হারুন শেখ বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাশতলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ আব্দুল্লাহ আজমির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১ টায় উপজেলার মুজিবনগর গ্রামে বিএনপির উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক শেখ আরিফ হোসেন এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, উপজেলার রোমজাইপুর গ্রামের মৃত সামসুর রহমানের ছেলে জামায়াতের পরিচয় দানকারী নেতা গিয়াস উদ্দিন মোল্যা কয়েকদিন পূর্বে ঘের দখল, লুটপাট, হামলা ও মারপিটের অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে বাশতলী ইউনিয়ন বিএনপির জনপ্রিয় নেতা শেখ আব্দুল্লাহকে ঘিরে একটি কুচক্রীমহল অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। শেখ আব্দুল্লাহ বিগত আওয়ামীলীগ আমলে রাজপথে থাকায় হামলা মামলায় জর্জরিত হওয়ার পরে ও রাজপথে থেকে সুনামের সাথে দলীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। ঘের বেড়ি দখল ও মাছ লুট সংক্রান্ত বিষয়ে কয়েক দিন পূর্বে রামপাল থানার ওসি সোমেন দাশ সমস্যার সমাধান করেন। সেখানেও আব্দুল্লাহ নিয়ে কোন অভিযোগ ওঠেনি। হটাৎ করে জামায়াতের বহিষ্কৃত নেতা গিয়াস উদ্দিন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নষ্ট করতে এবং কতিপয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের মৎস্য ঘের কৌশলে হাতিয়ে নিতে ও তাদের দলে ভেড়াতে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। গিয়াস মোল্যা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদের পরামর্শে ও তার সমর্থনে তাতীলীগের সহ প্রচার সম্পাদক হুসাইন গাজী, পেড়িখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ডালিম গাজী ও আওয়ামীলীগ কর্মী শেখ তুহিনকে সাথে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
গিয়াসের এমন সামর্থ্য নেই যে মাছ বিহিন ঘের কিনবে ! তার ২৬ লক্ষ টাকা কি করে ক্ষতি হলো সেটিও প্রশ্ন করা হয়। আব্দুল্লাহ জানান, জামায়াতের দায়িত্ববানদের প্রতি আমার আহবান কি করে, কার প্ররোচনায় এমনটি করলো গিয়াস? তিনি তদন্ত করে গিয়াসের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী কারেন।
এতসব অভিযোগের বিষয়ে গিয়াস উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যে সব অভিযোগ করেছি তা সত্য। তবে ঘের মালিকদের নাম বললেও জামির মালিক কারা তাদের নাম তিনি ঠিক করে জানাতে পারেননি।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি সোমেন দাশের সাথে কথা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি তো উভয়পক্ষের সাথে কথা বলে ফয়সালা করে দিয়েছি। এ নিয়ে অপপ্রচারের সুযোগ নেই।