১৫ই অক্টোবর মঙ্গলবার, ঠিক সন্ধে ছটায়, দাস পরিবারের আত্মীয়-স্বজন এবং দাস পরিবারের কর্মকর্তারা, মাকে বরণ করে ও সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে, বিদায় জানালেন, মায়ের কাছে প্রার্থনা করলেন, আবার এসো মা, আমাদের মঙ্গল করো, ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা করো, ঢাকের কাঠির তালে তালে, এবং পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে, মাকে নিষ্ঠা ভরে বরণ করে নিলেন,
উপস্থিত ছিলেন দাস পরিবারের কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাস ও প্রিয়দর্শিনী দাস, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পিতা বাবলু দাস, প্রদীপ শংকর মজুমদার, কৃষ্ণা মজুমদার ,শুভঙ্কর দাস , ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জী, দীপান্বিতা চ্যাটার্জী, শীলা, সানা , সাগরিকা সহ যারা উপস্থিত ছিলেন, সবাই মায়ের কাছে প্রার্থনা জানালেন ও প্রণাম করলেন, যেন তাদের সুখে শান্তিতে রাখেন,
দাস পরিবারের কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাস ও প্রিয়দর্শিনী দাস জানালেন, মাকে কেউ আটকে রাখতে পারেনা, মা আসে প্রতিবছর কয়েকদিনের জন্য, সকলকে হাসিখুশি রেখে আবার বিদায় নেন, আর সকলকে কাঁদিয়ে যান, মাকেও অশ্রু ভরা চোখে বিদায় নিতে হয়,
তাই আমরা মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম, মা যেন ভুল ত্রুটি মার্জনা করেন, আর প্রতি বছর যেন মাকে এইভাবে আনতে পারি, মাকে খুশি করতে পারি।
কয়েকদিনের আনন্দের পর, অশ্রু ভরা চোখে মাকে বিদায় জানালেন দাস পরিবার , বাজনা বাদ্যি ও বাজীর রসনায় ভরে উঠে দাস পরিবারের বাড়ির সামনে, এবং সবাই মিলে মাকে নিয়ে রওনা দেন বাবুঘাট এর উদ্দেশ্যে। গঙ্গায় ভাসিয়ে মাকে শেষ বিদায় জানালেন,
কয়েকদিন ধরে চলে পুজোকে কেন্দ্র করে দাস পরিবারে হৈ-হুল্লোড় আনন্দ, খাওয়া দাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আর সর্বশেষে মাকে বিদায় জানালেন, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভরে উঠেছিল এই দাস পরিবারের বাড়ী, বিভিন্ন অতিথিদের ভিড়ে, আপায়নের দিক থেকে কোনরকম খামতি ছিল না দাস পরিবারে, মুখে একটা কথায় ভেসে আসে, আবার অপেক্ষায় থাকবো পরের বছরের জন্য,
দাস পরিবারের গৃহিণী প্রিয়দর্শনী দাস বলেন, তাকে তো ধরে রাখা যাবে না, তাই মনে কষ্ট হলেও বিদায় দিতেই হবে। তাই আজকে মাকে বিদায় দেওয়ার পালা, সবাইকে ভালো রাখেন সুস্থ রাখেন এসে যেন শান্তি ফিরে আসে, শান্তির বাণী যেন ছড়িয়ে দেন।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা