বিশেষ প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযানে কালিগঞ্জের ডাকাত সর্দার ইয়ার আলী সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশ। এ সময় তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তিনটি চোরাই মটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা শহরের লাবসা বাইপাস এলাকা থেকে এবং কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কনফারেন্স রুমে গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে ব্রিফিং কালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) আমিনুর রহমান এ তথ্য জানান।গ্রেফতারকৃতরা হলেন কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের মৃত জব্বার তরফদারের পুত্র ইয়ার আলী (৩২), কালিকাপুর গ্রামের দলিল উদ্দিন মোড়লের পুত্র শাহিন আলম (৩২) ও একই এলাকার আব্দুল জব্বার শেখের পুত্র মহিববুল্লাহ বাবু (২৮)।
ব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান জানান ডাকাত সর্দার ইয়ার আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, দসূতা, চুরিসহ ১৭ টি মামলা চলমান রয়েছে এবং আদালত থেকে জারিকৃত ৫ টি গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলতবী আছে।সম্প্রতি দেবহাটা থানার জগন্নাতপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র ঘোষের বাড়িতে ডাকাতি সহ কালিগঞ্জ থানার ইউসুফপুর গ্রামের শাহীনুর রহমান গাজীর বাড়িতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটে, এ ঘটনায় দু’জন আহত হয়। এসব ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত সর্দার ইয়ার আলী জড়িত মর্মে এক সহযোগী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে ডাকাত ইয়ার আলী, মো: শাহিন আলম ও মহিববুল্লাহ বাবুকে গ্রেফতার ও তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তিনটি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
জানা যায় ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগে ডাকাত ইয়ার আলীর নেতৃত্বে কৃষ্ণনগর এলাকা সহ আশেপাশের এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টির মাধ্যমে ডাকাত বাহার আলী, রেজাউল সহ তাদের বাহিনী নিয়ে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করে। সেই থেকে প্রশাসন তাদের আটকের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। ইয়ার আলী ও তার দুই সহযোগী আটকের খবরে এলাকাটির সাধারণ মানুষের মাঝে সস্তি ফিরে এসেছে, খুব দ্রুত তার অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারে প্রশাসন অভিযান অব্যাহত রাখবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী।