রামকৃষ্ণ তালুকদার বিশেষ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচং (শরীফ উদ্দিন) সড়কের যানবাহনে চলাফেরা নিয়মিত বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে, বর্তমানে এই রাস্তার দূর অবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলা চল করছে । ফলে সাধারন মানুষের দুর্ভোগ চরম সীমায় পৌঁছেছে, প্রতিনিয়ত হচ্ছে দুর্ঘটনা । অবিশ্বাস্য হলে ও সত্যি টেন্ডার হয়ে ও থমকে গেছে শরীফ উদ্দিন সড়কের মেগা প্রকল্পের সংষ্কার কাজ।
আজমিরীগঞ্জ -বানিয়াচং শরীফ উদ্দিন সড়কের ৩২কোটি মেগা প্রকল্প টেন্ডার হয়। কিন্তু কোন ঠিকাদার প্রতিষ্টান টেন্ডার সাবমিট করেনি ।
এই রাস্তার বেহাল অবস্থা সব মিলিয়ে মানুষের জীবন আজ বিপর্যস্ত, ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে ।আজমিরীগঞ্জ উপজেলা জেলা সদরের সাথে একমাত্র যোগাযোগের অবলম্বন হচ্ছে শরিফ উদ্দিন সড়ক ও আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচং ভায়া শিবপাশা সড়ক সেই সড়ক গুলোর বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও পিচ–খোয়া উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। বৃষ্টি হলেই দেখা যায় এ যেন রাস্তা নয় ছোট বড় পুকুর। কোথাও সড়ক ধসে পড়েছে, চলাচলের অযোগ্য। এক পাশ থেকে রাস্তা সংস্কার করা হয়, আরেক পাশ দিয়ে নষ্ট হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আজমিরীগঞ্জে উপজেলা সদরে মূল প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে জলসুখা ঈদগাহ সামন এবং ঝিংরি ব্রীজের গোড়ার সংযোগ স্থানে বড় ধরনের গর্ত হয়েছে , গাড়ি চলাচলের সময় যেন নৌকার মতো ঢেউ খেলে কখন যেন গাড়ি উল্টে যায়, সড়কটির এমন ভাঙ্গন ও বেহাল দশা থাকলেও ছোটবড় যানবাহন চালকদের জন্য সতর্কীকরণে নেই কোন সতর্কীকরণ বোর্ড। এরই মাঝে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি, মালামালবাহী ট্রাক,পিক আপ সহ শতশত যানবাহন।এসময় স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করলে বেশ কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। তবে দীর্ঘদিনেও এসব ভাঙ্গন সংস্কারের কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।স্থানীয়রা জানান, সড়কটিতে শতশত যাত্রীবাহী, মালবাহী পরিবহন চলাচল করে। সড়কটির দ্রুত মেরামত না করা হলে যেকোন সময় গঠবে বড়ধরনের দুর্ঘটনা। জানা যায় এই রাস্তার সংষ্কার কাজের জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ৩২ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প অনুমোদন হয়। ভাটি এলাকার জনগনের শঙ্কা জেগেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতন হওয়ার পর এই মেরামতের মেগা প্রকল্পর কাজ হবে কি না বাদ হয়ে যাবে। তারপর ও নতুন করে আশার আলো জেগেছিল সংষ্কারের কাজ টেন্ডারে যাওয়ায়। এই বিষয় নিয়ে
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী(সওজ) সড়ক উপ- বিভাগ হবিগঞ্জ , মোঃ শহীদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি জানান টেন্ডার হইছে গণ উদ্যোত্থানের কারণে একজনও টেন্ডার সাবমিট করে নাই আবারো রিটেন্ডার হবে। রাস্তার ভাঙ্গাচুরা মেরামতের জন্য টাক পাঠিয়ে মাটি ও ইট দিয়ে কিছুটা মেরামত করতেছি। কবে রি টেন্ডার হতে পারে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান এটা সিলেট জোন অফিস থেকে টেন্ডার বের হয়েছিল। কবে রি টেন্ডার হবে তাহারা বলতে পারবে ।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সড়ক জন সিলেট, এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সওজ)) সার্কেল সিলেট মহোদয়ের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করার কারনে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।