি যে, আমার সাথে খারাপ কিছু ঘটিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে। আমি তৎক্ষণাত আমার ব্যবহৃত এন্ড্রয়েড ফোন বের করিয়া আমার পিতাকে ম্যাসেজ দেওয়ার চেষ্টা করিলে পাশে থাকা অজ্ঞাত ব্যক্তি আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়া নেন। তৎপর অপরাপর আসামীগণ আমাকে ছুরিধারা হত্যা করিবে মর্মে ভয় দেখাইয়া নড়াচড়া করিতে বারণ করিয়া আমার হাত, পা ও চোখ-মুখ বাঁধিয়া ফেলে। উক্ত মাইক্রো গাড়ী অনুমান ১ ঘন্টা যাবৎ চলার পর আমাকে গাড়ী হইতে নামায়া একটি রুমে বন্দী করিয়া রাখে। তৎপরবর্তীতে দীর্ঘ সময় যাহা দুই একদিনের কম না বাদীকে চোখ বন্ধ অবস্থায় খাবার পানি ছাড়া উক্ত রুমে ফেলিয়া রাখে। আমার মুখ বন্ধ থাকায় বাদী চিৎকার করিয়া কাহারো নিকট কোন সাহায্য চাইতে পারি নাই। উক্ত দীর্ঘ সময়ের পর যাহা দুই একদিনের কম নয়, ১নং ও ২নং এবং অজ্ঞাত আসামীগণ আমার চোখের বাধন খুলিয়া দেয় এবং কোন প্রকার আওয়াজ করিলে জানে মারিয়া ফেলিবে বলিয়া ১নং আসামী হাতে থাকা একটি বড় চুরি আমার গলায় ধরে। আসামীগণ আমার মুখের বাধন খুলিয়া দিয়া আমার নিকট রক্ষিত পেনড্রাইভটি কোথায় জানিতে চায়, আমি কোন পেনড্রাইভ জিজ্ঞেস করিলে ১ ও ২নং আসামী আমাকে এলোপাতাড়ী খিল ঘুষি মারিতে থাকে এবং ধারালো ছুরি দ্বারা বাদীর শরীরে রক্তাক্ত কাটা জখম করে। আমি প্রাণ বাচাতে চিৎকার করিতে চাইলে আসামীগণ আমাকে গলায় ছুরি ধরিয়া কোন প্রকার শৌর চিৎকার করিতে নিষেধ করে। তৎপর আসামীগণ আমাকে খাবার প্রদান করে এবং খাওয়া শেষে পেনড্রাইভ ও ৫ লক্ষ টাকার মুক্তিপন দাবীতে আমাকে মারধর করেন। আসামীগণ বলে যে, তথ্য সংরক্ষিত পেনড্রাইভ ও নগদ ৫ লক্ষ টাকা প্রদান না করিলে তুকে জানে মেরে ফেলবো। ১ ও ২নং আসামীগণসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন ব্যক্তির প্রতিনিয়ত অত্যাচার ও মানসিক যন্ত্রনা সহ্য করিতে না পারিয়া আমার নিকট চলমান রক্ষিত পেনড্রাইভ আসামীদের দিয়ে দেয়। পেনড্রাইভ হাতে পাওয়ার পর ২নং আসামী ও ১নং আসামী অপরাপর আসামীদের সাথে মোবাইলে কথা বলিবার সময় আমি শুনিতে পায় যে, ৫ লক্ষ টাকা না দিলে আমাকে জানে মারিয়া ফেলিবে, আমি আসামীগণের নিকট প্রাণ ভিক্ষা চাইলে ২নং আসামী আমার গলা চাপিয়া ধরে এবং ৫ লক্ষ টাকা না দিলে আমাকে জানে মারিয়া ফেলিবে বলে হুমকি দেয়। উক্ত ঘটনার দীর্ঘ সময় পরে আসামীগণের মোবাইলে একটি কল আসে এবং আসামীগণ এতে আতংকিত হইয়া বলে যে, যেকোন সময় সেনাবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হইতে পারে। আমাদের আমাকে অন্যত্র সরাইয়া ফেলিতে হইবে অথবা হত্যা করিয়া লাশ গুম করিতে হইবে, না হয় আমরা ধরা পরিয়া যাইব।
তৎপর ১ ও ২নং আসামী সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন ব্যক্তির সাথে আলাপ আলোচনা করিয়া আমাকে হত্যা করিয়া নদীতে লাশ ফেলিয়া দেয়ার উদ্দেশ্যে হাত-পা বাধিয়া ফেলেন এবং আমার শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করে গাড়িতে তুলে। ইহার কিছুক্ষনের মধ্যেই আমার শরীর নিস্তেজ হইয়া পড়ে। তৎপর আমি আমার শরীরে ধস্তাধস্তী অনুভব করি এবং আমার আবছা জ্ঞান ফিরিয়া আসিলে আমি বুঝিতে পারেন যে, আমাকে গাড়ী হইতে নামানো হইয়াছে। ১নং ও ২নং আসামীসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সহায়তায় আমাকে ব্রীজ হইতে ফেলিয়া দেওয়ার চেষ্টা করিতে থাকিলে দূর হইতে কয়েকজন মানুষের আসার ও গাড়ি চলাচলের আওয়াজ শুনিতে পায় তখন আঊ বুঝিতে পারি যে, কেউ হয়ত আমাকে উদ্ধার করিতে আসিতেছে। আমি ও আসামীগণের সহিত ধস্তাধস্তি করিতে থাকিলে ১ ও ২নং আসামী আমাকে লাথি ও খিল ঘুষি মারিয়া ফেলিয়া দেয় এবং বলে যে, “আজকে তুকে প্রানে মেরে ফেলব, তুই যদি বা বেঁচে ফিরিস তুর স্ত্রী, শ্বশশ্বাশুড়ীর সাথে কোন প্রকার ঝামেলা করিলে পরের বার আর প্রাণ নিয়া ফিরিতে পারবি না” বলিয়া আসামীগণ দ্রুত তাহাদের আনিত গাড়িতে করিয়া পালিয়া যায়। তৎপর স্থানীয় লোকজন ও পথচারী গাড়ির ড্রাইভার ও উপস্থিত সাক্ষীগণ আসিয়া আমর চোখ, মুখ ও হাতপায়ের বাধন খুলিলে আমি বুঝিতে পারে যে, ইহা দোহাজারী ব্রীজ এবং আসামীগণ আমাকে উক্ত ব্রীজ হইতে ফেলিয়া হত্যার চেষ্টা করিতেছিল। তৎপর ১নং সাক্ষী তার নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ৯৯৯ ফোন করে কিন্তু কোন প্রকার সাহায্য না পাইয়া সেনাবাহিনীকে ফোন করে এবং তাদের সাহায্যে সি.এস.জি চালিত গাড়িতে করে দোহাজারী হাসপাতালে ভর্তি করে। তৎপরবর্তী সময়ে আমার বাবা তথা সাক্ষী ও এলাকার ইউপি সদস্য সহ অপরাপর সাক্ষীগণ হাসপাতালে হাজির হয়। উক্ত হাসপাতালে আমার অবস্থার অবনতি হইলে দায়িত্বরত ডাক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। তৎপর আমার বাবা রেফারকৃত হাসপাতালে ভর্তি করায়। উক্ত হাসপাতালে ০৬/০৯/২৪ ইং তারিখ হতে ১২/০৯/২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত ভর্তি ছিলাম। আমি হাসপাতাল থেকে রিলিজ হওয়ার পর একের পর এক লোহাগাড়া থানা, সাতকানিয়া থানা ও সাতকানিয়া সেনাবাহিনী ক্যাম্পে এবং লোহাগাড়া সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাদের এখতেয়ার নয় বলিয়া অন্য জায়গায় দেখিয়ে দেন। বর্তমানে আমার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে লোন নেওয়া হয়েছে। আমাদের আর্থিক অবস্থা দিন দিন খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে আমি এক জন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি কি একটা সুস্থ বিচার পেতে পারি না? এতো কিছু হওয়ার পরেও আমি পারিবারিক স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক পুনঃ উদ্ধার জন্য চেষ্টা করেছি ঝামেলায় না জড়িয়ে অতঃপর এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মহোদয় বলেছি সমাঝোতা করে দেওয়ার জন্য কিন্তু পক্ষান্তরে আসামি পক্ষ এখনো হুমকি দিচ্ছে আমার নামে মিথ্যা মামলা করছে বলে এবং আমি সর্ব শেষ বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম বিজ্ঞ আদালতে মামলা করি ।
আদালত থেকে আদেশ দেন আগামী দুই মাসের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (PBI) কে আমি চাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে করে সঠিক রিপোর্ট দেওয়া হোক। বর্তমানে আমার পরিস্থিতিতে খুবই ভয়াবহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে আসামীদের দ্বারা তিন বার আক্রমণের শিকার হয়েছি যে কোনো মুহূর্তে আমার জীবন নাশ হতে পারে। আমি দিন দিন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতেছি এবং রাত্রে ঘুমাতে পারি না ভয়ে সব সময় একটা আতংকের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমার সময়। যদি এমতাবস্থায় আসামীদের দ্বারা আমার জীবন নাশ বা আমার কোনো কিছু হয়ে যায় তার জন্য দায়ী হবে কারা?
বাংলাদেশে বসবাস করে যদি নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এলাকার চৌকিদার থেকে শুরু করে মহল্লার সর্দার মেম্বার চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ সেনাবাহিনী আইন প্রশাসক এবং বিজ্ঞ আদালত কেউ কার্যকারী পদক্ষেপ না নেন এক জন সাধারণ মানুষ বিপদে পড়লে মৃত্যু ছাড়া তো তার আর কোনো উপায় নেই। এক জন মানুষের মূল তখনই বেড়ে যায় যখন সে মৃত্যুবরণ করেন উল্লেখ্য যে, আমার অপহরণ বা গুম থাকা অবস্থায় আমার পিতা লোহাগাড়া থানায় একখানা নিখোজ ডায়েরী করেন যাহার নাম্বার- ৭৮৩, জি.ডি ট্র্যাকিং নং- OWFYT4, যাহার কোনো তদারকি করা হয়নি।
অতএব, সবার কাছে আমার একটাই প্রার্থনা যে, বিজ্ঞ আদালত বা যে কোনো আইন প্রশাসন দেশের সাধারণ জনগণের হইয়া আইন ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমার আনীত অভিযোগ সরাসরি আমলে নিয়ে আসামীগণের বিরুদ্ধে সুস্থ ফয়সালর মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা বা একটা সুস্থ সমাধান দেওয়া হোক। অথবা আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এক জন দেশের সাধারণ মানুষ নাগরিক হয়ে বলতেছি আমাকে হয় আয়না ঘরে বন্দি রাখা হোক নতুন বা ক্রসফায়ার দিয়ে আমাকে মেরে ফেলা হোক। যে দেশের আইনশৃঙ্খলা কাছে একটা সাধারণ মানুষের জীবনের মূল্য নেই সে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রসফায়ারে মৃত্যুবরণ করা অনেক উত্তম বলে আমি মনে করি।

১। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া চাই। এবং সুস্থ সাধারণ একটা স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে চায়।

২।আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই।

৩।আমি আমার পারিবারিক সামাজিক মানমর্যাদাহীনতার মানহানির বিচার চাই।

৪। আমাকে অপহরণ করে ১৪ গুম রেখে মুক্তিপণের জন্য দাবি করে নির্মম ভাবে নির্যাতনের শিকার ও আমাকে হত্যা করতে চেয়ে চেষ্টা করায় এর বিচার চাই।

৫। আমি আমার পারিবারিক সম্পর্ক পুনঃ উদ্ধারের বিচার চাই।

৬। আমার চাকরি ও সময় এবং এই পর্যন্ত যত অর্থ সম্পদ নষ্ট হয়েছে তা ফেরত চাই।

৭।সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক ও প্রকৃত পক্ষে নয় বিচার চাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি