আজ ৬ই অক্টোবর সোমবার, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ব্লকের নোহারি গ্রামের বসু পরিবারের দুর্গপূজো দীর্ঘ কয়েকশো ধরে বংশ পরস্পরায় চলে আসছে। বনেদি বাড়ির এই পুজোর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হল, মহালয়ার দিন থেকেই এই পুজো শুরু হয়ে যায়। প্রতি পদের দিন মূল মন্দিরের পাশে বেলগাছের তলায় মায়ের পুজোর মধ্য দিয়েই শুরু হয় দেবী দুর্গার আহ্বান,।
পঞ্জিকা মতে মূল পূজা শুরু হয় ষষ্ঠী থেকে নবমীর সন্ধিক্ষণ হয়ে দশমীর বিসর্জন। কিন্তু বসু পরিবারের এই পুজো বৈষ্ণ মতে হয় , বনেদি বাড়ির এই পুজোতে কোন বলি হয় না। একেবারে বৈষ্ণব মতে বসু পরিবারের পুজোর আলোচনা হয়।
এই পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যরায়য় কর্মসূত্রে বর্তমানে বাইরে থাকেন। পুজোর এই পাঁচ দিন প্রত্যেকেই বাড়িতে আসেন মায়ের আরাধনা করতে।
প্রথমে এই মন্দিরটি শিলাবতী নদীর তীরে অবস্থিত ছিল, বর্ষাকালে মন্দিরের মধ্যে জল ঢুকে যাওয়ায় অসুবিধে হতো পুজোর, তাই সেখান থেকে এনে নোহারি গ্রামে বসু পরিবারের দালানে প্রতিষ্ঠা করা হয় মায়ের মন্দির। বৈষ্ণব মতে পুজো হলেও সন্ধি পূজার সময় মাত্র মন্ত্র পাঠ করেন , তবে এই বনে দি বাড়ীর উৎসব কৌনজ থেকে। সেখান থেকে তিনজন কায়স্থ আছেন দক্ষিণ 24 পরগনা সুভাষ গ্রামে,
পরবর্তীকালে সেখান থেকে হুগলির খানাকুলে এসে বসবাস শুরু করে , একেবারে শেষ প্রজন্মের মানুষজন হুগলির থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতাতে উঠে আসেন তারা। খাল ও নদী দিয়ে ঘেড়া এই বসু পরিবারের বাসভবন, যার মধ্যে রয়েছে এই দুর্গা মন্ডপ।
দুর্গা মন্ডপের পাশাপাশি রয়েছে রাধা কৃষ্ণের মন্দির , গরবেতার এই বনেদি বাড়ির পুজোতে সপ্তমীর দিন পরিবারের প্রতিষ্ঠিত পুকুর থেকে পালকিতে করে নবপত্রিকা ও কলাবউ স্মান করিয়ে নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। বসু পরিবারের এই ঐতিহ্যবাহী কয়েক শতকের দুর্গাপুজো গরবেতার আদি পুজো বলেই মনে করা হয়।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস,