আব্দুল মজিদ (স্টাফ রিপোর্টার)সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পলাশ ভৌমিক খোদ নিজের অফিসে কর্মরত এক পরিবার পরিকল্পনা সহকারির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে করা জিডিতে গালিগালাজ, ভাংচুর ও শারীরিকভাবে আঘাত করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে পরিবার পরিকল্পনা সহকারি আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আসাদুল ইসলাম কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের স্থলবাড়ি গ্রামের মৃত আলী আকন্দের পুত্র।
কাজিপুর থানায় দেয়া অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, আসাদুল ইসলাম অফিসের কোন আইন মানতে চাননা। এ নিয়ে প্রায়ই উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পলাশ ভৌমিক তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেন। কিন্তু নিজেকে না শুধরিয়ে তিনি আরও বেপরোয়া আচরণ করেন। এরইমধ্যে গত ৯ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আসাদুল ইসলামকে
অন্যত্র বদলীর পত্র প্রেরণ করেন। এ খবর পেয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর হাতুড়ি নিয়ে আসাদুল ইসলাম কাজিপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে গিয়ে কর্মকর্তা পলাশ ভৌমিককে খুঁজতে থাকেন। তাকে না পেয়ে অফিসের দরজার পাশে থাকা তার নামপদবী প্লেট ভেঙ্গে ফেলেন এবং ডিজিটাল হাজিরার ডিভাইস ভেঙ্গে ফেলে। সেটার তার দিয়ে সেখানে উপস্থিত অফিস সহকারি সাকিলকে আঘাত করার চেষ্টা করেন। সেইসাথে সেখানে উপস্তিত অন্যান্য পরিবার পরিকল্পনা সহকারিদের গালাগাল করতে থাকেন। সাকিল এসময় অফিসের ভেতরে ঢুকে দরোজা বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে আনসার সদস্যগণ এসে আসাদুল ইসলামকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
এর আগে আসাদুল অফিসের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে তার বাড়ির লোকজন এসে ওই তালা খুলে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় অফিস প্রধান পলাশ ভৌমিক সহ অন্যরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে মুঠোফোনে আসাদুল জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।
কাজিপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পলাশ ভৌমিক জানান, ঘটনা ঘটিয়েই আসাদুল সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় বদলী হয়ে গেছেন। কিন্তু তার বাড়ি কাজিপুর উপজেলায়। যেকোন সময় তিনি অফিসে এসে ঝামেলা করতে পারেন বিধায় ডায়েরি-জিডি করেছি।